জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘সুলতানা রাজিয়া’ পাঠাগার



তোফায়েল হোসেন জাকির, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গাইবান্ধা
সুলতানা রাজিয়া পাঠাগার, ছবি: বার্তা২৪.কম

সুলতানা রাজিয়া পাঠাগার, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

‘পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে পাঠকদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়াচ্ছে ‘সুলতানা রাজিয়া’ নামের পাঠাগার।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের ছান্দিয়াপুর বাজারে অবস্থিত এ পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে বইপ্রেমী মানুষদের কাছে ক্রমান্বয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

জানা যায়, প্রায় তিন বছর আগে বেলাল হোসেন নামে উপজেলার ছান্দিয়াপুর গ্রামের এক যুবক ব্যক্তিগত উদ্যোগে সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারটি প্রতিষ্ঠা করেন। এতে প্রাথমিকভাবে ৩০টি বই নিয়ে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সাহিত্য, জীবনী, গল্প-কবিতা, চলচ্চিত্র, সাধারণ জ্ঞান, ধর্মীয়সহ অন্যান্য প্রায় ৬ শতাধিক বই রয়েছে। আর এইসব বই পড়ে জ্ঞান আহরণ করতে প্রতিদিন আসেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন বইপ্রেমী মানুষরা।

পাঠকদের উন্নত মানসিকতার সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে পাঠাগারটি। ফলশ্রুতিতে ১৭ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা গণগ্রন্থাগারের আওতায় পাঠাগারটিকে সরকারি তালিকাভুক্ত করা হয়।

সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারের আয়োজনে বিভিন্ন জাতীয় দিবস, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষামূলক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান, কুইজ প্রতিযোগিতা ও এলাকার উন্নয়নমূলক কাজসহ একাধিক সামাজিক কাজের সচিত্র প্রতিবেদন দেখানো হয়।

বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকালে সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারে বই পড়তে আসা মুন্নি আকতার নামের এক ছাত্রী জানান, গ্রামে বসবাস করায় দূরের ভালো কোনো পাঠাগার বা গ্রন্থাগারে বই পড়ার সুযোগ হয় না তার। ফলে সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারে বই পড়ে জ্ঞান অর্জন করতে আসেন তিনি।

শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সুলতানা রাজিয়া পাঠাগার মানুষকে আলোকিত করার যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেটি সবার আদর্শ হওয়া উচিত। তার স্বপ্নকে টিকিয়ে রাখতে হলে তাকে সবার সহযোগিতা করা দরকার।’

পাঠাগারটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক বেলাল হোসেন বলেন, ‘পাঠাগারের শুরুতে আমি বলেছিলাম রবি ঠাকুরের সেই বিখ্যাত উক্তি-যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে, তবে একলা চলরে। কিন্তু আজ থেকে সেই কথাটি আর বলব না। পাঠকদের উপস্থিতি বলে দেয় আজকে সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারকে কানায় কানায় সুশোভিত। সবার সহযোগিতায় সুলতানা পাঠাগারটি এগিয়ে যাবে বহুদূর এবং বিভিন্ন অপকর্ম থেকে দূরে থাকবে তরুণ সমাজ।’

পাঠাগারের উপদেষ্টা তোফায়েল হোসেন জাকির বলেন, ‘পাঠাগার এমন একটি জায়গা, যেখানে মানুষ পৃথিবীর বিচিত্র সব জ্ঞানভাণ্ডারের সঙ্গে পরিচিত হবার সুযোগ পায়। নিত্যনতুন উপলব্ধি আর অভিজ্ঞতায় নিজেকে বিকশিত করা যায় পাঠাগারের মাধ্যমেই।’
 
সাদুল্লাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সাহারিয়ার খান বিপ্লব বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সুলতানা রাজিয়া পাঠাগারটি পরিদর্শন করা হয়েছে। যুগোপযোগী পথচলার জন্য পাঠাগারের সংশ্লিষ্টকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’

একই কথা জানালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. নবী নেওয়াজ।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;