তৌহিদ হত্যার অধিকতর তদন্ত চান জাককানইবির শিক্ষকরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা

মানববন্ধন করেন শিক্ষকরা

জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাককানইবি) ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী তৌহিদ হত্যাকাণ্ডের অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

সোমবার (১১ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের জয় বাংলা ভাস্কর্যের পাদদেশে শিক্ষক সমিতি আয়োজিত এক মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয় ।

বিজ্ঞাপন

এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা অংশ নেন। সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. নজরুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক শাহজাদা আহসান হাবীব।

শিক্ষকদের পক্ষে অধিকতর তদন্তের দাবি জানিয়ে লিখিত বিবৃতি পাঠ করেন নাট্যকলা ও পরিবেশনা বিদ্যা বিভাগের শিক্ষক মাজহারুল হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত শেষে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেই সাথে পরিবারের বক্তব্য ও মেস মালিকের প্রকাশিত বক্তব্যের ফলে আমাদের বিভিন্ন প্রশ্নের সম্মুখীন করছে। তাই অধিকতর তদন্তের মাধ্যমে খুনের সাথে কে কে জড়িত তা শনাক্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। সেই সাথে পরবর্তী তদন্তটি যেন পিবিআই এর মাধ্যমে করা হয়। আর বিচার না পাওয়া পর্যন্ত শিক্ষকরা আন্দোলনে থাকবে।

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘শিক্ষকদের আন্দোলন সম্পর্কে আমরা অবগত। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়েই তদন্ত করেছি। মামলার ৮০ শতাংশ কাজ এরইমধ্যে সম্পন্ন করেছি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলেই চার্জশীট দাখিল করা হবে। আর বাদী পক্ষ যদি তদন্তে সন্তুষ্ট না থাকে তবে তারা মহামান্য আদালতে অন্য সংস্থার কাছে তদন্ত হস্তান্তর এর জন্যে আবেদন করতে পারেন।’

মামলার সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে নিহতের মামা ফারুখ আহম্মেদ বলেন, ‘আমরা অধিকতর তদন্তের দাবি জানাব। তার পূর্বে মামলার কাজ সম্পন্ন করতে একজন আইনজীবীর প্রয়োজন। আমাদের তেমন পরিচিত কেউ নেই, তবু চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

গত ১ মে ভোরে ময়মনসিংহ নগরের তিনকোনা পুকুরপাড় এলাকার একটি মেসে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তৌহিদুল ইসলাম খানকে দুর্বৃত্তরা ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। মেস মালিক আহত অবস্থায় তৌহিদুলকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। হত্যার তিন দিন পর পুলিশ আতিকুজ্জামান আশিক (২৭) নামের একজনকে আটক করে এবং তিনি আদালতে ১৬৪ ধারায় হত্যার দ্বায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।