সাতক্ষীরায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে সিরিজ অভিযান

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, সাতক্ষীরা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরায় ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, ছবি: বার্তা২৪

সাতক্ষীরায় ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান, ছবি: বার্তা২৪

সাতক্ষীরায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এবার সিরিজ অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন।

বুধবার (৬ ফেব্রুয়ারি) থেকে শুরু হয়েছে এ অভিযান। প্রথম দিনেই পৃথক চারটি ইটভাটায় হানা দেয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, সাতক্ষীরায় বেতনা, কপোতাক্ষ ও মরিচ্চাপ নদীর চরে গড়ে উঠেছে প্রায় শতাধিক ইটভাটা। এসব ইটভাটা গিলে খেয়েছে নদীর চর। নদীর বাঁকে বাঁকে গড়ে ওঠেছে ইটভাটা। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) উদাসীনতায় ইটভাটা মালিকরা এ অবৈধ সুযোগ পেয়েছে বলে জেলা নাগরিক নেতৃবৃন্দের অভিযোগ।

জানুয়ারি মাসে জেলা আইনশৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সভায় অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করতে সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এরই ধারাবাহিকতায় শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। সূত্রমতে, প্রথমে শহরের সড়ক ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহ দখলমুক্ত করেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। এরপর নদী দখলমুক্ত করতে অভিযান নেমেছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সূত্র জানায়, সাতক্ষীরা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এস এম মোস্তফা কামালের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজল মোল্লা আশাশুনি উপজেলার বড়দল ইউনিয়ন এ অবস্থিত আরএসবি ইটভাটায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। এ সময় প্রায় ২০০০০ পিচ কাঁচা ইট ও অবৈধ চিমনি ফায়ার ব্রিগেডের সহায়তায় ধ্বংস করা হয়। একসঙ্গে উক্ত ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়। ভাটার মালিককে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর আলোকে শাস্তি প্রদানের সাথে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়।

এদিকে একইদিন তালা উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের এ এইচ ব্রিকস, এস এন বি ব্রিকস এবং এবি ব্রিকস ইটভাটায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট একিমিত্র চাকমা। এ সময় ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন ( নিয়ন্ত্রণ) আইন-২০১৩ অনুযায়ী লাইসেন্স না থাকায় ভাটাগুলোকে মালিককে ৪০ হাজার, এসএনবি ব্রিকস মালিককে ৪০ হাজার এবং এবি ব্রিকস মালিককে ২০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল বলেন, 'অবৈধ এবং পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। সব ইটভাটায় এই ধরনের মোবাইল কোর্ট পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।'