'করোনাযুদ্ধে ভয়কে জয় করতে হবে'
করোনাযুদ্ধে 'ভয়কে জয় করতে হবে' তা না হলে দীর্ঘ মেয়াদে তরুণদের মাঝে স্নায়ুবিক বৈকল্যজনিত শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে বলে মনে করেন হার্ভার্ড গবেষক সুজান বেনেসিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভিত্তিক সেভ ইয়ুথ বাংলাদেশের উদ্যোগে (SAVE Youth Bangladesh) এবং আইএফইএস ও ইউকেএইডের সহযোগিতায় 'বাংলাদেশ ইয়ুথ কোবিড-১৯ গোলটেবিল আলোচনা' [অনলাইন] অনুষ্ঠিত হয়।
এই আলোচনায় বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসাবে যুক্ত হন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক এবং ডেঞ্জারাসস্পিচ (DangerousSpeech) প্রজেক্টের পরিচালক সুজান বেনেসিশ, আইএফইএসের আঞ্চলিক পরিচালক বাসু মোহন, আইইডিসিআরের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান ড. এ এস এম আলমগীর ঢাবির রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আইনুল ইসলাম, ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ড দিলরুবা জেবা। আলোচনায় আরও অংশ নেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বেচ্ছাসেবক, গবেষক ও শিক্ষার্থীরা।
এ সময় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক সুজান বেনেসিশ বলেন, এই সংকটকালীন সময়ে 'ভয়কে জয় করতে হবে', তা না হলে দীর্ঘ-মেয়াদে তরুণদের মাঝে স্নায়ুবিক বৈকল্যজনিত শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া তথ্য 'ফ্যাক্ট চেকিং' এবং 'গুড জার্নালিজমের' মাধ্যমে যাচাইবাছাই করে নিতে হবে। করোনাসংক্রান্ত মিথ্যা তথ্য, গুজব, মিথ্যা চেতনা, সামাজিক কলঙ্ক বা সোশ্যাল স্টিগমা এবং সামাজিক বিভক্তি ও বৈষম্যমূলক আচরণ মধ্যম ও দীর্ঘ মেয়াদে সামাজিক সহিংসতা এবং অস্থিরতা তৈরি করবে। এর ফলে স্বাস্থ্যগত বিপর্যয়ের পাশাপাশি সামাজিক বিপর্যয় নেমে আসবে।
আইএফইএসের প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিচালক বাসু মোহন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার 'ইনফোডেমিক' কিংবা ‘তথ্যের মহামারির’ কথা উল্লেখ করে করোনা চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ সংক্রান্ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া মিথ্যা তথ্য এবং গুজব প্রত্যাখ্যান করে বাংলাদেশের তরুণদেরকে বিকল্প, বিজ্ঞানভিত্তিক এবং মানবিক তথ্য প্রচারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি মনে করেন 'ইনফোডেমিক' মূলত তরুণদেরকে বিশ্বাসযোগ্য তথ্যভাণ্ডার চিনে নেওয়া থেকে বিভ্রান্ত করে।