‘এবারের বইন্যা ৮৮ সালের ডবল’
কুড়িগ্রাম (চিলমারী) থেকে: '৩১ বছর আগোত ৮৮ সালের বইন্যা দেকচি বাহে। ঘরবাড়ি পানিত তলে গেচলো। হামরাগুল্যা (আমরা) উপজেলার মাঠোত আসি ছিনোং (ছিলাম)। এবারের বইন্যা ৮৮ সালের ডবল। ঘড়বাড়ি সউক ডুবি গেইছে। গলা পানি। থাকির জাগা নাই, খাবার নাই, এতো কষ্ট আর সহ্য হয় না।'
কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা চত্বরে এবারের বন্যার দুর্ভোগের কথা বলতে গিয়ে কেঁদেই ফেললেন নব্বই বছরের মবিজল খলিফা।
মবিজল খলিফা চিলমারী উপজেলার ডেমনারপাড় এলাকার বাসিন্দা। গত বছর স্ত্রীকে হারিয়ে একা হয়ে পড়েছেন তিনি।
এবারের টানা বর্ষণ ও উজানের ঢলে ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে পুরো চিলমারী উপজেলায় প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে।
বন্যা প্লাবিত অঞ্চলগুলোর মানুষ খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছে শিশু ও বৃদ্ধরা। কুড়িগ্রাম জেলার ১৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ শহরতলীর সড়কের দুইপাশ ও নদীর উঁচু বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে হাজার হাজার মানুষ।