এমআরপির নামে ওষুধের ফার্মেসিতে নৈরাজ্য



এস এম জামাল, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কুষ্টিয়া, বার্তা২৪.কম
এমআরপির নামে ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য। ছবি: বার্তা২৪.কম

এমআরপির নামে ওষুধের বাজারে নৈরাজ্য। ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ায় ওষুধের বাজার এখন সিন্ডিকেটের দখলে। জেলা ড্রাগিস্ট অ্যান্ড কেমিস্ট সমিতির কতিপয় শীর্ষ নেতাদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ বিরাজ করছে জনমনে। সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের (এমআরপি) নামে ওষুধের বাজারে নৈরাজ্যকর অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

ওষুধ বিক্রির প্রতিষ্ঠান ফার্মেসি ব্যবসা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান প্রতিনিয়ত ভঙ্গ করছে লাইসেন্সের শর্ত। বিক্রি করছে বে-আইনি ওষুধ। কিছু ওষুধ নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় সংরক্ষণের বিধিবদ্ধ নিয়ম থাকলেও সে ব্যবস্থা নেই অনেক ফার্মেসিতে।

জানা গেছে, জেলা শহরের অলিগলি এবং বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলের বেশিরভাগ ফার্মেসিরই কোনো লাইসেন্স নেই। ফলে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ফার্মেসিগুলোর অধিকাংশই বিক্রি করছে ভেজাল, মেয়াদোত্তীর্ণ, নকল, অনুমোদনহীন ওষুধ।

অথচ ওষুধ বিক্রি এক সময় ‘অভিজাত ব্যবসা’ হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও এখন তা নেই বললেই চলে। ভোক্তাদের প্রয়োজন আর চাহিদা বুঝে ফার্মেসি মালিকদের অনেকে প্রায় নিয়মিতই ওষুধের অযৌক্তিক দাম আদায় করছে।

বিশেষ করে মৌসুমি অসুখে ওষুধের চাহিদা থাকায় দাম নেয়া হয় বেশি। এছাড়া হৃদরোগ, ক্যানসার সহ জটিল শারীরিক সমস্যায় ব্যবহৃত বিদেশি উচ্চমূল্যের ওষুধের দাম নেয়া হচ্ছে ইচ্ছে মতো।

অ্যাজমার ইনহেলারের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দাম রাখা হয়। এদিকে কোম্পানিগুলোর মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ওষুধ বিপণন এখন ‘মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভ’ নির্ভর হয়ে পড়েছে।

মেডিকেল রিপ্রেজেন্টেটিভরা দোকানিকে বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে নিজেদের ওষুধ বাজারজাত করতে তৎপর থাকে। এমনকি বাকিতে ওষুধ দিয়ে পরে টাকা পরিশোধের সুযোগ দিচ্ছে তারা।

ওষুধ প্রশাসনে জনবল সংকটের কারণে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী দিনের পর দিন চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ, ভেজাল ও নাম সর্বস্ব ঔষধ কেনা-বেচা। অনেক ক্ষেত্রে ফুড সাপ্লিমেন্ট বিক্রি করেও জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে দেদারছে।

কালাম নামের এক ক্রেতা বার্তা২৪.কমকে জানান, আগে আলসারের ওষুধ সেকলো অথবা লোসেকটিল ২০এমজি প্রতি পাতার (১০টি ক্যাপসুল) দাম ৫০ টাকা থাকলেও দোকানি দাম নিত ৪৫ টাকা। আর এখন ৫০ টাকাই নিচ্ছে।

কালামের মতো ওষুধ কিনতে আসা রাজিবুল সোহানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, আগে ওষুধ কিনতে গেলে মোট মূল্যের উপর ১০ শতাংশ কম রাখত। কিন্তু এখন ওষুধ কিনতে গেলে এমআরপি হিসেবেই দাম নেয়া হচ্ছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/15/1547537327792.jpg

শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এস এম কাদেরী শাকিল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ওপেন হার্ট সার্জারির রোগী। প্রতি মাসে ২ হাজার ৬শ টাকার ওষুধ প্রয়োজন হয়। আগে ওষুধ কিনতে গেলে অন্তত ৩-৪শ টাকা কম রাখত দোকানিরা। কিন্তু এখন আর সেটা পাওয়া যায়না। এটা অমানবিক। ওষুধের দোকানিরা এমআরপি থেকে ৪০% পর্যন্ত কমিশন পেয়ে থাকে। তবুও ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হয়।’

মিরপুর বাজারের হাজী ফার্মেসির মালিক আলম মণ্ডল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমরা আগের মতো চাইলেই দাম কম রাখতে পারি না। কারণ কোনো রকমে সমিতির নেতারা যদি জানতে পারে ওষুধের দাম কম নিয়েছি, তাহলে তারা আমাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

কুষ্টিয়া জেলা কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির সভাপতি হাজী রফিকুল আলম টুকু বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। আমাদের আওতাভুক্ত কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন উপজেলার ওষুধের দোকানগুলোতে এমআরপি বাস্তবায়নের কাজ করা হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘একটা লুঙ্গির উপর রেট লেখা থাকে ৫শ টাকা। অথচ সেটি বিক্রি হচ্ছে ২শ টাকা। কিন্তু ওষুধের ব্যবসাটা সেরকম না। তাই এমআরপি বাস্তবায়নে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা সবাই (ওষুধের দোকানি) রুটি-রুজির জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছি মাত্র।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;