পরকীয়ার কারণে স্ত্রীকে হত্যা করে স্বামী
টাঙ্গাইলের সখীপুরে গৃহবধূ নিলুফা আক্তার হত্যা মামলার প্রধান আসামি তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৩ জানুয়ারি) ভোরে টাঙ্গাইলের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে সখীপুর উপজেলার হামিদপুর বাজার থেকে জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী (২৭) গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম মেহেদী (২৭) বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি থানা সদরের বাবলু প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ জানায়, জাহাঙ্গীর সখীপুর পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডে স্ত্রী নিলুফাকে নিয়ে বাসা ভাড়া করা বাসায় থাকতেন।
গ্রেফতারের পর টাঙ্গাইল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে দেওয়া জবাববন্দিতে জাহাঙ্গীর আলম জানান, জনৈক ফারুকের সাথে তার স্ত্রী নিলুফা আক্তারের পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এই কারণে তিনি তাকে (নিলুফা) গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা লাশ ঘরে রেখেই পালিয়ে যান।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ অক্টোবর সখীপুর উপজেলা সদরের ৮নং ওয়ার্ডের জেলখানা মোড় সংলগ্ন জনৈক আব্দুল হামিদের ভাড়াটিয়া বাসার একটি কক্ষ থেকে গৃহবধূ নিলুফা আক্তারের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে সখীপুর থানা পুলিশ।
এ ঘটনায় ওই দিনই নিলুফা আক্তারের বাবা সরুজ আলী বাদী হয়ে জামাতা জাহাঙ্গীর আলম মেহেদীর নাম উল্লেখ করে সখীপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।