খোয়াই নদী উদ্ধারে উচ্ছেদ অভিযান শুরু

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, হবিগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

খোয়াই নদরি তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

খোয়াই নদরি তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

সব প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে হবিগঞ্জের পুরাতন খোয়াই নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের ভেতরে নদীর তীরবর্তী অবৈধ স্থাপনাগুলো উচ্ছেদ করবে জেলা প্রশাসন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় শহরের মাছুলিয়া এলাকা থেকে শুরু হওয়া অভিযানে নেতৃত্ব দেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত হোসেন রুবেল।

বিজ্ঞাপন

প্রায় ৩ যুগ আগে নদী শাসনের মাধ্যমে খোয়াই নদীর গতিপথ পরিবর্তন করায় শহরের ভেতরের ৫ কিলোমিটার অংশ পুরাতন নদীতে পরিণত হয়। এরপর থেকেই সেখানে নজর পরে প্রভাবশালীদের। অব্যাহত দখলের ফলে ২শ’ ফুট প্রশস্ত নদীটি নালায় পরিণত হয়। দখলদারদের তালিকায় রয়েছেন রাজনীতিবিদসহ সুশীল সমাজের ব্যক্তিরাও। সরকারিভাবেও নদী ভরাট করে নির্মাণ করা হয়েছে জেলা পরিষদ ভবন, মেজর জেনারেল এম এ রব স্মৃতি পাঠাগার ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ।

অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অভিযানের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাখাওয়াত হোসেন রুবেল বলেন, জেলা প্রশাসকের নির্দেশে সোমবার সকাল থেকে আমরা খোয়াই নদী উদ্ধারে নেমেছি। বিপুলসংখ্যক শক্তিশালী ভবন এখানে থাকায় উচ্ছেদ অভিযান শেষ হতে কয়েকদিন সময় লাগতে পারে।
Khoai river

জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ বলেন, গত কয়েক দিনে সরেজমিনে সরকারি জায়গা পরিমাপ করে ৬শ’ দখলদারের নাম তালিকাভুক্ত করেছি। এর মধ্যে অনেকেরই অফিস, বিল্ডিং, মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা ও বাগানবাড়ি রয়েছে। মসজিদ, মন্দির, মাদ্রাসা ও মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে পর্যালোচনা করা হবে। অনেক স্থাপনা উচ্ছেদের ক্ষেত্রে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকলে কাগজপত্র দেখে সঠিক হলে বিবেচনা করা হবে। আর ডায়াবেটিক হাসপাতাল ও জেলা পরিষদ সরকারিভাবে বন্দোবস্ত দেওয়া। সেটা আইনি প্রক্রিয়ায় দেখা হবে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, নদী ও খালের জায়গা সরকারিভাবে কোন বন্দোবস্ত দেওয়া হয় না। যদি কোন ব্যক্তি লিজ নিয়ে থাকেন তাহলে সেটা অবৈধ। শ্রেণি পরিবর্তন বৈধ নয়, যেগুলো শ্রেণি পরিবর্তন করা হয়েছিল সেগুলো আইনি প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।