জাবির শৃঙ্খলা বিধিতে নতুন ধারা: স্বাধীন মত প্রকাশে বাধা



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা৪.কম
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্র-ছাত্রীদের শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশ হালনাগাদ করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) প্রশাসন। সংশোধিত অধ্যাদেশে যুক্ত হওয়া নতুন দুটি ধারা, যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। নতুন এই ধারা দুটিকে ‘নিবর্তনমূলক’ বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি শিগগিরই এ ধারা বাতিলের দাবিও জানিয়েছেন তারা।

নতুন দুটি ধারা হলো- অধ্যাদেশের ৫ এর (ঞ) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ছাত্র/ছাত্রী অসত্য এবং তথ্য বিকৃত করে বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনো সংবাদ বা প্রতিবেদন স্থানীয়/জাতীয়/আন্তর্জাতিক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক সংবাদ মাধ্যমে বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার বা উক্ত কাজে সহযোগিতা করতে পারবে না।

এছাড়া ৫ এর (থ) উপধারায় বলা হয়েছে, কোনো ছাত্র/ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্র/ছাত্রী, শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারীর উদ্দেশ্যে টেলিফোন, মোবাইল ফোন, ই-মেইল, ইন্টারনেটের মাধ্যমে কোনো অশ্লীল বার্তা বা অসৌজন্যমূলক বার্তা প্রেরণ অথবা উত্যক্ত করবে না।

অধ্যাদেশ মতে, ধারা দুটির ব্যতয় ঘটলে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের চোখে ‘অসদাচরণ’ বলে গণ্য হবে। এজন্য লঘু শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা, সতর্কীকরণ এবং গুরুতর শাস্তি হিসেবে আজীবন বহিষ্কার, বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার, সাময়িক বহিষ্কার ও পাঁচ হাজার টাকার বেশি জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, স্বাধীনভাবে মত প্রকাশে হস্তক্ষেপ করতেই ধারা দুটি যুক্ত করা হয়েছে। ধারা দুটিতে উল্লেখিত ‘অসত্য, তথ্য বিকৃত’ এবং `অশ্লীল’ বা ‘অসৌজন্যমূলক’ বার্তা প্রেরণ অথবা উত্যক্ত করার’ সংজ্ঞা নির্ধারণ করবেন কে? ফলে স্বাধীন সাংবাদিকতা বাঁধার মুখে পড়বে।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালে উচ্চ আদালত এক রায়ের পর্যবেক্ষণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা বিধিকে ‘দুর্বল ও সেকেলে’ উল্লেখ করে তা হালনাগাদের পরামর্শ দেয়। শৃঙ্খলা বিধির প্রয়োজনীয় সংশোধন ও পরিমার্জন করতে ওই বছরের ১৬ মে তৎকালীন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আবুল হোসেনকে সভাপতি করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি করা হয়। ওই কমিটির হালনাগাদ করা শৃঙ্খলা বিধি বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় অধ্যাদেশ হিসেবে অনুমোদন করা হয়।

এ বিষয়ে জাবি সিনেট সদস্য ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অধ্যাদেশের ধারা ৫(ঞ) এবং (থ) উপধারা দুটি বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৩৯ (চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতা ও বাক স্বাধীনতা) এবং অনুচ্ছেদ ৪০ (পেশা বৃত্তির স্বাধীনতা) এর পরিপন্থী । বিশ্ববিদ্যালয় মুক্ত চিন্তার বিকাশ এবং লালন-পালনের যথাযথ স্থান। এই উপধারা দুটি ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ভীতি ও শঙ্কার তৈরি করবে, যা শুভকর নয় । এছাড়া ক্যাম্পাসে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মীদের কাজের ক্ষেত্র সংকুচিত করবে এবং সাংবাদিকরা নিগ্রহের স্বীকার হতে পারেন।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সম্পূর্ণ অসৎ উদ্দেশ্যে বিধি দুটি যুক্ত করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতি, দুর্বৃত্তপনার বিরুদ্ধে সাংবাদিকরা সবসময় সোচ্চার। সাংবাদিকদের কণ্ঠ রোধ করতেই এই উদ্যোগ। অবিলম্বে এটি বাতিল করতে হবে।’

