গাইবান্ধার ৭৭ মার্কেট অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গাইবান্ধা: গাইবান্ধার সাত উপজেলায় দুই বছর আগে অভিযান চালিয়ে ৭৭টি মার্কেট অগ্নিঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত করে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। কিন্তু অগ্নিঝুঁকি হ্রাসে আজও কোনো ব্যবস্থা নেননি মার্কেটগুলোর মালিকরা।

২০১৭ সালের পর গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর নতুন করে আর কোনো তালিকা করেনি। স্থানীয় ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার ২৫ মার্কেটের মধ্যে ১৩টি রয়েছে অতি ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া, গোবিন্দগঞ্জে ২৮টি, পলাশবাড়ীতে আটটি, সাঘাটায় সাতটি, সাদুল্লাপুরে চারটি, ফুলছড়িতে তিনটি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় দুইটি। ফায়ার এক্সটিংগুইশার, পানির রিজার্ভ ট্যাংক, বালুভর্তি বালতি ও বিকল্প সিঁড়ি না থাকাসহ অগ্নিনির্বাপণের কোনো ব্যবস্থাই নেই এসব মার্কেটে।

সদর উপজেলার অতি ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো হচ্ছে- শহরের স্টেশন রোডের সালিমার সুপার মার্কেট, ইসলাম প্লাজা, পাল ম্যানশন, জে সি দেব প্লাজা, আব্বাছ উদ্দিন টাওয়ার, বাসনা মার্কেট, খান মার্কেট ও রেজিয়া ম্যানশন, সার্কুলার রোডের এলিসা সুপার মার্কেট, পি কে বিশ্বাস রোডের চৌধুরী শপিং কমপ্লেক্স, ডিবি রোডের আইনজীবী সুপার মার্কেট, বালাসী রোডের গ্রীন সুপার মার্কেট এবং পুরাতন বাজারের হাজী ম্যানশন।

ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায় থাকা সদর উপজেলার মার্কেটগুলো হচ্ছে- শহরের পার্ক ভিউ সুপার মার্কেট, জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স, তালুকদার মার্কেট, প্রাণ গোবিন্দ প্লাজা, আ. ছালাম আজমেরী মার্কেট, গফুর মার্কেট, সমবায় মার্কেট, চুড়িপট্টি মার্কেট, তরফদার মার্কেট, শাপলা সুপার মার্কেট, খান সুপার মার্কেট ও নিউ মার্কেট, গোবিন্দগঞ্জের বাপ্পী ম্যানসন, গোলাপ সুপার মার্কেট, জাহানারা সুপার মার্কেট, টি এস প্লাস, রাজমতি সুপার মার্কেট, সৌরভ প্লাজা, নুর জাহান কমপ্লেক্স, বনফুল বি প্লাস মার্কেট, কুন্ডু ভিলা ম্যানসন, ফার্মেসী জহুরা মার্কেট, অছির উদ্দিন প্লাস এন্ড ব্রাদার্স, হক ম্যানসন, জলিল মিয়া সুপার মার্কেট অ্যান্ড ব্রাদার্স, এইচ বি প্লাজা অ্যান্ড ব্রাদার্স, হক সুপার মার্কেট, মেসার্স রাসেল অ্যান্ড ব্রাদার্স, তপন সুপার মার্কেট, জাওয়াদ প্লাজা, হাজী আব্দুল সুপার মার্কেট, পার্বতী সুপার মার্কেট, দোলন প্লাজা, শোভা মার্কেট, শ্রী কৃষ্ণ মোস্ত সুপার মার্কেট, হাসান প্লাজা, উদয়ন প্লাজা, আমেনা সুপার মার্কেট, জহির কমপ্লেক্স ও কল্পনা সুপার মার্কেট।

পলাশবাড়ীতে আল মদিনা সুপার মার্কেট, মোল্লা মার্কেট, ডাক বাংলা সুপার মার্কেট, আলীম উদ্দিন সরকার সুপার মার্কেট, এস এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেট, পিয়ারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মার্কেট, সৈয়দ প্লাজা, হাসনা সুপার মার্কেট, সাঘাটায় চৌধুরী মার্কেট, মুজিব সুপার মার্কেট, এন এস ইসলাম প্লাজা, মন্ডল মার্কেট, বোনারপাড়ায় উপজেলা মসজিদ মার্কেট, মন্ডল মার্কেট।

সাদুল্লাপুরে মন্ডল সুপার মার্কেট, মা-বাবার দোয়া মার্কেট, ইতি মার্কেট, খান সুপার মার্কেট, ফুলছড়িতে আশরাফুল ইসলাম মার্কেট, আফিয়া মার্কেট, মেছের উদ্দিন চেয়ারম্যান মার্কেট ।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় মন মোহন মার্কেট ও মনছুর সুপার মার্কেট রয়েছে ঝুঁকিপূর্ণের তালিকায়।

এ ব্যাপারে কয়েকটি মার্কেটের মালিকদের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, আমরা অগ্নিঝুঁকিমুক্ত মার্কেট গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। তবে এই জেলায় বড় কোনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। জানমাল রক্ষার জন্য অগ্নিঝুঁকিমুক্ত ভবন বা মার্কেট গড়তে যেসব ব্যবস্থা নেওয়া দরকার আমরা তা মেনে চলব।

গাইবান্ধা ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আমিরুল ইসলাম সরকার বলেন, দুই বছর আগে পরিদর্শন করা এসব মার্কেট এখনো অগ্নিঝুঁকিমুক্ত করতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়নি মালিকপক্ষ। আবারও পরিদর্শন করে মার্কেটগুলোকে তিন মাস সময় বেঁধে দেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে ভবন অগ্নিঝুঁকিমুক্ত না করলে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;