কোরআন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হৃদয় পেল ওমরাহ পালনের সুযোগ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে হবিগঞ্জে আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশনের মাসব্যাপী পবিত্র কোরআন প্রতিযোগিতার প্রথম বিজয়ী হৃদয় আহছান পেয়েছে ওমরাহ হজ পালনের সুযোগ।
সে লাখাই উপজেলার গোয়াকারা গ্রামের ডেঙ্গু মিয়ার ছেলে এবং হবিগঞ্জ আহছানিয়া মিশন এতিমখানা হাফেজিয়া মাদরাসার ছাত্র।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় স্থানীয় টাউন হল অডিটোরিয়ামে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি ও প্রতিযোগিতার পৃষ্ঠপোষক অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির।
প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নারায়ণপুরের মাওলানা তাজুল ইসলামের ছেলে হুসাইন আহমদ ২০ হাজার এবং তৃতীয় পুরস্কার বিজয়ী আজমিরীগঞ্জ উপজেলার পাটুলীপাড়া গ্রামের মাওলানা আব্দুল কদ্দুছের ছেলে মো. আবু নাছের পেয়েছেন ১০ হাজার টাকা।
এছাড়াও তিনটি বিভাগে বিজয়ীদের মাঝে সর্বমোট এক লাখ ৪২ হাজার টাকা নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করা হয়।
আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশনের পবিত্র কোরআনের আলো হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক আলহাজ মাওলানা শামছুল হক মুসা’র সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মুফতি আলমগীর হোসাইন সাইফীর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- সাবেক পৌর চেয়ারম্যান শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আলেয়া আক্তার, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান, নবীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরব আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামিম, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান গাজীউর রহমান ইমরান, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট আব্দুল আহাদ ফারুক, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইদুর রহমান প্রমুখ।
এছাড়াও বিভিন্ন এলাকার আলেম-ওলামাবৃন্দসহ জেলার আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশন সূত্রে জানা যায়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এমপি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে আলেয়া জাহির ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আগস্ট মাসব্যাপী এই প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে। জেলার হবিগঞ্জ সদর, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা পর্যায়ে তিনটি গ্রুপে পৃথকভাবে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। অংশগ্রহণকারী ৩০০ জন প্রতিযোগিতার মাঝে ফাইনাল রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয় ৩৬ জন। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পুরস্কার ছাড়াও এদের প্রত্যেককে আর্থিক পুরস্কার এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়েছে।
প্রথম পুরস্কার বিজয়ের মাধ্যমে ওমরাহ হজের সুযোগ পাওয়া হৃদয় আহসান এই বিজয়ে আনন্দিত। পবিত্র কাবা এবং মদিনা ভ্রমণের সুযোগ তার জীবনের পরম প্রাপ্তি হিসাবে উল্লেখ করে সে এই প্রতিযোগিতা নিয়মিত আয়োজনের দাবি জানায়। এই কৃতিত্বের জন্য পিতা-মাতা ও ওস্তাদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানায় সে।