দুই উপজেলার খেয়াঘাট, ব্রিজ হবে কবে?

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

উটতলী খেয়াঘাটের ওপর একটি ব্রিজ এখন সময়ের দাবি, ছবি: বার্তা২৪

উটতলী খেয়াঘাটের ওপর একটি ব্রিজ এখন সময়ের দাবি, ছবি: বার্তা২৪

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ ও ফরিদগঞ্জ সীমান্তবর্তী দুই উপজেলার মানুষের দীর্ঘ দিনের প্রাণের দাবি উটতলী খেয়াঘাটের ওপর একটি ব্রিজ। স্বাধীনতার প্রায় ৪৮ বছর পার হয়ে দেশে এতো দৃশ্যমান উন্নয়ন ঘটলেও উটতলী খেয়াঘাটের জনদুর্ভোগের দৃশ্য কোনও সাংসদের চোখে পড়েনি। দৈনিক দুই উপজেলার হাজার হাজার মানুষ নৌকা দিয়ে এখানে পারাপার হচ্ছেন। এ জনদুর্ভোগ যেন দেখার কেউ নেই।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাজীগঞ্জের সীমান্তবর্তী উটতলী ও ফরিদগঞ্জের টোরামুন্সীর হাটের মধ্যবর্তী ডাকাতিয়া নদী। আর এ নদীতেই নৌকা যোগে মানুষ সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পারাপার হচ্ছেন। এতে মানুষের যাওয়া ও আসার সময় ৩ টাকা করে ইজারাদারকে ও ৫ টাকা করে নৌকার মাঝিকে দিতে হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

হাজীগঞ্জ অঞ্চলের অলিপুর গ্রামের শিক্ষার্থীরা মুন্সীর হাটে স্কুল, মাদরাসা ও কলেজে আশা-যাওয়ার সময় দৈনিক নগদ টাকা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। এ ছাড়াও দুই অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য, বাজারে আশা যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মালামাল নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়তে হয়।

এ বিষয়ে খেয়াঘাটে পারাপার অবস্থায় কথা হয় শিক্ষার্থী হাছান, রকি, আলমগীর, সবুজ, লায়লা আক্তার, নূরজাহানসহ প্রায় ২০/২৫ জন যাত্রীদের সঙ্গে। তারা বলেন, আমরা দৈনিক নৌকা ভাড়া ও ঘাটের ইজারাদারের ভাড়া দিয়ে পারাপার হচ্ছি। চাঁদপুর থেকে শাহরাস্তি পর্যন্ত ডাকাতিয়া নদীর ওপর একাধিক ব্রিজ বাস্তবায়ন হলেও সবচেয়ে বেশি জনগুরুত্বপূর্ণ উটতলী ব্রিজটি বাস্তবায়ন হয়নি।

বিজ্ঞাপন

উটতলী খেয়াঘাটের ইজারাদার তাফাজ্জল হোসেন বলেন, 'এক সময় এ ঘাট দিয়ে দৈনিক কয়েক হাজার লোক পারাপার করতো। তখন ১ টাকা করে অনেক টাকা হতো। কিন্তু পূর্বের ইজারাদার ইজারা নিতে গিয়ে ৩ লক্ষ টাকা দর উঠিয়েছে, যে কারণে যাত্রীদের কাছ থেকে ৫ টাকা করে উত্তোলন করতে হয়।'

এলাকাবাসী সরকারের কাছে দাবি জানান, দুই উপজেলার অন্তর্গত উটতলী টু মুন্সীর হাট ব্রিজটির টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু করার।