র‍্যাগিং বন্ধে জাবিতে মানববন্ধন



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
র‍্যাগিং বন্ধে জাবিতে মানববন্ধন, ছবি: বার্তা২৪

র‍্যাগিং বন্ধে জাবিতে মানববন্ধন, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

'চল যাই যুদ্ধে, র‍্যাগিং এর বিরুদ্ধে' এই স্লোগানকে ধারণ করে র‍্যাগিং বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের 'অমর একুশে'র পাদদেশে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী খায়রুল কবির নবেল বলেন, 'অনেক সময় আমরা ভ্রাতৃত্ববোধ দেখাতে গিয়ে অতিরিক্ত করে ফেলি। আমরা আমাদের বিভাগে র‍্যাগিং এর শিকার হয়নি এবং জুনিয়রদের ও সেটার সম্মুখীন করায়নি। আমরা চাই যে আমাদের জুনিয়ররাও এরকম কাজ থেকে বিরত থাকবে। র‍্যাগিং এবং শাসন এই দুইটার মধ্যে পার্থক্যটা আমাদের বুঝতে হবে।'

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/20/1550651879607.jpg

এছাড়াও বিভাগের ৪৩ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অপরাজিতা মিত্র বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয়ে সবাই একটা স্বপ্ন নিয়ে আসে, কিন্তু সে স্বপ্নটাকে বাস্তবায়ন করার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। অঙ্কুরেই বিনষ্ট হচ্ছে র‍্যাগিং এর কারণে। আমরা চাই না ভবিষ্যতে আর কোন শিক্ষার্থী র‍্যাগিং এর কারণে তার স্বপ্ন থেকে দূরে সরে যাক।'

কর্মসূচির বিষয়ে লোকপ্রশাসন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক জেবউননেছা বার্তা২৪.কম-কে বলেন, 'জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় লোকপ্রশাসন বিভাগ নেতৃত্ব তৈরি করে। র‌্যাগিং এর বিরুদ্ধে বিভাগের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগকে বিশেষ করে ৪৭ তম আবর্তনের শিক্ষার্থীদের এ প্রচেষ্টাকে আমি সাধুবাদ জানাই। আমরা চাই বিভাগের সকল শিক্ষার্থীদের মাঝে সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকুক। কিন্তু সেটা কোন ভাবেই হেনস্তার মাধ্যমে নয়।'

   

ঢাবিতে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালুর সিদ্ধান্ত



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ঢাবিতে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালুর সিদ্ধান্ত

ঢাবিতে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালুর সিদ্ধান্ত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালু করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বার্ষিক সিনেট অধিবেশনে সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস মাকসুদ কামাল ঘোষণা দেন।

অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে 'বঙ্গবন্ধু ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রোগ্রাম' চালু করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে এবং একটি নীতিমালাও প্রণয়ন করা হয়েছে। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে এই ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করা হবে। ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা প্রতি মাসে সম্মানজনক বৃত্তির অর্থ-সহ অন্যান্য সুযোগসুবিধা পাবেন, যা উন্নত বিশ্বের প্রায় অনুরূপ।

উপাচার্য আরো বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব কোনো চিকিৎসা অনুষদ নেই। বেইজিং, টোকিও, সিঙ্গাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-সহ পৃথিবীর প্রায় সকল বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হসপিটাল রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্ব স্ব দেশে চিকিৎসাবিজ্ঞান গবেষণা এবং স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। জমি পাওয়া গেলে পূর্বাচল ক্যাম্পাসে একটি বিশ্বমানের মেডিকেল ফ্যাকাল্টি কাম হসপিটাল গড়ে তোলা হবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল আরও জানান, বৈশ্বিক মানদণ্ডে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সীমাবদ্ধতা, দুর্বলতা ও করণীয় ইতোমধ্যে আমরা নির্ধারণ করতে পেরেছি। সেই অনুযায়ী এই প্রতিষ্ঠানকে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত করতে বহুমাত্রিক পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

বাজেট অভিভাষণে উপাচার্য আরও জানান, আর্থিক অস্বচ্ছলতা ও আবাসনের অসুবিধার কারণে প্রায়শ প্রথম বর্ষে বহু শিক্ষার্থী হতাশাগ্রস্ত ও বিপথগামী হয়ে যায়। এসব শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার জন্য ১ম বর্ষের শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির নীতিমালা, ২০২৪' নামে একটি নীতিমালা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানিত ট্রেজারারের নেতৃত্বে প্রণয়ন করা হয়েছে। কমবেশি ৪ হাজার টাকা প্রতি মাসে তাদের শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হবে।

;

ঢাবিতে ৯৪৫ কোটি টাকার বাজেট, গবেষণায় ২০ কোটি



ঢাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ২০২৪-২৫ অর্থবছরে জন্য ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ ৪৫ হাজার টাকার প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছে। সিনেট অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য এ টাকার সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন আহমেদ।

