‘বন্যা শেষ হলেই বেড়িবাঁধ নির্মাণ হবে’
বন্যা শেষ হলেই টাঙ্গাইলের প্লাবিত এলাকা রক্ষার্থে বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন দুযোর্গ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
শনিবার (২০ জুলাই) বিকেলে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি সড়কের টেপিবাড়ী এলাকায় বাঁধ ভাঙন স্থান পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে একযোগে বন্যা শুরু হয়েছে। যথাসাধ্য চেষ্টা করছি বানভাসি মানুষের পাশে দাঁড়াতে। বন্যা চলাকালীন অবস্থায় এই ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তবে ত্রাণ দিয়ে আপনাদের ছোট করতে চাই না। তাই বন্যা শেষ হলেই আপনাদের এলাকা রক্ষা করতে বেড়িবাঁধের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী রয়েছে। সরকার, প্রশাসন ও জনগণ বন্যা কবলিত মানুষকে যেভাবে সেবা দেওয়ার জন্য কাজ করছে, বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হলেও তারা একইভাবে সেবা দিয়ে যাবে। এ বছর বন্যার পূর্বাভাস পাবার পর থেকেই সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।
পরে ভুঞাপুর পৌর এলাকায় ও গোবিন্দাসী বাজারে বন্যা কবলিত দুই হাজার পরিবারের মধ্যে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
এদিকে বন্যা কবলিত বহু মানুষ ত্রাণ নিতে এসে না পেয়ে ফিরে গেছেন। যদিও এই উপজেলায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় গৃহহীন হয়ে পড়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। অথচ প্রশাসন থেকে মাত্র দুই হাজার লোকের জন্য ত্রাণ বরাদ্দ করা হয়। এতে ত্রাণ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বানভাসিরা।
এর আগে দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বিশেষ সভায় বক্তব্য দেন প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন- পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামিম, দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শাহ কামাল।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, সংসদ সদস্য হাসান ইমাম খান সোহেল হাজারী, আহসানুল ইসলাম টিটু, তানভীর হাসান ছোটমনির, আতাউর রহমান খান প্রমুখ।