মাদক বহনে কৌশল পাল্টাচ্ছে ব্যবসায়ীরা
মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্সে রয়েছে ঝিনাইদহের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির কঠোর অভিযানের কারণে প্রায় প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে মাদক ব্যবসায়ীরা।
এ কারণে গ্রেফতার এড়াতে মাদক ব্যবসায়ীরা কৌলশ পাল্টে ব্যবহার করছে নারীদের। আর অভাবের তাড়নায় নারীরাও বেছে নিচ্ছে অবৈধ এ পথ। তবে ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে মূল হোতারা।
জেলা পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৭৭০ বোতল ফেনসিডিল, ৮ হাজার ৫৮৬ পিস ইয়াবা ও ১২ কেজি ৭শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করেছে। আর মাদকের মামলা হয়েছে ৩৩৭টি। মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে ৩৭২ জন।
জানা গেছে, গত ৫ এপ্রিল ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলার কাগমারী এলাকা থেকে ২৫৩ বোতল ফেনসিডিলসহ ৩ নারী ও ১ কিশোরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়িয়া গ্রামের ওমেদুল মণ্ডলের স্ত্রী হাজরা বেগম (৪০), আশরাফ মণ্ডলের স্ত্রী জোসনা বেগম (৩৫), আলেক শেখের স্ত্রী খাদিজা বেগম (৪০) ও মহিদুল হোসেনের ছেলে শাকিল হোসেন।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতারকৃতরা পেশাদার। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক মামলা আছে। আর এদের গডফাদার জীবননগর শহরের সদরপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী আলি কদর। তিনি নারীদের দিয়ে মাদক বহন করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার জন্য জন প্রতি ২ হাজার টাকা করে চুক্তি করেছিলেন। এরপর নারীরা শরীরের সঙ্গে বিশেষ কায়দায় ভ্যানিটি ও স্কুল ব্যাগে করে মাদক বহন করেছিলেন। তবে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে সফল হয়।
গত ৮ এপ্রিল সোমবার সকালে কোটচাঁদপুর উপজেলার সোয়াদী গ্রাম থেকে ১৭৭ বোতল ফেনসিডিলসহ শিউলী বেগম (৪৫) ও জহুরা খাতুনকে (৪০) গ্রেফতার করে পুলিশ। তারা মুড়ির ব্যাগ, ভ্যানিটি ব্যাগ ও শরীরের নানা স্থানে মাদক লুকিয়ে বহন করেছিলেন।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, জীবননগরের এক মাদক কারবারি এর মালিক।
ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকা এসব মূল হোতাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি সচেতন মহলের।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর হস্তক্ষেপে প্রতিনিয়ত ধরা পড়ছে চালান। মাদকের গডফাদারদেরও একে একে আইনের আওতায় আনা হবে।