জাবিতে দর্শনার্থী প্রবেশে ৬ দিনের নিষেধাজ্ঞা



সেন্ট্রাল ডেস্ক ১

  • Font increase
  • Font Decrease
সিনেট নির্বাচনের কারণে আগামী ছয় দিনের জন্য জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দর্শনার্থী ও বহিরাগতদের প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সোমবার রাতে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এই নিষেধাজ্ঞা ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া সিনেট নির্বাচনের কারণে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার আবুবকর সিদ্দিকী। বেড়ানো, শিক্ষা সফর ও যে কোনো ধরনের শুটিংসহ সব কাজে দর্শনার্থীদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ওই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভেতরে রিকশা চলাচলের ওপরেও বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে।
   

প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে রাবি ও রুয়েট শিক্ষকদের কর্মবিরতি



রাবি করেসপন্ডেট, বার্তা ২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত পেনশন সংক্রান্ত ‘বৈষম্যমূলক’ প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) ও রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) শিক্ষকবৃন্দ।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত নিজ নিজ জায়গা থেকে রাবির শিক্ষকবৃন্দ এবং সকাল সাড়ে ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত রুয়েটের শিক্ষকবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসন ভবন সংলগ্ন ২১৭ নম্বর কক্ষের নিচে একযোগে এই কর্মসূচি পালন করেন।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী দুই ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মবিরতি পালন করেন তারা। কর্মসূচিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল এবং স্বতন্ত্র সুপারগ্রেড প্রবর্তনের দাবিও জানানো হয়।


কর্মসূচির বিষয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ওমর ফারুক সরকার বলেন, আমি রাবি শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক বিভাগে চিঠি দিয়েছিলাম। আমার জানামতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষকবৃন্দ নিজ নিজ জায়গা থেকে এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছেন। আজকে সকাল ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

রুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক কামরুজ্জামান রিপন বলেন, সর্বজনীন পেনশন নীতিমালাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে প্রত্যাহার করতে হবে। তা না করা হলে আমরা আরও বড় কর্মসূচির দিকে ধাবিত হবো। আগামী ৪জুন আমরা অর্ধদিবস কর্মসূচি পালন করব। এরপরও দাবি আদায় না হলে, পহেলা জুলাই থেকে আমরা লাগাতার কর্মসূচি পালন করব।

কর্মসূচিতে রুয়েট শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ফারুক হোসেনসহ বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, গত ২৬ মে একই দাবিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন।

;

১৯ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়



অনন মজুমদার, কুবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৯ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

১৯ বছরে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

আঠারো পেরিয়ে উনিশ বছরে পদার্পণ করেছে লালমাই পাহাড়ের কোলে গড়ে ওঠা বিদ্যাপীঠ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)। ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের পাশে, বাংলাদেশের প্রাচীনতম শিক্ষাভূমি কুমিল্লার ময়নামতির শালবন বৌদ্ধবিহারের খুব কাছ এই প্রতিষ্ঠানের অবস্থান।

ভৌগলিকভাবেও বেশ গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল এটি। দেশের প্রধান দুই মহানগরী ঢাকা ও চট্টগ্রামের মাঝামাঝিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান হওয়ায় কেন্দ্রে যাতায়াতের সুবিধা বেশ ভালো। এমনিতেই লালমাই অঞ্চল বেশ নিরিবিলি, বড় শহরের জঞ্জাল বেশ দূরে হওয়ায় শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তির জায়গা এখানকার শিক্ষার্থীদের অনেক বেশি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মলগ্নে প্রশাসনিক ভবনের সাথে মাত্র দুইটি একাডেমিক ভবন ছিল৷ ২০০৬ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি কুবির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপিত হয়। পরবর্তীতে ৮ মে জাতীয় সংসদে আইন পাশ হয় এবং ২৮ মে সেই আইন কার্যকর হয়।


২০০৭ সালের ২৫ মে মোট চার অনুষদের অধীনে সাতটি বিভাগের মাধ্যমে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রথম এই ব্যাচে ১৫ জন শিক্ষকের সমন্বয়ে প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক যাত্রা শুরু হয়। বর্তমানে ছয়টি অনুষদের অধীনে ১৯টি বিভাগে প্রায় সাত হাজার শিক্ষার্থীর জন্য শিক্ষক আছেন ২৬৫ জন।

বর্তমানে ৫০ একরের দৃশ্যমান এই ক্যাম্পাসে চারটি একাডেমিক ভবনে ছয়টি অনুষদের কার্যক্রম চলছে। অনুষদগুলো হলো- কলা অনুষদ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, বিজ্ঞান অনুষদ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ, প্রকৌশল অনুষদ এবং আইন অনুষদ। অনুষদগুলোর অধীনের বিভাগগুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, অর্থনীতি, লোকপ্রশাসন, প্রত্নতত্ত্ব, নৃবিজ্ঞান, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা, মার্কেটিং, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং, আইন, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, ফার্মেসি, এবং পরিসংখ্যান বিভাগ।


বিশ্ববিদ্যালয়টি এখনো সম্পূর্ণ আবাসিক নয়। তবে শিক্ষার্থীদের জন্য পাঁচটি হল আছে এখানে। ছেলেদের তিনটি হল হলো- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল এবং শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল। মেয়েদের দুইটি হল হলো- শেখ হাসিনা হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী হল। এছাড়া শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের থাকার জন্য আছে চারটি ডরমিটরি। চালু হয়েছে নতুন গেস্ট হাউজ৷ শ্রেণিকক্ষ, আবাসিক হলসহ ক্যাম্পাসজুড়ে আছে দ্রুতগতির ওয়াইফাই সুবিধা।

