মা হলো বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি, বাবা হল না কেউ !

  • শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নড়াইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

মা হলো বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়েটি বাবা হলো না কেউ! বুধবার (৯ জানুয়ারি) সকালে সদর উপজেলার হাতিয়াড়া বাজার সংলগ্ন একটি পুকুর পাড়ে সিমা নামের ওই প্রতিবন্ধী মেয়েটি যখন প্রসব বেদনায় ছটফট করছিল স্থানীয় কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে একটি কন্যা সন্তান ভূমিষ্ট হয়। সংবাদ শুনে হাসপাতালে ছুলে আসেন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার।

জানা গেছে, সিমার মা-বাবা অনেক আগেই মারা গেছেন তারপর থেকেই সে রাস্তা-ঘাটসহ নড়াইল শহর দিয়ে ঘুড়ে বেড়াত বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সিমা। এভাবে ঘোরাফেরার কারণে সিমাকে সুস্থ করার জন্য আশ্রয় দেন সদর উপজেলার হাতিয়াড়া গ্রামের নির্মল পাঠকের স্ত্রী চন্দনা পাঠক। কিছুদিন দেখা শুনা করলেও ৩-৪ মাস আগে সিমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন চন্দনা পাঠক সিমা গর্ভবতি বুঝতে পেরে। তখন থেকে সিমা রাস্তায় রাস্তায় দিন-রাত যাপন করতেন।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাটি ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য অসিম পাঠক বলেন, বুধবার সকালে সিমাকে দেখতে পেয়ে আমিসহ কয়েকজন মিলে হাসপাতালে নিয়ে আসি। দুই তিন ঘণ্টা হাসপাতালে পরিচর্যা শেষে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সিমা ফুটফুটে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন।

এদিকে সংবাদ শুনে ছুটে হাসপাতালে ছুটে আসেন জেলা প্রশাসক আন্জুমান আরা ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। এসময় এই শীতে সিমা এবং সদ্য ভুমিষ্ঠ শিশুটি কোনো সমস্যা বা কষ্ট না পায় তার জন্য দুইটি কম্বল দেন। ওই মা ও শিশুটির দেখা শুনার জন্য কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের সুচিকিৎসারও নির্দেশ দেন।

বিজ্ঞাপন

সদর হাসপাতালের গাইনি বিশেষজ্ঞ ডাঃ মীনা হুমায়ুন কবীর বার্তা২৪.কমকে বলেন, বুদ্ধি প্রতিবন্ধী সিমা ও তার সন্তান দুজনই ভাল আছে।

জেলা প্রশাসক আনজুমান আরা বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রতিবন্ধী ওই মেয়েটিকে আমরা দেখতে গিয়েছিলাম। চিকিৎসক ও নার্সদের তাদের প্রতি বিশেষ নজর রাখার জন্য বলা হয়েছে। ইতিমধ্যে সন্তানহীন কয়েকজন আমাদের কাছে সন্তানটিকে নেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন। যাচাই বছাই করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।