চাঁদপুরে পানিতে ডুবে দুই ভাইসহ ৩ জনের মৃত্যু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, চাঁদপুর
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চাঁদপুর জেলার মানচিত্র, ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুর জেলার মানচিত্র, ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলায় পুকুরের পানিতে ডুবে প্রাণ হারিয়েছে একই পরিবারের দুই শিশু। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার উত্তর আলগী ইউনিয়নের ছোট লক্ষ্মীপুর গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার শিকার দুই শিশু হচ্ছে, প্রবাসী সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারীর ছেলে সিফাত ও সিয়াম। এদিকে, কচুয়া উপজেলায় মিরাজ হোসেন (১৪) নামের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীর মৃতদেহ পানি থেকে উদ্ধার করা হয়।

পানিতে ডুবে মারা যাওয়া দুই ভাইয়ের মা সুমী বেগম জানান, দুপুরে বাড়ির পুকুরে দুই ছেলে সিফাত (৮) ও সিয়ামকে (৬) সঙ্গে নিয়ে গোসল করতে যান তিনি। গোসল শেষে তিনি ফিরে এলেও দুই ভাই সেখানে আরও কিছুক্ষণ থাকবে বলে তাদের মাকে জানায়। এরপর, বেশকিছু সময় অতিবাহিত হলেও দুই ভাই ফিরে না এলে তাদের ডেকে আনতে পুকুর পাড়ে যান তিনি। কিন্তু এসময় সন্তানদের খুঁজে না পেয়ে হাউমাউ করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক ঘণ্টা পর বিকেল ৩টায় মরদেহ দুইটি পুকুরে ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা শিশুদের মরদেহ উদ্ধার করে।

বিজ্ঞাপন

এ বিষয়ে হাইমচর থানার ওসি মো. জাহিরুল ইসলাম জানান, পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় বিনা ময়না তদন্তে শিশুদের মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এদিকে, কচুয়া উপজেলার এনায়েতপুর গ্রামে মসজিদের পুকুরে গোসল করতে নেমে মিরাজ হোসেন (১৪) নামের এক মেধাবী স্কুল ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সে বাড়ি সংলগ্ন মসজিদের পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরদিন শুক্রবার দুপুরে তার লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় স্থানীয় লোকজন। মিরাজ হোসেন পার্শ্ববর্তী ঐতিহ্যবাহী গুলবাহার আশেক আলী খান স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র।

বিজ্ঞাপন

কচুয়া এলজিইডি অফিসে কর্মরত মিরাজের বাবা আব্দুল আউয়াল (হান্নান) জানান, আমার ছেলে বৃহস্পতিবার স্কুলে যাওয়ার পূর্বে পুকুরে গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তাকে না পেয়ে তার সন্ধানে এলাকায় মাইকিং করা হয়। শুক্রবার ২৪ঘণ্টা পর আমার ছেলের মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান স্থানীয় লোকজন।'

এ ঘটনায় কচুয়া থানার ওসি ওয়ালী উল্যাহ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। তবে নিহত পরিবারের এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ নেই।