নিহত বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিল বিএসএফ
নীলফামারীর ডিমলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের পাশ্ববর্তী ভারতীয় ভুজারীপাড়া সীমান্তে দেশটির সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র গুলিতে নিহত বাংলাদেশি খলিল-উর-রহমান খলিলের (৩৫) মরদেহ ফেরত পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (১৬ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১০ টার দিকে বাংলাদেশ-ভারতের ৭৯৩ নম্বর সীমান্তের প্রধান পিলার এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মরদেহটি ফেরত পাঠানো হয়। নিহত খলিল উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের খালপাড়া গ্রামের মৃত মকছেদ আলীর ছেলে। তিনি মদক ও গরু পাচারে রাখালের কাজ করতেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারি) ভোর রাতে ভুজারীপাড়া সীমান্তের ৭৯১ নম্বর পিলারের ভেতরে খলিল অবৈধভাবে প্রবেশ করলে বিএসএফ তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই খলিল নিহত হন। পরে খলিলের মরদেহ বিএসএফ সদস্যরা নিয়ে যান। ওইদিন দুপুরে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীদের মধ্যে পতাকা বৈঠক হলে বিএসএফ খলিলের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেয়।
ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ বার্তা২৪কে বলেন, ‘ভারতীয় হলদিবাড়ি থানায় এই নিহতের ঘটনায় একটি ইউডি মামলা করে মরদেহের ময়নাতদন্ত করেছে তারা। বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) নীলফামারী জেলা মর্গে নিহত খলিলের মরদেহ পুনরায় ময়নাতদন্ত শেষে তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
খলিলের মরদেহ ফেরত দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন- কোচবিহার ১৪৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের ভুজারীপাড়া ক্যাম্পের কমান্ডার আশিষ সিং, রংপুর-৫১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের বালাপাড়া কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার মোবারক আলী, ঠাকুরগঞ্জ বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নাজির উদ্দিন ভারতের কোচবিহার জেলার হলদিবাড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রবীন প্রধান ও বাংলাদেশের ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ, ও পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক সরকার প্রমুখ।