মেঘনার ভাঙনে হুমকির মুখে ৪ মন্দির-সড়ক

  • মনিরুজ্জামান বাবলু, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকা। ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

চাঁদপুর মেঘনা নদীর শহর রক্ষা বাঁধের ২শ মিটার ব্লক ধসে পুরাণ বাজার হরিসভা এলাকায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে।

রোববার (৪ আগস্ট) সকাল ৮টা পর্যন্ত ওই এলাকার সেমিপাকা ও টিনের ১৫টি বসতঘর ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। হুমকির মুখে রয়েছে হরিসভা এলাকার ৪টি মন্দির ও চলাচলের সড়ক। এছাড়া হুমকির মুখে থাকা বহু বসত ঘর ভেঙে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। ওই এলাকার বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এর আগে শনিবার (৩ আগস্ট) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভাঙন শুরু হয়। রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থলে বালি ভর্তি ৫শ জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564917042027.jpg

বিজ্ঞাপন

ভাঙনের শিকার পরিবারগুলো হচ্ছে- হরিসভা এলাকার গুপিনাথ সাহা, আদিনাথ সাহা, সম্ভুনাথ দে, সুশান্ত দে, মানিক সাহা, সঞ্জয় চক্রবর্তী, বিমল দে, দ্বীপক দে, ধ্রুবরাজ সাহা, সুনীল দে, শ্যামল দে, ওয়াদে আলী শেখ, অঞ্জু শেখ, আমজাদ আলী মুন্সি ও কার্তিক সাহা।

চাঁদপুর জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র রায় বলেন, ‘ভাঙন শুরু হওয়ার পরেই আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি। গত বছরও একই স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। স্থানীয় সাংসদ ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানটি রক্ষায় স্পেশাল বরাদ্দ দেন। কিন্তু পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ঠিকাদার সঠিকভাবে কাজটি সম্পন্ন না করায় আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় ভাঙন অব্যাহত থাকলে আরও বসতিসহ হরিসভা, কালি, ইসকন ও লোকনাথ মন্দির মেঘনা গর্ভে বিলীন হয়ে যাবে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/04/1564917060658.jpg

চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জামান জানান, ভাঙনের সংবাদ পেয়ে রাতেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ৫শ জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে সেখানে পুলিশ, দমকল বাহিনীর সদস্যরা অবস্থান করেছেন।

পানি উন্নয়ন বোর্ড চাঁদপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে একই স্থানে ভাঙন দেখা দিচ্ছে। আমরা তাৎক্ষণিক জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করেছি। পরবর্তীতে ব্লক ফেলে স্থায়ী বাঁধ দেয়া হবে।’