বুধবার (২৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিকেল থেকে চলমান বাজেট অধিবেশনে তিনি নতুন অর্থবছরের বাজেট ও গত অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট উপস্থাপন করেন। এ বার্ষিক অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সিনেট চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস মাকসুদ কামাল।

২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত ৯৪৫ কোটি ১৫ লাখ টাকার বাজেটের মধ্যে বেতন, ভাতা ও পেনশন বাবদ ৬৩৩ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা রাখা হয়েছে যা মোট ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ। এছাড়া পণ্য ও সেবা খাতে ২২০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা ব্যয় দেখানো হয়েছে যা যথাক্রমে ২৩.৩৩ শতাংশ।

অন্যদিকে গবেষণা মঞ্জুরী বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে মাত্র ২০ কোটি ৫ লক্ষ টাকা। যা মোট ব্যয়ের মাত্র ২.১২ শতাংশ। তবে এতে বিগত অর্থবছরের থেকে ৫ কোটি টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে।

বাজেট বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের মূল বাজেট ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের মূল বাজেটের তুলনায় ৩১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে প্রাপ্ত বরাদ্দের পরিমাণ ৮০৪ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা, যা ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের মূল বরাদ্দের চাইতে ৩৫ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা বেশি।

সিনেট অধিবেশন বাজেট উপস্থাপনকালে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য আমরা যে চাহিদা বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের (বিমক) নিকট প্রেরণ করি তা ছিল ১১৩১ কোটি ১৭ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা। বিমক আমাদেরকে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের তুলনায় ৩২৬ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা কম বরাদ্দ দিয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব আয়কে কাল্পনিকভাবে বেশি করে ধরে দিয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষার্থী পূর্বের তুলনায় কম সংখ্যক ভর্তি করা হচ্ছে। ছাত্রদের টিউশন ফি বৃদ্ধি করা হয়নি।

বাজেটে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে পাওয়া যাবে ৮০৪ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা। এছাড়া নিজস্ব আয় ধরা হয়েছে ৯০ কোটি টাকা এবং ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ৫০ কোটি ৭৪ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা, যা প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৫.৩৭ শতাংশ।

২০২৩-২০২৪ সালের মূল বাজেট ছিল ৯১৩ কোটি ৮৯ লক্ষ ৮৭ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে ৫৯ কোটি ১৫ লক্ষ ৯১ হাজার বৃদ্ধি করে সংশোধিত বাজেট দাঁড়ায় ৯৭৩ কোটি ৫ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। সংশোধিত বাজেটে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন থেকে অনুদান ৭৭৬ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা এবং নিজস্ব আয় হিসেবে ৯০ কোটি টাকাসহ আয় ধরা হয়েছে ৮৯১ কোটি ৬৮ লক্ষ টাকা। ফলে বিগত বছরের ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৮১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা, যা মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের ৮.৩৬ শতাংশ।

;

নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা

জাবিতে ছিনতাইয়ের প্রচেষ্টায় দুই বহিরাগতকে পুলিশে সোপর্দ



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হল ও বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনে মনপুরা এলাকার প্রবেশপথে দুই শিক্ষার্থীকে আটকে রেখে মুক্তিপণ আদায়, নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও ছিনতাইয়ের চেষ্টাকালে দুই বহিরাগতকে মারধর করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আটক নাজমুল হাসান (৩২) সাভারের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে (বিপিএটিসি) চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা, তার স্থায়ী ঠিকানা পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া থানার খলিলপুর গ্রাম। আরেক অভিযুক্ত আলামিন (২৮) একই প্রতিষ্ঠানে উন্নয়ন প্রকল্পে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে কর্মরত। তার গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলায়৷ এছাড়া অভিযুক্তদের মধ্য থেকে একজন পালিয়ে যাওয়ায় তার পরিচয় জানা সম্ভব হয়নি৷

এ ঘটনায় ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা যায়, হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী রুহুল আমিন ও তার নারী বন্ধু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় বোটানিক্যাল গার্ডেনের পাশ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মনপুরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন৷ এসময় তিনজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে দাঁড়ায়। তারা সঙ্গে সঙ্গে ভুক্তভোগীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় ও তাদের কাছে ২০ লাখ টাকা দাবি করে। অন্যথায় নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তা ও মেরে ফেলার হুমকি দেয়৷

পরবর্তীতে প্রায় তিনঘণ্টা আটকে রাখার পর রুহুল আমিন টাকা আনার কথা বলে সুকৌশলে বন্ধুদের ফোন করেন। এসময় সালাম বরকত হল থেকে শিক্ষার্থীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা এসময় ছিনতাইকারীদের বেধড়ক মারধর করেন৷ অভিযুক্তদের একজন পালিয়ে গেলেও অবশিষ্ট দু'জনকে হাতেনাতে ধরে নিরাপত্তা শাখায় হাজির করে শিক্ষার্থীরা৷ এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী৷

