পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি, যাত্রীদের দুর্ভোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মানিকগঞ্জ
পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

পাটুরিয়া ঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় সীমাহীন দুর্ভোগ পড়েছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহনের যাত্রী ও পরিবহন চালকেরা। নদী পারের অপেক্ষায় বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে অপেক্ষামাণ রয়েছে প্রায় নয় শতাধিক যানবাহন।

দুই থেকে তিন ঘন্টা অপেক্ষার পর বাস ও ছোট গাড়ি ফেরিতে উঠার সুযোগ পেলেও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার। তবে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নদী পারের সুযোগ পাচ্ছে জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক।

পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকার কারণে বিপাকে পড়েছে লোকাল বাসের যাত্রীরা। ঘাট এলাকা থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার এলাকা আগেই বাস থেকে নামিয়ে দেওয়া হচ্ছে যাত্রীদেরকে। প্রচণ্ড রোদের মধ্যে দীর্ঘ পথ পায়ে হেঁটে ফেরিঘাট এলাকায় এসে ভোগান্তিতে পড়েছে লোকাল বাসের যাত্রীরা। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে নারী ও শিশুরা।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে ফেরিঘাট এলাকা থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা পর্যন্ত যাত্রীবাহী বাসের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। ঘাট এলাকার ট্রাক টার্মিনাল দুইটিও ট্রাকে পরিপূর্ণ। লাইনেও অপেক্ষামাণ দেখা যায় বেশ কিছু ট্রাক। ছোট গাড়ির সারিও প্রায় দুই কিলোমিটার। মহাসড়কের উথুলী এলাকায় আটকা রয়েছে আরও দুই শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক।

ফরিদপুরগামী লোকাল বাসের যাত্রী হরিপদ সরকার বলেন, পূজার ছুটি কাটাতে বাড়ির উদ্দেশে যাত্রা। ফেরিঘাটের ভোগান্তির জন্য লোকাল বাসে ঢাকা থেকে পাটুরিয়ায় আসা। প্রায় দেড় কিলোমিটার আগেই বাস থেকে নামিয়ে দেওয়ায় ফেরিঘাট এলাকা পর্যন্ত হেঁটে এসে অসুস্থ প্রায় তার দুই নাতনি ও স্ত্রী। গত কয়েক বছরের যাত্রায় এমন ভোগান্তি হয়নি বলেও জানান তিনি।

রাজবাড়ীমুখী তেল বোঝাই ট্রাকের চালক আরিফুল ইসলাম জানান, তিন দিন ধরে ঘাট এলাকায় অপেক্ষা করেও ফেরিতে উঠার সুযোগ পাননি তিনি। আরও কয়দিন অপেক্ষা করতে হবে তারও কোন ঠিক নেই বলে জানান তিনি।

নদী পারের অপেক্ষায় থাকা সোহাগ পরিবহনের যাত্রী আমিনুল ইসলাম জানান, প্রচণ্ড গরমে এমন ভোগান্তি কল্পনাও করা যায় না। তিন ঘন্টা যাবত গাড়িতে বসে থেকেও ফেরিতে উঠতে পারেনি তাদের বাস।

বিআইডব্লিউটিসি আরিচা কার্যালয় বাণিজ্য বিভাগের এজিএম জিল্লুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটের দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় প্রচণ্ড স্রোত ও ঘাট পন্টুন সমস্যার কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এতে করে পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায় ভোগান্তি বাড়ছে। এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে আরও দুই তিন অপেক্ষা করতে হতে পারে।

পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ১৬ টি ফেরি থাকলেও স্রোতের কারণে সবগুলো ফেরি চালানো যাচ্ছে না। যে কারণে ঘাট এলাকায় বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে নয় শতাধিক যানবাহন অপেক্ষামাণ রয়েছে। যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনা করে বাস, জরুরী পণ্যবাহী ট্রাক ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়িগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নৌরুট পারাপার করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।

পাটুরিয়া ফেরিঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আরাফাত রাসেল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ফেরিঘাট এলাকায় দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী যানবাহনের প্রচণ্ড চাপ রয়েছে। বাস, ট্রাক ও ছোট গাড়ি মিলে নদী পারের অপেক্ষায় নয় শতাধিক যানবাহন অপেক্ষমাণ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;