সাগর থেকে ইলিশের চোরাচালান যাচ্ছে ভারত-মিয়ানমারে



ইমরান হোসেন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বরগুনা, বার্তা২৪.কম
বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেরা লাভের আশায় সাগরেই ভারতীয় ও মিয়ানমারের পাইকারদের কাছে ইলিশ বিক্রির অভিযোগ উঠছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশি জেলেরা লাভের আশায় সাগরেই ভারতীয় ও মিয়ানমারের পাইকারদের কাছে ইলিশ বিক্রির অভিযোগ উঠছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগর থেকেই অবৈধভাবে ভারতে ইলিশ পাচারের গুঞ্জন উঠেছে বরগুনার পাথরঘাটার জেলেদের মধ্যে। জেলেদের দাবি, এক শ্রেণীর অসাধু জেলেরা সাগরেই ইলিশ বিক্রি করে দিচ্ছেন ভারতীয় পাইকারদের কাছে। অল্প সময়ে অধিক লাভ পাওয়ায় ভারতে ইলিশ পাচার করছে কিছু জেলেরা।

তবে এ নিয়ে জেলে পল্লীতে চড়ম বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারা এমন কর্মকাণ্ডে জড়িত তা সবারই জানা কিন্তু মুখ খুলতে রাজি নন জেলেরা। তবে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে মাছ না আসলে জেলেরা লাভবান হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরকার- দাবি মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের।

ইলিশে সয়লাব মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পাইকারী বাজার। কখনো দাম পরে যাচ্ছে একেবারেই অস্বাভাবিক হারে। আবার কখনো খুচরা ক্রেতাদের ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে থাকছে ইলিশ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/24/1550957210061.jpg

পাথরঘাটার বিএফডিসি ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বিএফডিসি ঘাট শ্রমিক ইউনিয়নের সহায়তায় পাথরঘাটার প্রায় ২০টি ট্রলার সাগরেই ইলিশ বিক্রি করতো। তবে এ প্রবণতা এখন ভাইরাসের মতো ছড়িয়ে পরেছে। এখন অনেক জেলেই সাগরে মাছ বিক্রি করে দিচ্ছেন।’

পাথরঘাটার এফ বি নাসিম-২ ট্রলারের কয়েকজন জেলের সাথে কথা বললে তারা প্রথমে বিষয়টি এড়িয়ে যান। পরে কৌশলে জানতে চাইলে কয়েকজন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় পাইকারদের ছড়াছড়ি। অনেক জেলেই মাছ বিক্রি করছেন তাদের কাছে।’

‘একটি ট্রলার ১৭ থেকে ১৮ জন জেলেসহ সাগরে মাছ ধরতে যায়, তবে ট্রলারের তেল খরচ ও খাবার সামগ্রী ও বরফ কিনতে কমপক্ষে দুই লাখ টাকা খরচ হয়। আর তারা সাগরেই মাছ বিক্রি করে। তাতে তাদের সেই দুই লাখ টাকা আর বার বার খরচ করতে হয় না। সাগরেই মাছ বিক্রি করে ফের মাছ ধরা শুরু করে।’

কয়েকজন জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্তা২৪.কমকে বলেন, বঙ্গোপসাগরে পর্যাপ্ত ইলিশ থাকায় সুন্দরবনের হিরণ পয়েন্ট, চালনার বয়া, পশ্চিম সুন্দরবন, ফেয়ারওয়েবয়া সহ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে ট্রলার নিয়ে ভাসমান স্থানে বাংলাদেশি পতাকা উড়িয়ে অবস্থান করে ভারতীয় পাইকাররা।’

তারা জানান, বাংলাদেশ-ভারতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কালিন্দি, রায় মঙ্গল ও হাড়িয়াভাঙ্গা নদী দিয়ে ভারতীয় পাইকারদের হাতে জেলেরা ইলিশ বিক্রি করে দিচ্ছে। মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে ইলিশ আনলে বিক্রির ১০০ টাকায় এক দশমিক ২৫ টাকা রাজস্ব দিতে হয়। তাই অনেক জেলেরা এমনটি করছে।

এদিকে পাথরঘাটার মাছেরখালে বরফ নিতে আসা মহিপুরের ইকবাল সোবাহানের মালিকানাধীন ট্রলারের জেলে শহিদুল ইসলাম, হাকিম মাঝি, বাচ্চু ঘরামী, রফিক শিকদার, সফিক শিকদার, কামাল হাওলাদার, রহিম হাওলাদার, হারুন মাঝি, সোলায়মান খানসহ বেশ কয়েকজন জেলে বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘ভোলার চরফ্যাশন, হাতিয়া মনপুরাসহ দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকশ টন ইলিশ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগর হয়ে চোরাচালান হচ্ছে ভারত ও মিয়ানমারে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Feb/24/1550957232139.jpg

তারা আরও জানান, বঙ্গোপসাগরে বিপুল পরিমাণ বড় ইলিশ ধরা পড়লেও জাটকা ও মাঝারি ইলিশ ছাড়া বড় ইলিশ আসছে না ডাঙায়।

এ ব্যাপারে বরগুনা ট্রলার মালিক সমিতির সহ-সভাপতি আবুল হোসেন ফরাজী বার্তা২৪.কমকে জানান, জেলেদের মধ্যে এমন গুঞ্জনের বিষয়ে অবগত আছেন তিনি। তবে কেউ যদি এমন কাজ করে থাকে তবে তার বিরুদ্ধে ট্রলার মালিক সমিতির সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা লেঃ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ মুঠোফোনে বলেন, ‘ভারতের পাইকার বা জেলে বাংলাদেশের জলসীমায় কখনোই অনুপ্রবেশ করে না। বাংলাদেশের জেলেদের এ অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে বাংলাদেশের জেলেরা ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশ করে এবং ভারতীয় সিম কার্ড ব্যবহার করে সেখানে তারা ব্যবসা করে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;