‘এলএনজি'র সংযোগ চায় দ্বীপবাসী



মুুহিববুল্লাহ মুহিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, কক্সবাজার, বার্তা২৪.কম
‘এলএনজি'র সংযোগ চায় দ্বীপবাসী, ছবি: বার্তা২৪.কম

‘এলএনজি'র সংযোগ চায় দ্বীপবাসী, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের পাহাড়ঘেরা দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর ভূমি কেটে নিয়ে গেছে লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) লাইন। অত্যাধিক শক্তিশালী এই পাইপ লাইনটির মূল স্টেশন মহেশখালীর সোনাদিয়ায় জিরো পয়েন্টে। হোয়ানকে স্থাপন করা হয়েছে সাবস্টেশন। বড় বড় জাহাজে করে বিদেশ থেকে তরলীকৃত গ্যাস মহেশখালী দিয়ে আনোয়ারা যাচ্ছে। সেখানে জাতীয় গ্রীডে যোগ করে সারাদেশে সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতিদিন ৫ কোটি ঘনফুট এলএনজি মূল গ্রিডে দেওয়া হচ্ছে।

তবে ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মূল গ্রিডে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। এই গ্যাস লাইনের স্টেশন ও পাইপ স্থাপন করতে গিয়ে বিপুল পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে মহেশখালীর মানুষের। ছাড়তে হয়েছে জমি, ঘরবাড়ি, পানের বরজ ও ধানক্ষেতসহ নানা স্থাপনা। এতে অনেক মানুষ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এত ক্ষয়ক্ষতি স্বীকার করেও মহেশখালীর মানুষ গ্যাস পাচ্ছে না। ভবিষ্যতেও পাবে এমন কোনো সংকেত নেই।

এই প্রেক্ষাপটে মহেশখালীর মানুষের মাঝে দাবি উঠেছে- মহেশখালীর মানুষ গ্যাস লাইন স্থাপনে এত ত্যাগ স্বীকার করেছে; তারা গ্যাস সংযোগ কেন পাবে না? তাই মহেশখালীতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া এখন সর্বস্তরের মানুষের গণদাবি হয়ে উঠেছে। প্রতিদিন-প্রতিমুহূর্ত এই দাবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে। গ্যাস সংযোগ নিয়ে মহেশখালীর সবমহল একাট্টা। তাদের কথা একটাই, গ্যাস চাই।

জানা গেছে, দেশের চাহিদা মেটানোর বিদেশ থেকে মাদার ভেসেলে (পৃথিবীর সবচেয়ে বড় জাহাজ) করে লিকুইড ন্যাচারাল গ্যাস (এলএনজি) এনে উদ্যোগ নেয় সরকার। মহেশখালীর সোনাদিয়ার সমুদ্র বন্দর গভীরতাসহ সবধরনের সুযোগ থাকায় সোনাদিয়াকে ব্যবহার করে এলএনজি আনার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে তার প্রক্রিয়া শুরু হয়। মহেশখালীর পশ্চিম উপকূল থেকে সাড়ে সাত কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে এই ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ করা হয়েছে। টার্মিনালে স্থাপিত ভাসমান স্টোরেজ রিগ্যাসিফিকেশন প্ল্যান্টের মাধ্যমে এলএনজিকে গ্যাসে পরিণত করে সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। এলএনজি সরবরাহর জন্য সোনাদিয়া থেকে পুরো মহেশখালীরে মাঝ বরাবর স্থাপন গ্যাসের বড় বড় পাইপ। এই পাইস স্থাপন করতে অধিগ্রহণের জন্য মানুষকে ছাড়তে হয়েছে হাজার হাজার একর জমি। একই সাথে অনেক ঘর-বাড়ি, পান বরজ, ধানক্ষেত,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা ছাড়তে হয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, জমি অধিগ্রহণ ও স্থাপনাসহ বিভিন্ন অবঠামোর উপযুক্ত ক্ষতিপূরণও পায়নি ক্ষতিগ্রস্তরা। ইতিমধ্যে মাদার ভেসেল থেকে গ্যাস খালাস হয়ে জাতীয় গ্রীডে যুক্ত হয়ে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত অনেক ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ তাদের জমি ও অবকাঠামোর ক্ষতিপূরণ পায়নি। তারপরও দেশের বৃহত্তর উন্নয়নের স্বার্থে মহেশখালীর মানুষ নিজেদের ক্ষতি মেনে নিয়েছেন।তবে এত ক্ষতির বদলে মহেশখালীতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবি জানাচ্ছেন।

