গাইবান্ধায় আ'লীগ নেতারাই একে অন্যের প্রতিপক্ষ



তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, গাইবান্ধা, বার্তা২৪.কম
গাইবান্ধা চলছে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা, ছবি: বার্তা২৪

গাইবান্ধা চলছে উপজেলা নির্বাচনের প্রচারণা, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ১৮ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় ধাপে গাইবান্ধার ছয়টি উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ। ইতোমধ্যেই সম্পন্ন হয়েছে বৈধ প্রার্থীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্দের কাজ। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের দিনক্ষণও শেষ হয়েছে।

এখন চলছে প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারণার কাজ। ছয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী থাকলেও পাঁচ উপজেলায়ই রয়েছে আওয়ামী লীগের দলীয় একাধিক বিদ্রোহী প্রার্থী। ফলে একে অপরের প্রতিপক্ষ হয়ে ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।

এসব প্রার্থীরা হলেন- গাইবান্ধা সদর উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী পিয়ারুল ইসলাম। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ভোটের মাঠে লড়ছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা শাহ সারোয়ার কবির।

সাদুল্লাপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী শাহারিয়া খাঁন বিপ্লব। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে রয়েছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহ মো. ফজলুল হক রানা, ও কাপ পিরিচ প্রতীকে আওয়ামী লীগ নেতা মতিয়ার রহমান সরকার।

গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী আব্দুল লতিফ প্রধান। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে দোয়াত কলম প্রতীকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ফেরদৌস আলম রাজু, ঘোড়া প্রতীকে মুকিতুর রহমান রাফি, ও আনারস প্রতিকে কৃষকলীগ নেতা জাহিদ চৌধুরী।

সাঘাটা উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী এসএম শামসিল আরেফিন। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে লড়ছেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির।

ফুলছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী জিএম সেলিম পারভেজ। তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মোটরসাইকেল প্রতীকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আবু সাঈদ, দোয়াত কলম প্রতীকে বেলাল হোসেন ইউসুফ ও ঘোড়া প্রতীকে যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান।

এছাড়া পলাশবাড়ী উপজেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক প্রার্থী একেএম মোকছেদ চৌধুরী বিদ্যুৎ। তবে এ উপজেলায় কোনো বিদ্রোহী প্রার্থী নেই।

নির্বাচনী এলাকার মাঠ ঘুরে জানা গেছে, স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের একাধিক নেতা চেয়ারম্যান পদে অংশ নেওয়ায় অনেক নেতাকর্মী বিভক্ত হয়ে তাদের পছন্দের প্রার্থীর সমর্থনে গণসংযোগ করে আসছেন। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ভোটের মাঠে প্রচারণা করতে গিয়ে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে দেখা গেছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;