অন্যদিকে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি শাখার দফতর সম্পাদক হাসান জামিল স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি শিক্ষার্থীর স্বার্থ বিরোধী ও নিবর্তনমূলক ধারা বাতিলের আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া ভবিষ্যতে এ ধরনের কোনো আইন তৈরি করা হলে তা কঠোরভাবে প্রতিহত করার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা ও গণমাধ্যম অধ্যায়ন বিভাগের সাবেক সভাপতি সহকারী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার মণ্ডল বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘যেখানে রাষ্ট্রের বিধিমালা রয়েছে সেখানে আবার নতুন করে আইন তৈরি করার প্রয়োজন হয় না। এটা কারা করেছে জানি না, এটা করা ঠিক হয়নি। তাছাড়া ধারা দুটির কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, ফলে যে যার মতো করে অপব্যবহার করতে পারে। এমন ধারা তৈরি করার আগে সংশ্লিষ্ঠদের সাথে আলোচনা করা উচিৎ ছিল।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের সাথে যোগাগের চেষ্টা করা হলে তিনি অসুস্থ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

তবে বিশ্ব উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. আমির হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নতুন বছরের প্রবেশিকা অনুষ্ঠানকে সামনে রেখে তাড়াহুড়া করে শৃঙ্খলা বিধি পাস করা হয়েছে। তবে যদি এ বিষয়ে কারও কোনো বক্তব্য থাকে তবে সেটা অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।’

   

সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে জাবিতে ব্যাচ ডে'র অনুমতি প্রক্টরের



জাবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে জাবিতে ব্যাচ ডে'র অনুমতি

সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে জাবিতে ব্যাচ ডে'র অনুমতি

  • Font increase
  • Font Decrease

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একাডেমিক ও প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষায় গত বছরের অক্টোবরে ব্যাচ ডে ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান পালনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। নিষেধাজ্ঞা থাকায় এর আগে কয়েকটি ব্যাচ তাদের ব্যাচ ডে ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেনি।

এদিকে, গত ২৫ মে (রোববার) সিন্ডিকেটের নির্দেশ অমান্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীরা ২য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওই অনুষ্ঠানে অবাধে মাদক সেবন ও সময়সীমার তোয়াক্কা না করে রাত পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘটনা ঘটেছে।

এর আগে, গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর সিন্ডিকেটের বিশেষ সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে মুক্তমঞ্চে ব্যাচ ডে ও পুনর্মিলনী আয়োজনে নিষেধাজ্ঞার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এর প্রেক্ষিতে ৯ অক্টোবর রেজিস্ট্রার আবু হাসান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে মুক্তমঞ্চে ব্যাচ ডে ও পুনর্মিলনী আয়োজনে নিষেধাজ্ঞাসহ সকল প্রকার অনুষ্ঠান রাত ১০টার মধ্যে সম্পন্নের নির্দেশ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় কতৃর্পক্ষ।

অফিস আদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের অনুষ্ঠান প্রতি তিন বছরে একবার আয়োজন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া সাবেক ও বর্তমান ব্যাচগুলোর বর্ষপূর্তি (ব্যাচ ডে) কিংবা রিইউনিয়ন (পুনর্মিলনী) অনুষ্ঠান করা যাবে না বলে উল্লেখ করা হয়। রাত দশটার পর কোনো অনুষ্ঠান করলে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি উক্ত সংগঠনকে কালো তালিকাভুক্ত করে ভবিষ্যতে কোন অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হয়।

সিন্ডিকেটের নিষেধাজ্ঞা থাকায় দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে এসব অনুষ্ঠান আয়োজন বন্ধ থাকলেও গত ২৫ মে (রোববার) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫০তম ব্যাচের (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) শিক্ষার্থীদের ২য় বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানের অনুমতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির। এদিকে বর্ষপূর্তির এই অনুষ্ঠানে অবাধে মাদক সেবন ও সময়সীমার তোয়াক্কা না করে রাত পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠান আয়োজনের ঘটনা ঘটেছে।

ব্যাচ ডে আয়োজক কমিটি সূত্রে জানা যায়, অনুষ্ঠান উপলক্ষে প্রায় লক্ষাধিক টাকার মাদকদ্রব্য কেনা হয়েছে। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের জন্য কেনা হয় ২০ হাজার টাকার মদ। অনুষ্ঠান শেষে গভীর রাত পর্যন্ত শিক্ষার্থীদেরকে মুক্তমঞ্চ, টিএসসি ও ক্যাফেটেরিয়া এলাকায় অবাধে মাদকদ্রব্য সেবন করতে দেখা যায়।

জানা যায়, গত ১২ মে ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ব্যাচ ডে পালনের জন্য প্রক্টরের কাছে অনুমতির আবেদন করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় প্রক্টর শিক্ষার্থীদের মৌখিক অনুমতি দেন এবং উপাচার্যের সাথে কথা বলে চূড়ান্ত অনুমোদনের আশ্বাস দেন। পরবর্তীতে ১৩ মে শিক্ষার্থীদের চূড়ান্ত অনুমোদন দেন প্রক্টর।