শিক্ষার্থীদের একাডেমিক কার্যক্রমের উন্নয়নে দরকার ভালো একটি লাইব্রেরি। বর্তমান ক্যাম্পাসে জায়গার স্বল্পতাসহ বিভিন্ন সমস্যা পরেও উন্নতমানের পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রশাসনিক ভবনের পাঁচ তলায় লাইব্রেরি পাশে নতুন ভাবে চালু হয়েছে আলাদা রিডিং রুম।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ও সংশ্লিষ্টদের অনেকদিনের দাবি ছিল আরো বড় পরিসরের একটা ক্যাম্পাসের৷ সেই প্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর একনেক কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাসের জন্য প্রায় এক হাজার ৬৫৫ কোটি ৫০ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন করে। বর্তমানে কার্যক্রম চলা ৫০ একরের ক্যাম্পাসের দুই থেকে তিন কি.মি. অদূরেই প্রায় ১৯৪.১৯ একরের নতুন ক্যাম্পাসের কার্যক্রম চলমান আছে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ১৯তম বছরে পদার্পণের ভিশন নিয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন বলেন, 'প্রতিবছর জাঁকজমকপূর্ণভাবে আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস পালন করে থাকি। এবছর উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় খোলার পর একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করে আমরা অনুষ্ঠানের আয়োজন করব। বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ হিসেবে শিক্ষার্থীদের মেরিট বৃদ্ধির জন্য ভাইস চ্যান্সেলর স্কলারশিপ অ্যাওয়ার্ড চালু করেছি। উন্নত মানের শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় যেন মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। গবেষণা করার সময় ভাবতে হবে তা যেন দেশ ও মানুষের কল্যাণে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার মাধ্যম হল গবেষণা।

তিনি আরও বলেন, ‘উচ্চমানের জার্নালে নতুন নতুন আর্টিকেল পাবলিশ করলে নতুন জ্ঞান তৈরি হবে। গবেষণালব্ধ জ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে জ্ঞান ছড়িয়ে দিতে হবে। জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আমাদের যে সুনাম সৃষ্টি হচ্ছে, তা যেন অব্যাহত থাকে, সেজন্য কোয়ালিটি এডুকেশন এবং কোয়ালিটি রিসার্চের গুণগত মানের প্রতি নজর দিচ্ছি। আমাদের যে ভিশন তৈরি হয়েছে, তা নিয়েই আমরা এগিয়ে যাব।'

;

‘প্রত্যয় স্কিম’ বাতিল চেয়ে দুই ঘণ্টার কর্মবিরতিতে ইবি শিক্ষকরা



ইবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অর্থ মন্ত্রণালয়ের জারি করা পেনশন সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারসহ ৩ দফা দাবিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করেছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। তবে পরীক্ষাসমূহ এই কর্মসূচির আওতামুক্ত ছিল।

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। তাদের অন্য দুই দাবি হলো- প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভূক্তি এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতনস্কেল প্রবর্তন।

এর আগে, গত রোববার (২৬ মে) একই দাবিতে মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা। আগামী ৪ জুনের মধ্যে সুরাহা না হলে বৃহত্তর কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।

শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মামুনুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আমরা কর্মবিরতিত পালন করছি। আমাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো।’

সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের জন্য মাঠে নামি নি। আমরা মাঠে নেমেছি অনাগত শিক্ষকদের জন্য। সার্বজনীন পেনশন নীতিমালা চালু হলে মেধাবীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহী হবে না। যত অযোগ্যরা আসবে একটি পক্ষের লাভ হবে। আগামী ৪ জুনের মধ্যে এই নীতিমালার প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার করা না হলে আরও বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’

;

বেরোবিতে সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সারোয়ার আহমাদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান নিয়ে চলমান সংকটের মধ্যে ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান করা হয়েছে একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সারোয়ার আহমাদ ।

রবিবার (২৬ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাসিবুর রশীদের নির্দেশে উপ-রেজিস্ট্রার মোস্তাফিজুর রহমান মণ্ডলের স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি জানানো হয়।

জানা যায়, বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের পদ দুই মাস ধরে শূন্য রয়েছে। গত ১০ মার্চ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক নজরুল ইসলামের মেয়াদ শেষ হলে বিভাগের ৩ শিক্ষক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী নজরুল ইসলামের পর জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের পাওয়ার কথা। কিন্তু মামলা জটিলতার কারণে তাকে দায়িত্ব দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপর থেকে বিভাগীয় প্রধানের পদ নিয়ে নানা জটিলতা তৈরী হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ৩ শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহার, সারোয়ার আহমাদ ও মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব দেওয়া হলেও তারা তা গ্রহণ করেননি। ফলে বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষাসহ জটিলতায় পড়ে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগের দাবিতে আন্দোলন করেন। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেনকে। কিন্তু তিনিও এক সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ করেন।

সারোয়ার আহমাদকে বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে বিভাগের কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে জ্যেষ্ঠতা নির্ধারণে আইনগত জটিলতা থাকায় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিভগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার নিমিত্তে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর এর স্থাপনকল্পে প্রণীত ২০০৯ সনের ২৯ নং আইনের ধারা ১১ (১১) অনুসারে মো. সারোয়ার আহমাদকে একই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান (ভারপ্রাপ্ত) এর দায়িত্ব প্রধান করা হয়।

চিঠিতে আরও বলা হয়,এই নিয়োগ আদেশ ২৬ মে ২০২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

দায়িত্ব নিয়ে অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদ বলেন, বিভাগে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য শিক্ষার্থীরা সেশনজটসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিল। আশা রাখি এই সংকট কাটিয়ে বিভাগের সকল কার্যক্রম স্বাভাবিক ধারায় ফিরিয়ে নিয়ে আসতে পারব।

;