কমরেড অমল সেন মেলা শুরু আজ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, নড়াইল, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কমরেড অমল সেন, ছবি: সংগৃহীত

কমরেড অমল সেন, ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সভাপতি, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, কৃষকদের তে-ভাগা আন্দোলনের প্রাণপুরুষ অগ্রপথিক কমরেড অমল সেনের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি)। এ উপলক্ষে নড়াইল-যশোরের সীমান্তবর্তী বাঁকড়ী গ্রামে কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী বৃহস্পতি ও শুক্রবার (১৭ ও ১৮ জানুয়ারি) অমল সেন স্মরণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে অমল সেনের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দুদিনব্যাপী এই মেলার উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক জননেতা ফজলে হোসেন বাদশা এমপি।

বিজ্ঞাপন

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি ইকবাল কবীর জাহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় কমরেড অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কমরেড বিমল বিশ্বাস, ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা মাহমুদুল হাসান মানিক, কামরুল আহসান, সাতক্ষীরা-১ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, নড়াইল-২ আসনের সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট শেখ হাফিজুর রহমান, নড়াইল জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয়, নড়াইল, যশোরসহ বিভিন্ন জেলার নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন বলে জানান, অমল সেন স্মৃতি রক্ষা কমিটির সভাপতি ইকবাল কবীর জাহিদ।

অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে আলোচনা সভা, কৃষক সমাবেশ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা ও গ্রামীণ মেলা।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (১৮ জানুয়ারি) আলোচনা, আবৃতি, গণসংগীত, গণনাটক ও গণসংগ্রাম ভিত্তিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী এবং মধ্যরাত পর্যন্ত লোকজ মেলা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রসঙ্গত, কমরেড অমল সেন ১৯১৪ সালের ১৯ শে জুলাই সদর উপজেলার আউড়িয়ার প্রখ্যাত রায় পরিবারে মামা বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন নড়াইলের আফরার জমিদার পরিবারের সন্তান। নবম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত অবস্থায় ব্রিটিশবিরোধী সশস্ত্র বিপ্লবী 'অনুশীলন’ গ্রুপের সঙ্গে সম্পৃক্ত হন।

দৌলতপুর বিএল কলেজে অধ্যয়নরত অবস্থায় মার্কসবাদী আদর্শে উদ্বুদ্ধ হন এবং গণিত শাস্ত্রে অনার্স পড়াকালীন সময়ে নড়াইলে ফিরে এসে কৃষকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন করার কাজে আত্মনিয়োগ করেন এবং জীবদ্দশায় আর পিতৃগৃহে ফিরে যাননি অকৃতদার এই বিপ্লবী।

নড়াইলের ঐতিহাসিক তে-ভাগা আন্দোলনের তিনিই ছিলেন প্রধান সংগঠক। পাকিস্তান আমলের তেইশ বছরের উনিশ বছরই পাকিস্তানি শাসকেরা তাকে কারান্তরালে কাটাতে বাধ্য করেছে। বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৩ সালের ১৭ জানুয়ারি বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বিপ্লবী এই নেতা।