সরকারি গাড়িতে আগুন দেওয়ার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে সরকারি গাড়িতে আগুন লাগানোর ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) হাবিবুর রহমান।
মঙ্গলবার (৪ জুন) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক পরিদর্শনে এসে টাঙ্গাইলের রাবনা বাইপাস এলাকা থেকে তিনি সাংবাদিকদের জানান, আগুন দিয়ে সরকারি গাড়ি পোড়ানো একটি ফৌজদারি অপরাধ। যারা আগুন দিয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। যানজটের জন্য সিরাজগঞ্জ অংশে যদি কারো দায়িত্বে অবহেলা পাওয়া যায়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় তিনি আরও বলেন, মহাসড়কে যে যানজট সৃষ্টি হয়েছে, সেটি সিরাজগঞ্জ জেলার নলকা ব্রিজের কারণে। ওই ব্রিজ দিয়ে একটি করে গাড়ি পার হওয়ায় সড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে গেছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জের দিকে গাড়ি দ্রুত চলতে না পারায় সেতুতে আড়াই ঘণ্টা টোল আদায় বন্ধ ছিল। সব মিলিয়ে মহাসড়কের টাঙ্গাইল অংশে যানজট সৃষ্টি হয়েছে। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যেই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আহাদুজ্জামান প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে যানজটে অতিষ্ঠ হয়ে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব মহাসড়কের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার রসুলপুর এলাকায় দায়িত্বরত ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন দেন বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হয়। আর এ যানজট বঙ্গবন্ধু সেতু থেকে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর পর্যন্ত ৬৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিস্তৃত হয়েছে। তবে দুপুর পর্যন্ত মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঢাকা ও উত্তরবঙ্গগামী পরিবহন ঠাঁয় দাঁড়িয়ে ছিল। মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি ট্রাকের চাপও দেখা গেছে।
জানা যায়, দীর্ঘ সময় যানজটে আটক থাকায় কয়েকজন যাত্রী বাস থেকে নেমে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রোকনুজ্জামানের ওপর চড়াও হন। একপর্যায়ে তারা ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেন। পরে তারা বিক্রমহাটি এলাকায় গিয়ে মহাসড়কের উত্তরবঙ্গগামী লেনে টায়ারে আগুন লাগিয়ে বিক্ষোভ করেন।