৬ লাইট-ফ্যান ও ১ ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল ২ লাখ ৪৩ হাজার টাকা



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মানিকগঞ্জ
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে গেলে বিদ্যুতের কোনো বিকল্প নেই। কিন্তু সেই বিদ্যুতের জন্য এখন ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে প্রায় অর্ধশত গ্রাহককে। গত জুলাই মাসে এক গ্রাহকের তিনটি লাইট ও তিনটি ফ্যান (মোট ৬টি) এবং একটি ফ্রিজের বিদ্যুৎ বিল এসেছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৬ টাকা।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ নয়াপাড়া এলাকার বেশ কিছু আবাসিক বাড়িতে বিদ্যুতের এমন বিল হাতে পেয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েছে গ্রাহকরা। কাজকর্ম রেখে পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট অভিযোগ কেন্দ্রে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে তাদের।

পল্লী বিদ্যুতের মিটার লেখকেরা সরেজমিনে না এসে বিল তৈরি করায় এমন ঘটনা ঘটছে বলে দাবি ভুক্তভোগিদের। চলতি বছরের মে-জুন বা অন্যান্য মাসগুলোতে বিদ্যুতের বিল সামান্য কিছু হেরফের হলেও জুলাই মাসে গরমিলের পরিমাণ অনেক বেশি। এতে বিপাকে পড়েছে এসব গ্রাহকরা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564825486546.jpg

শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে এসব অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায়। অসামঞ্জস্য এসব বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

হরগজ নয়াপাড়া এলাকার মো. আবুল হোসেনের ছেলে মো. আল আমিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, এলটি-এ (আবাসিক) ট্রারিফ মিটারের গ্রাহক তিনি। চলতি বছরের মে মাসে তার বিল এসেছে ৪৯৫ টাকা। আর জুন মাসে এসেছে ৫৫২ টাকা। কিন্তু জুলাই মাসে তার বিল এসেছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৫৫৬ টাকা। এখন বাড়ি ঘর বিক্রি করে এই বিল দেওয়ার উপক্রম হয়েছে বলে জানান তিনি।

আর জুলাই মাসের বিলের কাগজটি দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পুনরায় বিল করে দেওয়ার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে এ বিষয়ে পল্লী বিদ্যুতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো সাড়া পাননি। তাই বিলের বিষয়টি নিয়ে বেশ চিন্তিত রয়েছেন তিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564825504595.jpg

একই এলাকার মো. নজর আলীর ছেলে মো. আলী জানান, আগস্ট মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত তার মিটারের রিডিং হয়েছে ২৫৩৬ ইউনিট। অথচ জুলাই মাসের ১৮ তারিখে বিলের রিডিং তৈরি করেছে ২৫৭০ ইউনিট। জুন মাসে ৩৩১ টাকা বিদ্যুৎ বিল দিলেও জুলাই মাসে সেখানে গুনতে হবে ১৩০৬ টাকা।

হরগজ নয়াপাড়া ৭, ৮, ৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী মেম্বার বায়েলা বেগমসহ ভুক্তভোগীরা জানান, পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডিং নেওয়ার জন্য ৫-৬ মাস পরপর লোকজন আসেন। আর বাড়িতে বসে বসে ভুতরে বিল তৈরি করেন। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন তারা।

এ বিষয়ে মানিকগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কান্দাপাড়া অভিযোগ কেন্দ্রে গেলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে কেন্দ্রটির ইনচার্জ মো. শামীম আল মামুন ঘটনার সতত্যা স্বীকার করে জানান, বিল প্রস্তুত বা তৈরির সঙ্গে তারা কেউ জড়িত নয়। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সাটুরিয়া সাব-জোনাল অফিস এ বিষয়ে বলতে পারবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564825551996.jpg

পরে সাটুরিয়া সাব-জোনাল অফিসের এজিএম আব্দুল খালেকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, জুলাই মাসে অসামঞ্জস্য বিদ্যুৎ বিলের বিষয়টি জানতে পেরেছেন তিনি। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হবে।

তবে সরেজমিনে গ্রাহকদের বাড়ি না গিয়ে বিল তৈরির অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি এড়িয়ে যান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;