গত ২৫ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ষপূর্তির অংশ হিসেবে মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ৫০তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তবে অনুষ্ঠানের সময়সীমা রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত দেওয়া থাকলেও ১১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করে আয়োজক কমিটি।

এ ব্যাপারে প্রক্টর অধ্যাপক আলমগীর কবির বলেন,আমি অনেক শর্ত সাপেক্ষে ওদের অনুমতি দিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের বিকশিত হওয়ার জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের দরকার আছে। তবে ওদের আমি নয়টার মধ্যে অনুষ্ঠান শেষ করার কথা বলেছিলাম৷ কিন্তু ওরা প্রায় এগারোটা পর্যন্ত অনুষ্ঠান করেছে। আমরা আর এ ধরনের অনুষ্ঠানের অনুমতি দিব না।

অবাধে মাদক সেবনের বিষয়ে তিনি বলেন, যেকোনো অনুষ্ঠান হলে এটা (মাদক) কমন। আমরা একটা কমিটি করব মাদক নিয়ন্ত্রণের জন্য।

;

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জবি অধ্যাপক



জবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জবি অধ্যাপক

ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন জবি অধ্যাপক

  • Font increase
  • Font Decrease

বোন ম্যারো ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক শিল্পী খানম।

রোববার (২৬ মে) বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহ মো. আরিফুল আবেদ।

অধ্যাপক শিল্পী খানমের অকাল মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন আবেগঘন পোস্ট দিতে দেখায় যায় শিক্ষার্থী, সহকর্মীদের।

বাংলা বিভাগের ১৫তম আবর্তনের শিক্ষার্থী লগ্ন এক ফেসবুক পোস্টে লেখেন, এই তো ক'দিন আগের কথা, ম্যাম বিভাগে এলেন। Shibli Noman ভাই, Alomgir Kabir ভাই আর আমার সামনে সুস্থ হয়ে পরিবার, সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকার তীব্র বাসনার সরল প্রকাশ করলেন। মাতৃস্নেহে আগলে রেখেছিলেন আমাদের।

প্রসঙ্গত, আড়াই বছর আগে ক্যান্সার ধরা পড়ে অধ্যাপক শিল্পী খানমের। দেশে কিছুদিন চিকিৎসার পর তাকে নেয়া হয় ভারতে। সেখানে টাটা মেমোরিয়াল হাসপাতালে প্রায় দেড় মাস চিকিৎসা শেষে ফিরে আসেন তিনি।

এরপর অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত শুক্রবার রাতে অধ্যাপক শিল্পী খানমকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়েছিল।

;

সর্বজনীন পেনশন বাতিল

স্বতন্ত্র বেতন স্কেলের দাবি চবি শিক্ষক সমিতির



চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সর্বজনীন পেনশন সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনকে ‘বৈষম্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে প্রতিবাদ, প্রতিশ্রুত সুপার গ্রেডে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ ও শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র বেতন স্কেল প্রবর্তনের দাবি জানিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের আহ্বানে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এসব দাবি জানায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের এ সংগঠনটি।

রোববার (২৬ মে) দুপুর সাড়ে ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে সামনে বঙ্গবন্ধু চত্বরে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আজকে আমরা মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি শিক্ষকদের মর্যাদা রক্ষার জন্য। বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকগণ জাতি গঠনের ভূমিকা রাখে কিন্তু তাদের ওপরেই যদি বৈষম্যের আঘাত করা হয়, তাহলে তারা কী জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে? সুতরাং আমরা এই বৈষম্য ও নিপীড়ন মূলক প্রজ্ঞাপন বন্ধের জোর দাবি জানায়।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আবদুল হক বলেন, ২০১৫ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অবনমন করে সরকারের বিভিন্ন কর্মকর্তারা সুযোগসুবিধা নিয়েছিল, তখন আমাদেরকে বঞ্চিত করা হয়। পরে সুপার স্কেমের কথা বললেও সেটা কার্যকর করা হয়নি। যখনই আমরা স্বতন্ত্র বেতন কাঠামোরের জন্য কথা বলতে যায়, তখন আমাদেরকে বলা হয়, আপনারা কেন সবার সাথে তুলনা করেন? আপনারা তো অতুলনীয়। আমরা তখনই কথা বলতে যাই যখন আমাদেরকে অবমূল্যায়ন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সর্বশেষ আমাদেরকে সর্বজনীন পেনশন স্কেলে নামে আমাদের বৈষম্যমূলক পেনশন স্কেল করার প্রজ্ঞাপন করা হয়েছে। আপনারা জানেন, সর্বজনীন হয় তখনই যখন একটি রাষ্ট্রের সকল পেশার কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত মানুষকে সংযুক্ত করা হয়। কিন্তু যারা এ প্রস্তাবনা উত্থাপন করেছেন তারা বলছেন এটা সর্বজনীন কিন্তু তারা এটাতে যুক্ত হতে চান না। তারা বলছেন এটাতে যুক্ত হন, এটা খুবই ভালো কিন্তু আমরা যুক্ত হবো না।

চবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাহবুব রহমান বলেন, সর্বজনীন বেতন স্কেল প্রত্যাহার, সুপার স্কেল চালু এবং স্বতন্ত্র বেতন স্কেল। এই তিনটি আমাদের হৃদয়ের দাবি। আপনারা জানেন, একটি জাতি যখন এগিয়ে যায় এর পেছনে শিক্ষকরাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। স্মার্ট বাংলাদেশ করার স্বপ্ন দেখা হচ্ছে কিন্তু শিক্ষকদেরকে বঞ্চিত করে কি স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব।

উল্লেখ্য, গত ১৩ মার্চ, ২০২৪ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় কতৃর্ক জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, যে সকল শিক্ষক/কর্মকর্তা/কর্মচারী ১জুলাই, ২০২৪ তারিখের পর যোগদান করবেন তাদের জন্য সার্বজনীন পেনশন স্কিমের 'প্রত্যয় স্কিম' বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তাদের ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠান বা সংস্থার জন্য বিদ্যমান অবসর সুবিধা সংক্রান্ত বিধিবিধান প্রযোজ্য হবে না।

;

বি.এম. কলেজে সিলিং ফ্যান ভেঙে শিক্ষার্থী আহত



ক্যাম্পাস ডেস্ক, বার্তা২৪
সিলিং ফ্যান ভেঙে টেবিলে পড়ে / ছবি: বার্তা২৪

সিলিং ফ্যান ভেঙে টেবিলে পড়ে / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বরিশালের প্রখ্যাত সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজে ক্লাস চলাকালে হুক ভেঙে সিলিং ফ্যান পড়ে গিয়ে আহত হয়েছে তৌসিফ ফাহিম এক শিক্ষার্থী। রবিবার (২৬ মে) দুপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেই শিক্ষার্থী উক্ত প্রতিষ্ঠানে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের থেকে পাওয়া তথ্যমতে, প্র্যাকটিকাল ক্লাস চলাকালে সকাল ৯ টায় সকল শিক্ষার্থী ক্লাসে আসে। দুপুর দেড়টার কিছুক্ষণ আগে ক্লাস যখন প্রায় শেষ, তখন হঠাৎ সিলিং ফ্যান অকার্যকর হয়ে চলন্ত অবস্থাতেই খুলে পড়ে। ফ্যানের পাখার অংশটি ফাহিম নামক সেই শিক্ষার্থীর মাথায় লাগে। এরপর শিক্ষক সহ বাকি শিক্ষার্থীরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়।

স্থানীয় সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন করা হয় ফাহিমকে। বর্তমানে সেই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা-নিরিক্ষা চলছে এবং তিনি বিপদমুক্ত আছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। শিক্ষার্থীর চিকিৎসার সকল খরচ বহন করছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।  

হুক ভেঙে সিলিংফ্যান পড়ে যায়

শিক্ষার্থীরা জানান, সকাল থেকেই ফ্যানে অস্বাভাবিকভাবে শব্দ করছিল। তারা কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে রাখলেও গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ে আবার চালাতে বাধ্য হয়। হঠাৎ করেই ফ্যানটি সরাসরি টেবিলের উপর পড়ে কাচ ভেঙে যায়। পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায়, ফ্যান লাগানো হুকটি মাঝ থেকে ক্ষয় হয়ে গিয়েছিল।

ঘটনাটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে। তাদের বক্তব্য একটু উনিশ-বিশ হলেই গুরুতর কিছু হতে পারতো। স্থপতিতে খচিত রয়েছে ভবনটি ১৯১৭ সালে নির্মিত। অন্যান্য ফ্যান এবং ব্যবহৃত কলকব্জা বেশ পুরানো হয়ে গেছে। এগুলো সংস্কার করা না হলে যে কোনো মুহূর্তেই বড় বিপদ হতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের দাবি দ্রুত তাদের নিরাপত্তার খাতিরে কর্তৃপক্ষ কাজ শুরু করুক। এই ঘটনার পর, এই ধরনের ঘটনা এড়াতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে প্রত্যাশা করা যাচ্ছে।  

;