দুবলা শুঁটকি পল্লী থেকে অর্ধকোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায়

  • আবু হোসাইন সুমন, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বাগেরহাট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

শুঁটকি পল্লী

শুঁটকি পল্লী

বঙ্গোপসাগর পাড়ের সুন্দরবনের দুবলা চরের শুঁটকি মৌসুমে এবার প্রায় অর্ধকোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে। এ মৌসুমে মূলত কোন ধরণের প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বনদস্যুদের উৎপাতও তেমন না থাকায় জেলেরা সাগর থেকে অধিক পরিমাণ মাছ আহরণ ও চরগুলোতে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ করতে সক্ষম হয়েছে। ফলে জেলে-মহাজনেরা অধিক লাভবান তো হয়েছেই সেই সাথে বনবিভাগেরও বিগত বছরের তুলনায় ৫৬ লাখ টাকার অধিক রাজস্ব আদায় হয়েছে। 

বনবিভাগ জানায়, বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের শরলখোলা রেঞ্জের দুবলার চরে অক্টোবর থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত চলে শুঁটকি প্রক্রিয়াকরণ মৌসুম। মৌসুম শুরু হলেই দেশের বিভিন্ন এলাকার জেলেরা জড়ো হয় দুবলার বিভিন্ন চরে। এ সময় চরগুলোতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ অস্থায়ী বসতি ঘরে মাছ আহরণ ও শুঁটকি তৈরির কাজ করে থাকে। তবে চরে ভয় থাকে ঝড়-জলোচ্ছ্বাস ও দস্যুতার। এ মৌসুমে তেমন কোন ঝড়-ঝাপটা না থাকায় শুঁটকি তৈরিতে কোন ক্ষতি হয়নি জেলে-মহাজনদের।

বিজ্ঞাপন

এছাড়া সম্প্রতি আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বৃদ্ধিতে বড় বড় দস্যু বাহিনী প্রধান ও সদস্যরা ক্রসফায়ারে নিহত ও প্রাণ বাঁচাতে অনেক বাহিনী আত্মসমর্পণ করায় সাগর-সুন্দরবনে দস্যুতা না থাকায় জেলেরা আনন্দে মাছ শিকার ও শুঁটকি তৈরি করতে পেরেছে। ফলে লাভবান জেলে-মহাজন ও বনবিভাগ উভয়ই হয়েছে।

বনবিভাগ আরো জানায়, দুবলার চরের আওতাধীন আলোরকোল, মেহেরআলীর চর, মাঝের কেল্লা, নারকেলবাড়িয়া ও শেলার চরে এবার অস্থায়ী শুঁটকি পল্লীর জন্য ১ হাজার ২৫টি জেলে ঘর, ৪৮টি ডিপো ঘর, ৭৯টি অস্থায়ী দোকান ও ৭টি ভাসমান দোকানের অনুমতি দেয়া হয়। এ বছরের মৌসুম শেষে শুঁটকি খাত থেকে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগ রাজস্ব আয় করেছে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৮৫ হাজার ৬৮০ টাকা। গত মৌসুমে রাজস্ব আদায় হয়েছিল ১ কোটি ৮৮ লাখ ৮০ হাজার ৪৩৯ টাকা। ভাল আবহাওয়া ও দস্যু মুক্ত থাকায় প্রায় অর্ধ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, এবারের শুঁটকি আহরণের সময় বড় ধরণের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বনদস্যুদের উৎপাত না থাকায় জেলেরা অনেক বেশি মাছ আহরণ করতে পেরেছে। আর বন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কঠোর নজরদারিতে রাজস্ব আয়ও বেড়েছে। রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হয়েছে বলে জানান তিনি।