সাতক্ষীরায় ঠাণ্ডাজনিত ডায়রিয়ার প্রকোপ
কনকনে শীতে কাঁপছে সাতক্ষীরাসহ সারা দেশ। শীতল বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগ। শিশুদের শীতজনিত কারণে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে।
সাতক্ষীরার সদর হাসপাতাল সূত্র জানায়, গত একমাসে শিশু ওয়ার্ডে ৩৬৪ জন রোগী ভর্তি হয়। এর মধ্যে গত এক সপ্তাহে ভর্তি হয়েছে ৮৪ জন শিশু রোগী। এদের প্রায় সবাই শীতজনিত ডায়রিয়ায় আক্রান্ত। বুধ ও বৃহস্পতিবার (২ ও ৩ জানুয়ারি) সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে প্রায় ৪০জন শিশু রোগী। অথচ এ
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের ধারণ ক্ষমতা মাত্র ১২জন।
অধিকাংশ শিশুর চিকিৎসা চলছে মেঝেতে ও বারান্দায়। ১২ জন শিশুর ধারণ ক্ষমতার ওয়ার্ডে চিকিৎসা নিচ্ছে ৪০জন শিশু। এতে করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন। তার ওপর গত এক বছর ধরে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে নেই কোন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। সাতক্ষীরা মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার শামসুর রহমান দিনে দুইবার এসে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে শিশু রোগীদের দেখাশুনা করছেন বলে জানান রোগীর স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল ৩১ জন শিশু। এদের অনেকেই ডায়রিয়া রোগে আক্রান্ত। এদের কয়েকজন ভুগছে শ্বাসকষ্টে। তাদের দেয়া হচ্ছে অক্সিজেনসহ অন্যান্য চিকিৎসা।
শিশু রোগীদের স্বজনরা জানান, ডাক্তার স্বল্পতার কথা। একজন ডাক্তার মেডিকেল কলেজ থেকে এসে এখানে দিনে দুইবার দেখে যান। ওষুধপত্র দেন।
ডাক্তার শামসুর রহমান বলেন, 'সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ডাক্তার শূন্যতার কারণে এভাবে এক বছর যাবত তিনি শিশুরোগীদের দেখাশুনা করছি। দিনে রাতে দুইবার তিনি অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছি। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডটির অবস্থা জরাজীর্ণ। জানালায় নেই গ্লাস। তাই অবস্থা বুঝে অনেক সময় শিশুরোগীদের বাড়িতে পাঠানো হয়।'
সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, 'হাসপাতালে ওষুধের ঘাটতি না থাকলেও ডাক্তার সংকট রয়েছে। ইতোমধ্যে কয়েকবার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানানো হয়েছে। আশা করা যায়, খুব শীঘ্রই ভাল খবর পাওয়া যাবে।'