মৃতপ্রায় সাইডুলী, বেকার জেলেপাড়া



মো. জিয়াউর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নেত্রকোনা, বার্তা২৪.কম
সাইডুলী নদী, ছবি: বার্তা২৪

সাইডুলী নদী, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

এক সময়ের নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার খরস্রোতা সাইডুলী নদীটি এখন মৃতপ্রায়। প্রায় ১৫ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য ও ৩০০ থেকে ৪০০ ফিট প্রস্থ মগড়া নদীর শাখা নদী সাইডুলী রূপ-লাবণ্য আর মৎস্য সম্পদে ছিল সমৃদ্ধ। কয়েক বছর আগেও এই নদীপথ দিয়ে চলতো ছোট বড় অসংখ্য নৌকা। নদীতে পাল তোলা নৌকার মনোরম দৃশ্য দেখে দৃষ্টি আটকে যেতো যে কারও।

কিন্তু কালের আবর্তে সাইডুলী নদীর সেই রূপ-লাবণ্য ও সমৃদ্ধ মৎস্য সম্পদ কোনোটাই আজ আর নেই। সাইডুলী নদীতে এখন আর দেখা মেলেনা বাহারি সব নৌকা চলাচলের দৃশ্য। অথচ এক সময় এই নদীপথে ধান, পাটসহ বাণিজ্যের মালামাল নৌকায় পরিবহন করা হতো। নদীপথে বাণিজ্য কেন্দ্র করেই তখন সাইডুলী নদীর তীরে গড়ে উঠেছিল অসংখ্য দোকান পাট। বাণিজ্য মোকাম ও নৌ ঘাট গোগবাজার। আজ না আছে সাইডুলীর সেই পানি প্রবাহ, না আছে নৌ ঘাট ও বাণিজ্য মোকাম। অতীতের স্মৃতি ধারণ করে কালের সাক্ষী হয়ে গোগবাজারই শুধু রয়ে গেছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/08/1546939729417.gif

বর্ষা মৌসুমে ৩-৪ মাস সাইডুলীর বুকে কিছুটা পানি প্রবাহ থাকে। এছাড়া সারাবছরই সাইডুলী আর নদীরূপে থাকে না। বর্তমানে এ নদী মৃতপ্রায়। নদীর সব রূপ-লাবণ্য হারিয়ে মরা খালে পরিণত হয়েছে। নদী পানিশূন্য হয়ে শুকিয়ে গেছে। অনেক স্থানে চর পড়েছে। এলাকার সাধারণ মানুষ নদী পারাপার হচ্ছেন পায়ে হেঁটেই। নদীর বুক জুড়ে তৈরি হয়েছে অসংখ্য বীজতলা। কোথাও কোথাও চাষ করা হয়েছে ধান ও সরিষাসহ নানা রকম ফসল।

নদীর এমন করুন দুর্দশার প্রভাব পড়েছে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোর কৃষকসহ জেলে পরিবারগুলোর জীবনেও। বোরো মৌসুমে এই নদীর পানির মাধ্যমে সেচ দিয়ে এলাকার কৃষরা তাদের জমি চাষাবাদ করতেন। কিন্তু নদীতে পানি না থাকায় কৃষকরা তাদের বোরো চাষ করতে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অপরদিকে এই সাইডুলী নদীই ছিল নদী তীরবর্তী জেলে পরিবারগুলোর জীবিকা নির্বাহের একমাত্র উপায়।

কিন্তু দখল, দূষণ ও নাব্যতা সংকটসহ নানাবিধ কারণে নদীর এমন বেহালদশায় জেলেরাও হয়ে পড়েছে কর্মহীন। নদীতে পানি ও মাছ দুটোই না থাকায় জেলেরা অনেকেই পেশা বদল করেছেন। কেউ কেউ আবার জীবিকার তাগিদে হয়েছেন এলাকা ছাড়া।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/08/1546939761534.gif

সাইডুলী নদী তীরবর্তী নওপাড়া ইউনিয়নের কাউরাট গ্রামের মৎস্যজীবী জুনায়েদ মিয়া জানান, এই নদীতে মাছ ধরে এবং তা বিক্রি করেই জেলেদের সংসার চলত। কিন্তু এখন নদী আর নদী নাই। নদীতে পানি নাই, মাছও নাই। তাই জেলেরা কর্মহীন অবস্থায় বেকার ও পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অনেকেই এ পেশা ছেড়ে অন্য কাজ করছেন। আবার কেউ সংসার চালাতে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছেন বলেও তিনি জানান।

একই গ্রামের কৃষক মুক্তুল হোসেন বলেন, 'নদী ভরাট হয়ে গেছে। পানি নাই। তাই কৃষকরা বোরো চাষ নিয়ে অনেক দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। নদীতে পানি না থাকা বিকল্প ব্যবস্থায় সেচ দিয়ে চাষাবাদ করতে হচ্ছে।'

নদী তীরবর্তী কান্দিউড়া ইউনিয়নের জালালপুর গ্রামের প্রবীণ জালাল উদ্দিন বলেন, 'সাইডুলী এক সময় বিশাল নদী ছিল। সারাবছর নদী দিয়ে বড় বড় নৌকা চলাচল করতো। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নৌকার মাধ্যমে এ নদী দিয়ে ধান, পাট আমদানি-রফতানি করা হত এবং গোগবাজার নৌ ঘাট ও বাণিজ্য মোকাম হিসাবে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু আজ সে সবের কিছুই নাই। নদী আর নদী নাই। ভরাট হয়ে গেছে। পানি নাই। মাছ নাই।' 

তাই অবিলম্বে সাইডুলী নদী খনন করে নদীর পানি প্রবাহ ফিরিয়ে দেওয়া, স্থানীয় জেলেদের কর্মসংস্থান ও এলাকার কৃষকদের চাষাবাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার জন্যও তিনি সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষে সুদৃষ্টি কামনা করেন।

এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসাইনের সাথে কথা হলে তিনি সাইডুলী নদীর বেহালদশার কথা স্বীকার করে বার্তা২৪.কমকে জানান, বর্ষা মৌসুমে নদীতে অভয়াশ্রম স্থাপনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধির চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে জরুরি মৃতপ্রায় এই নদীটি খননসহ প্রয়োজনীয় সংস্কার করা দরকার।

নদী তীরবর্তী জেলে পরিবারগুলোর বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'প্রাথমিকভাবে নিবন্ধনের মাধ্যমে জেলেদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। সরকারের পরবর্তী নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;