মাশরাফির শহর সিসিটিভির আওতায়

  • শরিফুল ইসলাম, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নড়াইল, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নড়াইল শহর ও লৌহগড়া পৌর এলাকায় সিটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

নড়াইল শহর ও লৌহগড়া পৌর এলাকায় সিটি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

সিসিটিভির আওতায় এনে নিরাপত্তার বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে নড়াইল শহরে। নড়াইল শহর ও লোহাগড়া পৌর এলাকার জনগণের সার্বিক নিরাপত্তায় শহরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ৬২টি সিসি ক্যামেরা বসানোর কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়ছে।

নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নিজ হাতে গড়া নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, গত ১৬ ডিসেম্বর নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন ও সিডনিশান ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সিসি ক্যামেরা ও মনিটর স্থাপন সংক্রান্ত এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/10/1547111027839.gif

বিজ্ঞাপন

ঢাকার গুলশানে দাহুয়া-সিডনিশান সেন্টারে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মাশরাফি বিন মর্তুজা ও সিডনিশান ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী সাগর টিটো।

এ চুক্তি স্বাক্ষরের পর নড়াইল শহরের ১৫টি পয়েন্টে ৩৮টি ক্যামেরা ও লোহাগড়া পৌর এলাকার পাঁচটি পয়েন্টে ২৪টি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।

নড়াইলের ব্যবসায়ী ইনামুল হোসেন বলেন, ‘শহর সিসি ক্যামেরায় আনার কারণে এখন থেকে কেউ অপরাধ করতে গেলে  ভয় পাবে। কেউ অপরাধমূলক করলেও পুলিশ সহজেই তাকে আইনের আওতায় আনতে পারবে। নিরাপদে ব্যবসা বাণিজ্য করতে পারব।’

শহরের ভওয়াখালী এলাকার জিমি আক্তার বলেন, ‘আগে বখাটে ছেলেরা শহরের বালিকা বিদ্যালয়সহ বিভিন্নস্থানে আড্ডা দিয়ে শিক্ষার্থীদের কটূক্তি করত। তবে এখন আর কেউ সেই সাহস পাবে না।’

লোহাগড়া তানভীর আহম্মেদ কাজল বলেন, ‘জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে মাশরাফি এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/10/1547111048964.gif

এ ব্যবস্থার ডিজাইনার ও সমম্বয়কারী এম সাব্বির হোসেন বলেন, ‘সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ২৫ লাখ টাকা। প্রথম দুই বছর সিডনিশান ইন্টারন্যাশনাল এবং পরবর্তীতে নড়াইল জেলা পুলিশ এবং নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন এটি দেখাশোনা করবে।’

নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক তরিকুল ইসলাম অনিক বলেন, ‘নড়াইলের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য প্রাথমিক অবস্থায় ৬২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এর পর জেলার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান সিসিটিভির আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে।’

এ উদ্যোগে নড়াইল শহরে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে আসবে বলে মনে করেন জেলার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন। তিনি বলেন, ‘স্থাপিত ক্যামেরাগুলো পুলিশের কার্যালয় থেকে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এর ফলে শহরে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড কমে যাবে। জেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।