‘মানিক আমার কোরআন রাইখা আসতে চায় নাই’



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
নারায়ণগঞ্জে ধসে পড়া ৪ তলা ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

নারায়ণগঞ্জে ধসে পড়া ৪ তলা ভবন, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মাত্র ২ ঘণ্টা আগেও বুকভরা আশা নিয়ে ছেলের ফেরার অপেক্ষায় ছিলেন কাকলী বেগম। কখন তার ছেলে বুকে ফিরবে। ভবন ধসের ৪৭ ঘণ্টার মাথায় ফিরল ওয়াজিদ। তবে জীবিত নয়, মৃত।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ২টায় খালের ওপরে ধসে পড়া এইচএম ম্যানশন নামের চারতলা ভবনটির নিচতলার একটি বিমের নিচে কাঁদাপানিতে চাপা পড়া অবস্থায় ওয়াজিদের অবস্থান শনাক্ত করেন উদ্ধারকর্মীরা। পরে দেড় ঘণ্টার প্রচেষ্টায় বিকেল সাড়ে ৩টায় ওয়াজিদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

ওয়াজিদের মরদেহ উদ্ধারের পরপরেই আহাজারিতে ফেটে পড়েন মা কাকলী বেগম, ‘তিনি বলতে থাকেন কোরআন খতম দেওয়ার জন্য আরবি পড়তে পাঠাইছিলাম। আমার মানিক আর আইলো না। আমি ওরে ছাড়া বাঁচুম কেমনে? আমার তো এই একটাই মানিক। মানিক আমার কোরআন শরীফ রাইখা আসতে চায় নাই।’

বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন বলেন, ‘ধসে পড়া ভবনের দেয়াল কেটে ভেতরে ঢুকেও উদ্ধার অভিযানে ওয়াজিদকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হয়তো সে ভবন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় দেয়ালের নিচে চাপা পড়ে গিয়েছিল। কাদামাটির কারণে পানির নিচে নেমেও অনুসন্ধানে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও উদ্ধারকর্মীরা দেড় ঘণ্টা প্রচেষ্টার পর শিশু ওয়াজিদের দেহ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

উল্লেখ্য, গত রোববার (৩ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের ১নং বাবুরাইল এলাকাতে খালের ওপর নির্মিত এইচএম ম্যানশন নামের ভবনটি ধসে পড়ে। ৪ তলা ভবনের নিচে তলায় আরবি পড়তে গিয়েছিলেন ইফতেখার আহমেদ ওয়াজিদ, তার খালাতো ভাই সোয়াইব ও সমবয়সী স্বপ্না। আছরের আযানের পরপরই পশ্চিম দিকে কাত হয়ে ধসে পড়ে ভবনটি।

সেখান থেকে বেরিয়ে আসা স্বপ্না জানান, ঘরের ভেতরে সবাই যখন পানির দিকে যেতে থাকে তখন সে খাটের পায়া ধরে রাখে। সোহাইনের উপর ভারী আসবাব পড়ায় সে উঠতে পারে না, আর ওয়াজিদ গড়িয়ে বারান্দার দিকে যেতে থাকে। ওয়াজিদ স্বপ্নার হাত ধরলেও বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেনি। সে বারান্দার দিকে গড়িয়ে চলে যায়। ঘরের বারান্দার অংশটি খালের পানিতে ডুবে যায়।

এদিকে, উদ্ধারের পরপরই কাজ সমাপ্ত ঘোষণা করেছে ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের সদস্যা। একই সঙ্গে ভবনটির আশপাশের অন্যান্য বাড়িগুলোকেও খালি করতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রশাসনের কর্মকর্তারা। ইতোমধ্যে সদর উপজেলা ইউএনও নাহিদা বারিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;