কক্সবাজারে বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে নৌকা



মুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা২৪.কম
কক্সবাজারে বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে নৌকা। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারে বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে নৌকা। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। এর মধ্যে বেশি আলোচিত হচ্ছে বিদ্রোহী প্রার্থীর বিষয়টি। কক্সবাজারের ৬ উপজেলায় বিদ্রোহের আগুনে পুড়ছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

জানা যায়, চেয়ারম্যান পদে কোথাও কোথাও একজন আবার কোনো কোনো উপজেলায় চারজনের মতো বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এ নিয়ে সরকারি দলের নেতাকর্মীরাও বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। বিদ্রোহীদের অনেকেই নির্বাচন করার ব্যাপারে অনড় থাকায় বেশ ঝামেলায় রয়েছেন দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীরা।

দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থীদের আশঙ্কা শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী লড়াইয়ে বিদ্রোহীরা থেকে গেলে ফল পক্ষে আনা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। এ অবস্থায় আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিদ্রোহী প্রার্থীদের নির্বাচন থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতারা।

আগামী ২৪ মার্চ উপজেলা নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে জেলার ৬ উপজেলার রামু, মহেশখালী, পেকুয়া, উখিয়া, টেকনাফ, কুতুবদিয়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে গত মঙ্গলবার ছিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। ওই দিন ৮৭ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। এছাড়া ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২২ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪৩ জন ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

এদিকে কুতুবদিয়া ছাড়া বাকি ৫টি উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার ৫ মাঝি ছাড়াও আওয়ামী লীগের আরও ৯ নেতা বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্রের বৈধতা পান।

রামু উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রিয়াজুল আলম। কিন্তু বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সোহেল সরওয়ার কাজল। তিনি পুরো রামুর ১১ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকের প্রেরণায় মাঠে রয়েছেন বলে দাবি করেন। সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল অবশ্য দলের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে সকল নেতাকর্মী ঐক্যবদ্ধ বলে দাবি করেন।

আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বেহাল অবস্থা টেকনাফ উপজেলায়। এখানে আওয়ামী লীগের ৩ বিদ্রোহী রয়েছে। চেয়ারম্যান পদে সাবেক সাংসদ অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী দলের নৌকার মনোনয়ন পেলেও বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জাফর আহমদ। এছাড়া মাঠে রয়েছেন উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নুরুল আলম। ফলে দলীয় প্রার্থীর গলদঘর্ম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে মহেশখালীতেও। দলীয় প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ হোছাইন ইব্রাহীম। মাঠে রয়েছে মহেশখালী যুবলীগের আহ্বায়ক সাজেদুল করিম এবং ইসলামী ঐক্যজোটের প্রার্থী এরফান উল্লাহ। ফলে প্রার্থী নিয়ে উক্ত উপজেলার আওয়ামী পরিবারে রয়েছে দ্বিধাবিভক্তি।

অপরদিকে পেকুয়ায় দলীয় প্রার্থী রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক আবুল কাশেম। মাঠে বিদ্রোহী রয়েছেন একই দলের জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এসএম গিয়াস উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আবু শামা শামীম। ফলে মাঠে কোন্দল তীব্র আকার ধারণ করতে পারে।

উখিয়াতে দলের প্রার্থী অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরী থাকলেও প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহমুদুল হক চৌধুরী। মাঠে রয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা আবুল মনসুর চৌধুরী। এ উপজেলায় এখনো প্রার্থিতা বহাল রয়েছে সাংবাদিক এবং সংগঠক তরুণ প্রজন্মের প্রিয়মুখ ইমরুল কায়েস চৌধুরীর। পূর্বে উন্নয়ন করার কারণে বিশেষ করে সাধারণ মানুষের আস্থার প্রতিদান দেওয়ায় মাহমুদুল হক চৌধুরীর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। ফলে এ উপজেলায় মাহমুদুল হক চৌধুরীকে এগিয়ে রাখছেন অধিকাংশ নেতাকর্মীরা।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে জানান, যত বিদ্রোহীই থাকুক না কেন, মানুষ নৌকার পক্ষে ভোট দেবে। দলীয় সিদ্ধান্তের কথা চিন্তা করে অনেকে সরে দাঁড়াবেন বলেও জানান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;