১৬ দাবিতে উত্তাল শাবিপ্রবি, শিক্ষার্থীদের অবরোধ

  • শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দাবি না মেনে নেওয়ায় গোলচত্বরে রাস্তা অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

দাবি না মেনে নেওয়ায় গোলচত্বরে রাস্তা অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে চলমান আন্দোলন থেকে দুই ভাগে উত্থাপিত ১৬টি দাবি দ্রুত মেনে নেওয়ার দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়। গত বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আশু ৬টি দাবির আল্টিমেটাম শেষ হওয়ার পরও দাবি মেনে না নেওয়ায় বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে গোলচত্বরে রাস্তা অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সাথে আলোচনায় বসেছেন শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল।

বিজ্ঞাপন

শিক্ষার্থীদের অবরোধের কারণে বিকেল ৪টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস ও অন্যান্য যানবাহন ক্যাম্পাস থেকে বের হতে পারেনি।

এছাড়া বুধবার রাত সাড়ে ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলচত্বরের সামনে থেকে ৩ শতাধিক শিক্ষার্থীদের একটি মশাল মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থান প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ধারাবাহিক আন্দোলনের মধ্যেই গত ২৭ নভেম্বর ১৬টি দাবি সামনে নিয়ে এসে প্রশাসনকে দুইভাগে আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে ৬টি আশু দাবি বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেল ৫টার মধ্যে মেনে নেওয়ার জন্য প্রশাসনকে আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিলো। বাকি ১০টি দীর্ঘমেয়াদী দাবি আগামী বছরের ২৬ মার্চ এর মধ্যে বাস্তবায়নের আল্টিমেটাম বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু আশু দাবি সমূহের আল্টিমেটামের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং দাবি না মানায় বুধবার রাতে এই বিক্ষোভ ও মশাল মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অবরোধে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে

প্রসঙ্গত, ৮ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে গত ১৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় ডিসেম্বরের শীতকালীন ছুটি পিছিয়ে আগামী বছরের ৫ থেকে ১৬ জানুয়ারি করা হয়। একই সাথে ছুটিতে আবাসিক হলসমূহ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

হল বন্ধের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত ২০ নভেম্বর ক্যাম্পাসে মানববন্ধনের চেষ্টা করেন শিক্ষার্থীরা। কিন্তু মানববন্ধনের অনুমতি না নেওয়ায় প্রক্টরিয়াল বডি এসে তা পণ্ড করে দেওয়ার অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা ও প্রক্টর বাকবিতন্ডতায় জড়িয়ে পড়েন। মানববন্ধনে প্রক্টরিয়াল বডির বাধার প্রতিবাদে ও হল বন্ধের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে পরদিন বৃহস্পতিবার ফের মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর থেকে ধারাবাহিকভাবে বিক্ষোভ, সম্মিলিত প্রতিবাদী গান, মশাল মিছিল ও রোড পেইন্টিং করে আসছেন তারা। এছাড়া অর্বাচীন নামে প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল শিক্ষার্থীরা।

এই দাবিগুলো দ্রুত মেনে নেওয়ার দাবিতে গত রোববার (১ ডিসেম্বর) উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বরাবর লিখিত স্মারকলিপি দিয়েছে শিক্ষার্থীরা।