৩০ বছর ধরে নতুন ব্রিজের অপেক্ষা
![দুই সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙা ব্রিজ / ছবি: বার্তা২৪](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2019/Apr/12/1555070422715.jpg)
দুই সড়কের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ভাঙা ব্রিজ / ছবি: বার্তা২৪
দীর্ঘ ৩০ বছর ধরে একটি নতুন ব্রিজ নির্মাণের অপেক্ষায় আছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ-সেতাবগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দারা। ১৯৮৮ সালের বন্যায় সেখানের ব্রিজটি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় এই দুই উপজেলার সড়ক যোগাযোগ। ব্রিজের দু’পাশের অংশ ভেসে গেলেও মাঝখানের অংশটি এখনো দাঁড়িয়ে আছে।
বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা নতুন ব্রিজ নির্মাণের কথা দিলেও কেউ কথা রাখেননি।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, গত ৩০ বছরে অনেকে চেয়ারম্যান-মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচন এলে নেতারা এ ব্রিজটি নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু ভোট শেষে কোনো নেতাকে আর এলাকায় দেখা যায় না। ব্রিজটি ভেঙে পড়ার পর এখনো মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দুই উপজেলার ২০টি গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ উপজেলার জাবরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল খালেক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘নতুন ব্রিজের কথা বলতে বলতে জীবন শেষ। কবে যে ব্রিজিটি নির্মাণ হবে সেটা কেউ বলতে পারে না। নতুন ব্রিজ হলে দুই উপজেলার মানুষেরই উপকার হতো।’
জাবরহাট ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল মজিদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘একটা ব্রিজের অভাবে পাশের উপজেলার (সেতাবগঞ্জ) সঙ্গে আমাদের যোগযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন। ব্রিজের ওই পাশের বাজারে আমাদের অনেকের ব্যবসা আছে। ফলে প্রতিদিনই সেখানে যেতে হয়। শুষ্ক মৌসুমে পানি নাই বলে যাওয়া সম্ভব। কিন্তু বর্ষার সময় যাতায়াতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়।’
জাবরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মুনমুন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সড়কটি মেরামত না করায় সারা বছর নদীর পানি ভেঙে স্কুলে যেতে হয়। তবে খরা মৌসুমে একটু কম কষ্ট হলেও বর্ষার সময় দুটি ড্রেস নিয়ে স্কুলে যেতে হয়। যার একটি ব্রিজ এলাকা পার হতেই ভিজে যায়। অন্যটি স্কুলে গিয়ে পড়তে হয়।
জাবরহাট ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবির মুখে নতুন ব্রিজ নির্মাণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে উপজেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটির সভায় প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী উপজেলা প্রকৌশল অধিদফতরের আওতায় মাপযোগ করার পর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নকশা পাঠানো হয়।’
এ বিষয়ে এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী কান্তেশ্বর বর্মন বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘সেতুর বাস্তব অবস্থা দেখে সেটি মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর বাজেট দাখিল করা হয়েছে, যা অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন পাওয়া গেলে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।’