বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে স্থান সংকট, ভোগান্তিতে ব্যবসায়ীরা



ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম
বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে স্থান সংকট

বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে স্থান সংকট

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের দ্বিতীয় মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র বরগুনার পাথরঘাটার বাংলাদেশ ফিশ ডেভেলপমেন্ট (বিএফডিসি) ঘাটে স্থান সংকটে ভুগছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, প্রতিদিনই বাড়ছে ট্রলার, জেলে, পাইকার ও আড়তদারের সংখ্যা। কিন্তু এখানের স্থান সংকটের কোনো সমাধান হয় না।

ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, যেনতেনভাবে ৩ জন পাইকারকে একটি টোলঘর দিয়েছে বিএফডিসি। আর আড়তদারদের অভিযোগ, মাছ ক্রয়ের পর স্থান সংকটে বিপাকে পরতে হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮১ সালের ১৯ মার্চ বাংলাদেশের দ্বিতীয় এ মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নির্মাণ করে সরকার। এরপর আর কোনো উন্নয়ন করা হয়নি এই কেন্দ্রের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/24/1548304610512.jpg

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, ভবনের নিচতলা শুধু আরৎদাররা ব্যবহার করেন। সামনের অংশের টিনশেড ঘরে ৩ জন পাইকার মাছ প্যাকেট করছেন। অথচ সেখানে ব্যাবসায়ী আছেন প্রায় ১৮০ জন। বাকিরা গাছের নিচে বসে কাজ করে রাজধানীসহ ৪০টি জেলায় মাছ পাঠান।

মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের পাইকার কালাম মিয়া বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘বরগুনাসহ সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলার মাছ ভর্তি ট্রলার আসে বিএফডিসি’তে। এখানে ট্রলার বেড়েছে দ্বিগুণ। বেড়েছে পাইকার, আরৎদার ও জেলেদের সংখ্যা। তবে বাড়েনি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের স্থান। মাছ ব্যবসায়ীদের উন্নয়নের কোনো চিন্তা নেই কর্তৃপক্ষের। ফলে স্থান সংকটের কারণে মাছ কিনতে, প্যাকেট করতে, পরিবহনে উঠাতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/24/1548304630126.jpg

আড়তদার জালাল ফকির, নজরুল ইসলামসহ অনেকে  জানান, মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের অনেক সমস্যা। মাছ বাছাই করা, মাছ মাপা ও প্যাকেট করার জন্য যে জায়গা দরকার এখানে তার অর্ধেকও নেই। ফলে একই স্থানে ৪-৫ জন আরৎদারকে মাছ বিক্রি করতে হয়। আবার একই স্থানে মাছ রাখায় প্রতিদিনই ঝগড়া লাগে।

এ বিষয়ে ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘একটি পল্টুনে মাছ ভর্তি হাজার হাজার ট্রলার ভিড়তে হয়। সাগর থেকে ফিরে মাছ ভর্তি ট্রলার নদীতে নোঙর করে রাখতে হয়। আর মাছ তাজা রাখতে বরফ দেওয়া লাগে। ফলে মাছের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয় এবং বরফ কিনতে অতিরিক্ত খরচ হওয়ায় মাছের দাম বাড়াতে হয়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jan/24/1548304656588.jpg

মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপক লে. এম নুরুল আমিন বার্তা২৪.কম’কে বলেন, ‘পাইকার, আড়তদার, ট্রলার মালিকদের সমস্যা সমাধানে কাজ করছেন তারা। তবে এসব সমস্যা সমাধানে একটু সময় প্রয়োজন।’

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম, কুয়াকাটা, মংলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন এক থেকে দেড় হাজার ট্রলার ভেড়ে মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের এই ঘাটে। এখানে বিক্রির ওপর ১.২৫ শতাংশ হারে রাজস্ব পায় সরকার।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;