মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি বন্ধ



উপজেলা করেসপেন্ডেন্ট, বার্তাটোয়ান্টিফোর.কম, টেকনাফ (কক্সবাজার)
সাগর পথে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গরু আমদানি করা হয়/ ফাইল ছবি

সাগর পথে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে গরু আমদানি করা হয়/ ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সীমান্ত দিয়ে মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। দেশীয় খামারিদের কথা চিন্তা করে মিয়ানমারের গবাদি পশু আমদানি বন্ধের নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। এতে পশু ব্যবসায়ীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।

মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) থেকে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ করিডোর দিয়ে মিয়ানমারের গবাদি পশু আমদানি বন্ধ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো: রবিউল হাসান।

ইউএনও বলেন, ’সরকারের নির্দশনা অনুযাী মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবে পরবর্তী নির্দেশ না আসা পযর্ন্ত মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি বন্ধ থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে গবাদি পশু আমদানি বন্ধের বিষয়ে স্থানীয় বিজিবি ও শুল্ক বিভাগ বরাবর চিঠি পাঠানো হচ্ছে।’

এদিকে চলতি আগস্ট মাসের প্রথম দুই দিনে দুই হাজার ৬২৮টি পশু শাহপরীর দ্বীপ করিডোরে আসে। এসব পশু থেকে ১৩ লাখ ১৪ হাজার টাকা রাজস্ব পায় সরকার। এছাড়া জুলাই মাসে ১০ হাজার ৯৫টি পশু আসে। এ থেকে ৫০ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ টাকা রাজস্ব পায়।

তাছাড়া ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৭৫ হাজার ৫২১টি পশু আসে। এর আগে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক লাখ ২৫ হাজার ৬৭টি পশু আনা হয়। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৬৬ হাজার ৯৩৬টি পশু আমদানি হয় এই করিডোর দিয়ে।

টেকনাফের পশু আমদানিকারক নেতা সদর ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আবু সৈয়দ বলেন, ‘হঠাৎ করে গবাদি পশু আসা বন্ধের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া যায় না। এর ফলে ব্যবসায়ীদের শত কোটি টাকা লোকসান গুনতে হবে। কারণ কোরবানির ঈদ উপলক্ষে মিয়ানমারের পশু ব্যবসায়ীদের কাছে শত শত কোটি টাকা দাদন দেওয়া হয়েছে। এপাড়ে আনতে সেদেশে অনেক পশু মজুদ করা হয়েছে।’

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফস্থ ২ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধিনায়ক লে. কর্নেল ফয়সল হাসান খান বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পশু আমদানি বন্ধের নির্দেশনা এখনো পাওয়া যায়নি। যতটুকু জানি সাগর উত্তালের কারণে পশু আসা বন্ধ রয়েছে। যদি বন্ধের সিদ্ধান্তের কাগজপত্র আসে, তখন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

টেকনাফের শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ ময়েজ উদ্দীন বলেন, ‘মিয়ানমারের থেকে পশু আনা বন্ধের কোনো ধরনের কাগজ পাইনি। বৈরি আবহাওয়ার কারণে চার দিন ধরে পশু আসা বন্ধ রয়েছে।‘

উল্লেখ্য যে, ২০০৩ সালের ২৫ মে মিয়ানমার থেকে চোরাই পথে গবাদিপশু আসা রোধে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ বিজিবির চৌকি-সংলগ্ন এলাকায় এ করিডোর চালু করা হয়। করিডোরে আসা গবাদি পশু প্রথমে বিজিবির তত্ত্বাবধানে রাখা হয়। পরে সোনালী ব্যাংকে চালানের মাধ্যমে রাজস্ব জমা ও শুল্ক স্টেশনের অনুমতি নিয়ে গবাদিপশুগুলো করিডোর থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;