গম চাষে লোকসান, ঠাকুরগাঁওয়ে কমছে আবাদ



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪ ঠাকুরগাঁও
ক্ষেত থেকে গম কাটছেন কৃষক, ছবি: বার্তা২৪.কম

ক্ষেত থেকে গম কাটছেন কৃষক, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঠাকুরগাঁওয়ে প্রতিবছরই কমছে গমের আবাদ। গম উৎপাদনের জেলা হিসেবে সারাদেশে খ্যাতি থাকলেও এখন এ জেলায় কমেছে গমের আবাদ।

কৃষকরা বলছেন, প্রতিবছর লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের। এতে গম ছেড়ে অন্য ফসলের দিকে ঝুকছেন কৃষক। গম চাষ বাড়াতে দাম বাড়ানোসহ সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে গম কিনতে সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন তারা।

উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ের মাটি তুলনামুলক উচুঁ। হিমালয়ের পাদদেশের জেলা হওয়ায় এখানকার মাটি গম চাষের উপযোগী। প্রতিবছরই গমের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে এ জেলায়।

গম উৎপাদনের দিক দিয়ে ঠাকুরগাঁও জেলা দেশে প্রথম স্থান অধিকার করে আছে। সারাদেশে যে পরিমাণ গম উৎপাদন হয় তার ৫ ভাগের একভাগ গম উৎপাদন হয় এ জেলায়।

কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে গমচাষীরা নায্যমূল্য না পাওয়ায় এবং সরকারি খাদ্যগুদামে সরাসরি গম বিক্রি করতে না পারায় লোকসান গুণছেন। এতে গম চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন কৃষকরা। 

কৃষকদের অভিযোগ, সরকার নিজেকে কৃষিবান্ধব বলে দাবি করলেও তারা উৎপাদিত ফসলের নায্যমূল্য পাচ্ছেন না। সরকার লোকসান পুষিয়ে দিতে সরকারি খাদ্যগুদামে গম সংগ্রহ কার্যক্রম চালু করলেও কৃষকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় না।

তারা বলেন, সরকারি দলের নেতা-কর্মীরা গমের স্লিপ বিক্রি করেন। তাদের কাছ স্লিপ কিনে গোডাউনে গম বিক্রি করে তাদের লাভ হচ্ছে না। বাধ্য হয়ে কৃষকদের কম দামে গম বিক্রি করতে হচ্ছে। এ কারণে গম চাষে তাদের লাভ হচ্ছে না।

নারায়ণ চন্দ্র নামের এক কৃষক জানান, সার, বীজ, শ্রমিকের মজুরিও আগের চেয়ে অনেক বেশি। সেই  তুলনায় অনুপাতে গমের দাম বাড়েনি। অন্যের জমি বর্গা নিয়ে চাষ করে লাভ হচ্ছে না কৃষকদের।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/12/1555077182179.jpg

একই মত দিলেন দিনেশ পাল নামের আরেক কৃষক। তিনি জানান, বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ গম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায় প্রতিমণ। ফলে অনেক কৃষক গমের উৎপাদন খরচ তুলতে পারছে না। প্রতিমণ গম ১২শ টাকায় বিক্রি করা গেলে গম আবাদ করে খরচ উঠানো সম্ভব।

তিনি আরও বলেন, এক বিঘা জমিতে গম চাষ করতে ১২-১৩ হাজার টাকা ব্যয় হয়। সে তুলনায় খরচই উঠছে না।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, এবারে জেলায় ৬২ হাজার ৩৮০ হেক্টর জমিতে গম আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। কিন্তু অর্জিত হয়েছে মাত্র ৫০ হাজার ২২০ হেক্টর জমিতে। আর গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১ লাখ ৮০ হাজার ৭৯২ মেট্রিক টন।

গত বছর ঠাকুরগাঁও জেলায় ৬১ হাজার জমিতে গমের আবাদ হয় এবং গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ২ লাখ ১১ হাজার ৭৪৬ মেট্রিক টন।

এ ব্যাপারে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আফতাব হোসেন বার্তা২৪কে জানান, বিগত কয়েক বছরের ন্যায় এ বছরও গমের উৎপাদন ভাল হয়েছে। কৃষকরা গম উৎপাদন করে যদি মাড়াই করে বাড়িতে কিছুদিন মজুদ করে রাখে এবং পরবর্তীতে বিক্রি করে তাহলে গম বিক্রি করে ভাল লাভবান হতে পারবে।

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;