এদিকে ঘটনা ঘটার প্রায় ৩ ঘণ্টা পর রাত দশটায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা অফিসে অভিযুক্তদের নিয়ে আসে৷ তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিমের কেউ সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এসময় শিক্ষার্থীরা প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবিরের সঙ্গেমুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, ঘটনাটি যেহেতু বহিরাগতদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সেহেতু নিরাপত্তা অফিস বিষয়টি দেখভাল করবে। আমি নিরাপত্তা অফিসকে সঙ্গেসঙ্গেবিষয়টি জানিয়েছি।

পরে রাত পৌনে একটায় আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক নুর আলম মিয়া অভিযুক্ত, ভুক্তভোগী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে আশুলিয়া থানায় যান। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন ।

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী সজল জানান, আমি এ ঘটনা জানার পরপরই প্রক্টর মহোদয়কে অবহিত করেছি। রেজিস্ট্রার মহোদয়ের অনুমতি সাপেক্ষে পুলিশের সোপর্দ করেছি। আমরা চেষ্টা করেছি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মামলা দেয়ার জন্য কিন্তু ধর্ষণচেষ্টা অভিযোগের মামলা ভিকটিমকেই দিতে হয় বিধায় আমরা এখন ভিক্টিমকে নিয়ে থানায় যাচ্ছি৷

;

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিল চায় চবি শিক্ষক সমিতি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদেশে গবেষণা বা পিএইচডি করার জন্য শিক্ষকদের ২০% শিক্ষাছুটির শর্ত বাতিলের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়(চবি) শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত দুইটি দাবি সম্বলিত একটি চিঠি পাঠিয়েছে।

উপাচার্য বরাবর পাঠানো চিঠিতে অস্থায়ী শিক্ষকদের স্থায়ীকরণ ও শিক্ষকদের পদোন্নতির ব্যাপারেও দাবি করা হয়। এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবিও জানায় সংগঠনটি।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়- দীর্ঘদিন যাবৎ সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ার কারণে অনেক শিক্ষকের পদোন্নতি আটকে আছে। এমনকি কিছু সংখ্যক শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগও আটকে আছে। এসব শিক্ষকের স্থায়ী নিয়োগ জুনের পরে হলে তাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কিম (প্রত্যয় স্কিম) এ অন্তর্ভুক্ত করার সম্ভাবনা রয়েছে।

এমতাবস্থায়, আগামী ৩০ জুনের মধ্যে একটি এক্সট্রা অর্ডিনারি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এসব সমস্যা সমাধানের জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটির বিষয়ে ২০% বাধ্যবাধকতা থাকার কারণে অনেক শিক্ষক শিক্ষা ছুটিতে যাওয়ার ব্যাপারে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে। অথচ অনেক শিক্ষক নিজ উদ্যোগে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপের মাধ্যমে ভর্তি নিশ্চিত করেছেন এবং তাদের অনেকের এমএস/পিএইচডি প্রোগ্রাম ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। উল্লেখ্য যে, এই বাধ্যবাধকতা থাকা অবস্থায়ও এমন কোনো রেকর্ড নেই যে, ইতোমধ্যে কোনো শিক্ষককে শিক্ষা ছুটি প্রদান করা হয়নি।

এমতাবস্থায়, ২০% বাধ্যবাধকতার বিধান রহিত করার দাবি জানাচ্ছি। এটি রহিত না করা পর্যন্ত শিক্ষা ছুটির আবেদনকরী শিক্ষকদের শিক্ষা ছুটি মঞ্জুর করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো: মাহবুবুর রহমান এ ব্যাপারে বার্তা২৪.কমকে জানান, দীর্ঘদিন সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায় কিছু শিক্ষকের স্থায়িত্ব ও পদোন্নতি আটকে আছে, এগুলো যাতে ৩০ জুনের মধ্যেই সমাধান হয় এ ব্যাপারে আমরা উপাচার্য মহোদয়কে জানিয়েছি।

এছাড়াও ২০% শিক্ষাছুটি যাতে করে বাতিল করা হয়। কারণ একজন শিক্ষকের বাইরের দেশে যাওয়ার ব্যাপারটা এই কোটার উপর সীমাবদ্ধ নয়, এখানে অনেক পরিশ্রম ও ফান্ডের ব্যাপার আছে। ইতঃপূর্বেও অন্যান্য উপাচার্যগণ ২০% এর ওপরে শিক্ষা ছুটি দিয়েছেন। আমাদের দাবি যাতে করে ২০% শিক্ষা ছুটির শর্তটি রহিত করা হয়।

;