ধর্ষণের ৬ মাস পর ধর্ষককে ধরে পুলিশে দিল বাবা-মা
বহুদিন পর ধর্ষক ইমামকে পেয়েই ঘাপটি মেরে ধরলো ভিক্ষুক মা-বাবা। পরে জনতার সহায়তায় ইমামকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেন তারা। পুলিশ ইমামকে আটক করে সোমবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
আটককৃত ইমাম চাঁদপুর সদর উপজেলার দেবপুর জামে মসজিদে কর্মরত ছিলেন। তার নাম মোঃ মোজাম্মেল হক। সে শাহরাস্তি উপজেলার টামটা উত্তর ইউনিয়নের মুড়াগাও ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ জাফর আলী মিয়ার ছেলে।
মেয়ের বাবা দেবপুর এলাকায় বসবাস করেন। সে অন্ধ হওয়ায় স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে হাজিগঞ্জ বাজারে ভিক্ষা করেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, রোববার (১৯ মে) বিকেলে হাজীগঞ্জ বাজারে ইমামকে চিনতে পেরে ঘাপটি মেরে ধরে মেয়ের মা। তার সঙ্গে অন্ধ বাবাও ওই ইমামকে ধরে আটকে রাখে। তারপর বেরিয়ে আসে ৩০ বছর বয়সী এই ইমামের লোমহর্ষক কাহিনী।
মেয়েটির মা বাদী হয়ে রোববার (১৯ মে) রাতে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা দায়ের করেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিবন্ধী এই পরিবারের সরলতার সুযোগে ইমাম মোজাম্মেল হক মেয়েকে ইংরেজি পড়ানোর কথা বলে সম্পর্ক করে। মেয়েটিকে পড়াবে বলে গত বছরের ১৭ নভেম্বর হাজিগঞ্জ বাজারের মকিমাবাদ ৪ নং ওয়ার্ড হাজী ম্যানশনের একটি ফ্ল্যাট বাসা ভাড়া নেন। বাসা ভাড়ার একদিনের মাথায় মেয়েটিকে পড়ানোর কথা বলে বাসায় নিয়ে এসে ধর্ষণ করে ইমাম।
মানসম্মানের ভয়ে মেয়েটির বাবা-মা ধর্ষণের ঘটনা সবার থেকে লুকিয়ে রাখেন এবং নিজেরাই ধর্ষক ইমাম মোজাম্মেলকে খুঁজতে থাকেন।
হাজিগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন রনি বলেন, ‘মোজাম্মেলের মোবাইলে মেয়েটির আপত্তিকর ছবি পাওয়া গেছে। মেয়েটিকে ইংরেজি পড়ানোর নাম করে ইমাম সরলতার সুযোগ নেয়। ঘটনার পর থেকে সে পলাতক ছিলেন। অন্ধ বাবা ও মা ভিক্ষা করতে এসে তাকে দেখে আটক করে।
তিনি জানান, মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকায় বাসাটি ভাড়া নেন মোজাম্মেল। ৫০০ টাকা দিয়ে বায়না করে মাত্র একদিন ছিলেন ওই বাসায়।
সোমবার (২০ মে) সকালে ইমাম মোজাম্মেলকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। চাঁদপুর বিজ্ঞ আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।