দপ্তরির কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়া সেই এসআই প্রত্যাহার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

এসআই মো. জামিরুল। ছবি: সংগৃহীত

এসআই মো. জামিরুল। ছবি: সংগৃহীত

ঘুষের টাকার জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উবায়দুল্লা নামে এক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরীর কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়া সেই উপপরিদর্শক (এসআই) মো. জামিরুলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) সকালে বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও জানান, এসআই জামিরুলের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী উবায়দুল্লা একটি অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগটির বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. রেজাউল কবির তদন্ত করছেন। তদন্তের স্বার্থেই জামিরুলকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত সময়ের মধ্যে দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, শনিবার (৩ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে এসআই জামিরুলের নেতৃত্বে সদর মডেল থানার ছয় পুলিশ সদস্য খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। সেখানে বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম নৈশ প্রহরী উবায়দুল্লাকে সবগুলো শ্রেণি কক্ষের দরজা খুলতে বলেন এসআই জামিরুল। পরে তারা উবায়দুল্লার পকেট চেক করার নামে কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দেন। এরপরই জামিরুল তাকে বলেন তুই ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। আর কোথায় কোথায় ইয়াবা আছে বল। এসব বলার পাশাপাশি উবায়দুল্লাকে বেদম পেটাতে থাকেন জামিরুল ও অন্য পুলিশ সদস্যরা। এতে উবায়দুল্লার কানের পর্দা ফেটে যায়।

বিজ্ঞাপন

খবর পেয়ে উবায়দুল্লার বাবা নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসলে তাকে আটক করে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন জামিরুল। এরপর স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব আসার পর ২৫০০ টাকা নিয়ে উবায়দুল্লা ও তার বাবাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।

আরও পড়ুন:ঘুষের টাকার জন্য দফতরির কানের পর্দা ফাটালেন এসআই