প্রস্তুত মঞ্চ, অপেক্ষা আত্মসমর্পণের
ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণের জন্য টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে প্রস্তুত করা হয়েছে মঞ্চ। এখন শুধু অপেক্ষা আত্মসমর্পণের।
এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আশপাশের এলাকা তিন স্তরের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
শনিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে আত্মসমর্পণ করবেন টেকনাফের শীর্ষ ১০২ ইয়াবা কারবারি। ইতোমধ্যে তাদের চুড়ান্ত তালিকাও করা হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বাংলাদেশ পুলিশের মহা-পরিদর্শক মো. জাবেদ পাটোয়ারীর।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা তালিকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ৭৩ জন। এদের মধ্যে ৩০ জন আত্মসমর্পণের জন্য পুলিশ হেফাজতে চলে এসেছেন। পাশাপাশি জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সর্বশেষ করা তালিকায় মাদক ব্যবসায়ী এক হাজার ১৫১ জন। এদের মধ্য থেকে এসেছেন ৩১ জন।
আপাতত তালিকায় থাকা বাকিদের মধ্যে ১৫ জনের মতো রয়েছেন, যারা আত্মসমর্পণের উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। স্বাভাবিক জীবনে ফেরার আশায় তারা মালয়েশিয়া থেকে দেশে এসেছেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
আত্মসমর্পণের তালিকায় থাকা ইয়াবা ব্যবসায়ীরা ৫১ জন হলেন- টেকনাফের পশ্চিম লেদার নুরুল হুদা মেম্বার, নাজিরপাড়া গ্রামের এনামুল হক এনাম মেম্বার, সাবরাংয়ের মোয়াজ্জেম হোসেন, গোদারবিল গ্রামের আব্দুর রহমান, একই গ্রামের জিয়াউর রহমান, পশ্চিম লেদার নুরুল কবির, হিৃলা পশ্চিম শিকদারপাড়ার সৈয়দ আহমদ জয়তু, নাজিরপাড়ার আব্দুর রহমান, চৌধুরীপাড়ার শফিকুল ইসলাম, নাজিরপাড়ার সৈয়দ হোসেন, নাইটংপাড়ার মো. ইউনুছ, পুরাতন পল্লানপাড়ার শাহ আলম, সাবরাংয়ের জাফর আহম্মেদ, জাহাজপুরার নুরুল আলম, হিৃলা পশ্চিম শিকদারপাড়ার রশিদ আহমদ।
হিৃলা ফুলের ডেইলের রুস্তম আলী, জুমপাড়ার দুই নম্বার ওয়ার্ডেও শফিউল্লাহ, মন্তলিয়ার জুমপাদরার দুই নম্বার ওয়ার্ডেও সৈয়দ আলম, উত্তরলম্ভির দুই নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল করিম ওরফে করিম মাঝি, সদর ইউপির এক নম্বরনওয়ার্ডের রাজারছড়ার আব্দুল কুদ্দুস, জাহেলিয়াপাড়ার মো. সিরাজ, সাবরাংয়ের আব্দুল হামিদ, নাজিরপাড়ার মো. রফিক, নতুন পল্লানপাড়ার মো. সেলিম, নাইটংপাড়ার রহিম উল্লাহ, নাজিরপাড়ার হেলাল, চৌধুরীপাড়ার মো. আলম, হিৃলা পূর্ব পানখালীর নজরুল ইসলাম, তুলাতুলির নুরুল বছর ওরফে কালা ভাই, হাতিয়ারঘনার দিল মোহম্মাদ, হাতিয়াঘনার মো. হাছন, মুন্ডারডেইলের শাহেদ রহমান নিপু।
শিলবুনিয়াপাড়ার কামরুল হাসান রাসেল, ওয়ালিয়াহবাদের আমিনুর রহমান, মারুফ বিন খলিল, আলীখালির জামাল মেম্বার, উত্তর লেঙ্গুর বিলের দিদার মিয়া, মধ্যম জালিয়াপাড়ার মোজাম্মেল হক, মৌলভীপাড়ার একরাম হোসেন, ডেইলপাড়ার আব্দুল আমিন, উত্তরপাড়ার রেজাউল করিম মেম্বার, উত্তরআলী খালির শাহ আজম, শাবরাংয়ের আলমগীর ফয়সাল ওরফে লিটন। বাকিদের নাম জানা এখনও সম্ভব হয়নি।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ বার্তা ২৪.কমকে জানান, নিরাপত্তায় সাদা, নীল পোশাকধারী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের অতিরিক্ত সদস্যরা মাঠে থাকবে। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব, বিজিবির অর্ধ-শতাধিক সদস্য কাজ করছেন।