টাঙ্গাইলে বাস-মিনিবাস বাড়লেও সম্প্রসারিত হয়নি টার্মিনাল



অভিজিৎ ঘোষ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট টাঙ্গাইল বার্তা২৪.কম
টাঙ্গাইল শহরের বাস টার্মিনাল / ছবি: বার্তা২৪

টাঙ্গাইল শহরের বাস টার্মিনাল / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলে চার দশকে বাস-মিনিবাসের সংখ্যা বেড়েছে তিনগুণেরও বেশি। কিন্তু সম্প্রসারিত হয়নি বাস টার্মিনাল। টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে সব সময় লেগে থাকে যানজট।

এছাড়া ঢাকাগামী নিরালা, সোনিয়া, ঝটিকা, ধলেশ্বরী পরিবহন ও ময়মনসিংহ অঞ্চলগামী নেত্রকোনা, প্রান্তিক, প্রান্তর পরিবহনসহ কয়েকটি রুটের পরিহবনগুলো সড়কের উপর থেকে যাত্রী তোলায় যানজটের কবলে পড়তে হয়। একই সঙ্গে শহর কেন্দ্রিক অটোরিকশাসহ ছোট ছোট যানবাহনতো রয়েছে। ফলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সাধারণ যাত্রী ও পথচারীদের।

জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, ১৯৮১ সালে শহরের টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের দেওলা এলাকায় তিন একর জায়গার উপর বাস টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়। সে সময় থেকেই এটি নতুন বাস টার্মিনাল হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। এই টার্মিনাল চালুর সময় টাঙ্গাইলে বাস-মিনিবাসের সংখ্যা ছিল মাত্র আড়াই শতাধিক। এই কম সংখ্যক গাড়ি তখন অনায়াসে টার্মিনাল ব্যবহার করতে পারতো। গত চার দশকে টাঙ্গাইলে গাড়ির সংখ্যা তিনগুণেরও বেশি বেড়েছে। এখন এ জেলায় নয় শতাধিক বাস-মিনিবাস রয়েছে। পরিবহনের রুটও বেড়েছে অনেক। ফলে টার্মিনালে এত বিপুল সংখ্যক গাড়ির সংকুলান হয় না।

বাধ্য হয়ে টার্মিনালের আশেপাশের সড়কের উপর গাড়ি রাখতে হয়। আবার বিভিন্ন রুটের বাস মূল টার্মিনাল থেকে ছেড়ে যাওয়ার জায়গা না হওয়ায় পূর্বপাশের সড়কের অপর প্রান্ত থেকে ছেড়ে যায়। সেখানেই ওই রুটগুলোর কাউন্টার। ফলে টার্মিনাল এলাকায় সবসময় লেগে থাকে যানজট। এ সড়ক দিয়ে টার্মিনাল অতিক্রম করে শহরের উত্তর অংশে যেতে মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

সরেজমিন টার্মিনাল এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, মূল টার্মিনালে স্থান সংকুলান না হওয়ায় জেনারেল হাসপাতাল পার হওয়ার পর থেকেই রাস্তার পাশে রাখা হয় বাস-মিনিবাস। মূল টার্মিনাল এলাকা থেকে ঢাকাগামী চারটি এবং জামালপুর, ধনবাড়ী, ভূঞাপুরসহ কয়েকটি সার্ভিসের বাস ছেড়ে যাচ্ছে। কিন্তু টার্মিনালে জায়গা না হওয়ায় মূল টার্মিনালের বাইরে সড়কের পূর্ব পাশ থেকে ময়মনসিংহ, ঢাকাগামী এসি বাস, নিরালা সার্ভিসসহ অন্তত পাঁচটি রুটের বাস মিনিবাস ছেড়ে যাচ্ছে। দু-এক মিনিট পরপরই কোনো না কোনো বাস সড়কে নামছে। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে যানজটের।

টাঙ্গাইল শহর থেকে বাইপাস মোড়গামী অটোরিকশার চালক জসিম বার্তা২৪.কমকে জানান, টার্মিনাল এলাকা পার হতে প্রতিদিনই যানজটে আটকা পড়তে হয়। দুই মিনিটের পথ পার হতে দশ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত লেগে যায়।

শহরের কোদালিয়া এলাকার লিটন বার্তা২৪.কমকে জানান, মূল শহর থেকে এই টার্মিনাল অতিক্রম করেই দেওলাসহ শহরের উত্তর অংশের হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত করতে হয়। তাছাড়া সরকারি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ অফিসে যেতেও এই টার্মিনাল অতিক্রম করে যেতে হয়। প্রতিদিন এখানে যানজটে পড়ে মানুষের মূল্যবান সময় নষ্ট করতে হয়।

টাঙ্গাইল জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া টার্মিনাল এলাকায় যানজটের বিষয়টি স্বীকার করেন। তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘বাসের তুলনায় টার্মিনালটি আকারে ছোট হয়ে গেছে তাই যানজটের সৃষ্টি হয়। টার্মিনালটি স্থানান্তরের জন্য পরিবহন মালিক শ্রমিকদের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়েছে। দাবি পূরণের আশ্বাসও পাওয়া গেছে। কিন্তু আজও দাবি পূরণ হয়নি।’

টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘শহর বাইপাস এলাকায় বাস টার্মিনালের জন্য জমি দেখা হয়েছে। এ জমি বরাদ্দ পাওয়া গেলে সেখানে আধুনিক বাস টার্মিনাল স্থাপন করা হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;