অসাধু উপায়ে ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম, তদন্ত কমিটি
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় বি (সামাজিক বিজ্ঞান) ইউনিটের তৃতীয় শিফটে মেধা তালিকায় প্রথম হয়েছেন মিসকাতুল জান্নাত নামের এক শিক্ষার্থী। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষায় এ ও এফ ইউনিটে অংশগ্রহণ করেও একটিতেও পাস করতে পারেননি মিসকাতুল। অসাধু উপায়ে সে প্রথম হয়েছে বলে অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে।
অন্যসব ইউনিটে পাস না করে কীভাবে সে বি ইউনিটে প্রথম হয় তা নিয়ে বেরোবি শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
এদিকে অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বেরোবি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়টির রেজিস্ট্রার আবু হেনা মুস্তাফা কামালের স্বাক্ষরিত এক আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক এবং ফাইন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নুর আলম সিদ্দিককে আহ্বায়ক করে ৩ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাজিয়া সুলতানা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক মো. সানজিদ ইসলাম খান। কমিটিকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মিসকাতুল বগুড়ার ধুনট উপজেলার গোসাইগাড়ী ইউনিয়নের এনামুল বারীর মেয়ে এবং বেরোবির ইংরেজি বিভাগের প্রভাষক ইমরানা বারীর আপন ছোট বোন। ‘বি’ (সামাজিক বিজ্ঞান) ইউনিটে ওই শিক্ষার্থী যে পরিমাণ মার্কস পেয়েছে ছয় ইউনিটের ১৬ শিফটে কেউ সে পরিমাণ মার্কস তুলতে পারেনি।
মিসকাত বেরোবিতে তিনটি ইউনিটে পরীক্ষা দেয়। ‘এ’ ইউনিটের তৃতীয় শিফটের (রোল-১৪১৭৫২) পরীক্ষায় নূন্যতম মার্কস (৩০) নিয়ে পাস করতে পারেনি মিশকাত। একইভাবে ‘এফ’ ইউনিটের চতুর্থ শিফটের (রোল-৬৪১৭৫১) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে অকৃতকার্য হন তিনি। অথচ ‘বি’ ইউনিটের (সামাজিক বিজ্ঞান) চতুর্থ শিফটের (রোল ২৪০২৭৮) পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এমসিকিউয়ে ৮০ মার্কস এর মধ্যে ৬৭.২৫০ সহ মোট ৮৫. ৪৮৫ পান। যা অন্য কোনো ইউনিটে আর কেউ তুলতে পারেনি।