মহেশখালীর সর্বস্তরের মানুষের দাবি, এত ক্ষতি স্বীকার করে আমাদের বুকের ওপর দিয়ে গ্যাস লাইন বসানো হয়েছে। এই গ্যাসের প্রথম দাবিদার মহেশখালীর মানুষ। সরকার মাতারবাড়িতে কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন করছে। মাতারবাড়ি ও মহেশখালী আরো দু’টি বড় বিদ্যুৎকেন্দ্র বাস্তবায়নের মুখে। মহেশখালীকে বাংলাদেশের একমাত্র ‘ডিজিটাল আইল্যান্ড’ও ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহেশখালীকে সিঙ্গাপুর গড়ারও ঘোষণা দিয়েছেন। এত কিছুর পরও পর মহেশখালীর বুক চিরে যাওয়া গ্যাস পায়নি এখানকার মানুষ- এটা অত্যন্ত দুঃখের ও কষ্টের বলে মনে করেন সেখান মানুষ।

জানা গেছে, মহেশখালীতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার দাবিতে ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্লাটফর্ম তৈরি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকেন্দ্রিক একাধিক প্ল্যাটফর্ম হয়েছে। ফেসবুক ব্যবহারকারী মহেশখালীর প্রতিটি মানুষ প্রায় সময় গ্যাস সংযোগ দাবি করে স্ট্যাটাসটা দিচ্ছেন। এছাড়াও সামাজিকভাবেও নানাভাবে সামগ্রিকভাবে গ্যাস সংযোগ দাবি করছে মহেশখালীর মানুষ। প্রশাসনের কাছেও নানাভাবে গ্যাস দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত মহেশখালীতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহেশখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফ বাদশা বলেন, সরকারের সাথে গ্যাস কোম্পানী চুক্তিনামা করে মহেশখালীর মাটির ওপর এলএনজি গ্যাস টার্মিনাল স্থাপন করে সারাদেশে গ্যাস সরবরাহ করছে। অথচ আমরা মহেশখালীবাসী গ্যাস সংযোগ থেকে বঞ্চিত। এটা অনেকটা চেরাগ, মোমবাতি কিংবা ‘হারিকেনের নিচে অন্ধকার থাকে’ কথাটির মতো চিরন্তন সত্য। আমরা মহেশখালীবাসী গ্যাস সংযোগ চাই। জোর দাবি জানাচ্ছি।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. সিরাজুল মোস্তফা বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে, মহেশখালী জনপ্রতিনিধির জনগণের পক্ষ হয়ে এই দাবিটি জানানো উচিত ছিলো। কি কারণে জানি না, সে দাবি তিনি তুলেনি। আমাদের সঙ্গে দুয়েকবার বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জনের সাথে কথা হয়েছে। সেখানে আমি বলেছি যে, আমার ঘরের দুয়ার দিয়ে গ্যাস লাইন যাবে, আমার মাটি ব্যবহার করে, আমার ঘর, পানের বরজ, ধানক্ষেত সব কিছু ক্ষতি করে সেই গ্যাস লাইন আমার বুকের ওপর দিয়ে যাবে; আমি পাবো না কেন? মহেশখালীবাসীর গ্যাস পাওয়া যৌক্তিক অধিকার। আইনত বা যেভাবেই বিবেচনা করুন, মহেশখালীবাসীর গ্যাস পাওয়ার অধিকার আছে। আমি শুরু থেকে তীব্রভাবে দাবি জানিয়েছি, এখনও জানাচ্ছি। সরকারের কাছে আবেদন-নিবেদন আমরা করছি, গ্যাস সংযোগ যেন মহেশখালীবাসীকে দেওয়া হয়। এটা যদি আমরা সঠিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করতে পারি তাহলে অবশ্যই তিনি দেবেন।’

মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘গ্যাস লাইন স্থাপন হয়ে শুরু হওয়ার পর থেকেই মহেশখালীতে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার জন্য আমি নানাভাবে চেষ্টা করছি। সংশ্লিষ্টরা আমাকে আশ্বস্থ করেছেন- মহেশখালীতে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হবে। এটার জন্য সময়ের দরকার। গ্যাস লাইনটি স্থাপন হলো মাত্র। সব কিছু গুছিয়ে উঠলে আশা করি মহেশখালীবাসী গ্যাস সংযোগ পাবেন।

এ বিষয়ে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) আশরাফুল আবছার বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘এটা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একান্ত বিষয়। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর বুঝবে। তবে বিষয়টি সরকারের উচ্চ মহলের নজরে আনার চেষ্টা চলছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;