কারাগারে বিশেষ সেলে থাকবেন আত্মসমর্পণকারীরা
কক্সবাজার থেকে: কক্সবাজারে আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারের পাঠানো হয়েছে। দীর্ঘদিনের এ ব্যবসা থেকে অর্জন করা অর্থের মায়া ভুলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাওয়ায় সরকার থেকে নানা রকম সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তারা। আত্মসমর্পণ করা ইয়াবা কারবারিরা সরকারি আইনি সহায়তা ছাড়াও পাচ্ছেন কারাগারে বিশেষ সেল।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক, কক্সবাজার জেল সুপার ও পুলিশ সুপার সমন্বয়ে এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। কক্সবাজার জেলা পুলিশ সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও আত্মসমর্পণের সমন্বয়কারী সূত্রে জানা যায়, আত্মসমর্পণ করা এই ইয়াবা কারবারিদের জন্য কারাগারে থাকছে বিশেষ সেল। সেই সেলে শুধু ১০২ জন অবস্থান করবেন। থাকা খাওয়া থেকে শুরু করে স্বাভাবিক বন্দীর তুলনায় একটু বেশি সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন তারা।
তিন মাস আগে চলতে থাকা সেচ্ছায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে আগ্রহী এই ইয়াবা কারবারিদের ডাকে সাড়া দিয়েছে সরকারের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী মহল। শনিবার দুপুরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও পুলিশের আইজির উপস্থিতিতে টেকনাফ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
এ সময় তারা সাড়ে তিন লাখ পিস ইয়াবা, ৩০টি দেশীয় এল.জি আর৭০টি তাজা কার্তুজ হস্তান্তর করেন।
এসব ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ছাড়াও সংশ্লিষ্ট জেলার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের করা তালিকায় ৭৩ জন মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে ৩০ জন গডফাদার ছিলেন।
তাছাড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সর্বশেষ করা ইয়াবা ব্যবসায়ীর তালিকার এক হাজার ১৫১ জনের মধ্যে ৩১ জন রয়েছেন ।
অন্যদিকে নানা আলোচনার পর আত্মসমর্পণ করেছেন সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির চার ভাইসহ ১৩ স্বজন। সবুজ সংকেত পাবার পর, গত পরশুদিন দুবাই থেকে দেশে ফেরেন বদির ছোট ভাই ইয়াবার গডফাদার হিসেবে পরিচিত আবদুস শুকুর।
আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি না থাকলেও বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন তার স্ত্রী কক্সবাজার-৪ আসনের সংসদ সদস্য শাহিন আক্তার।
বদির পরিবারের অন্য সদস্যরা হলেন, আমিনুর রহমান, মো. ফয়সাল রহমান, শফিকুল ইসলাম, সাহেদ রহমান নিপু, সৈয়দ হোসেন, সাহেদ কামাল, কামরুল হাসান রাসেল, মারুফ বিন খলিল, জামাল হোসেন, মোহাম্মাদ আলম, মং অং থেইন ও সামছুল আলম শামীম।