চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় চিহ্নিত রাজাকারদের নাম



অনিক চক্রবর্ত্তী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ/ছবি: বার্তা২৪.কম

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের যদুপুর গ্রামের আব্দুল জলিল। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন গ্রামে রাজাকারের ভূমিকায় ছিলেন তিনি। তার সহযোগিতায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ওপর চালিয়েছে নির্মম অত্যাচার-নির্যাতন। পরবর্তীতে বিজয়ের আগ মুহূর্তে গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণীর কাছে অস্ত্র জমা নিয়ে নিজেকে আত্মসমর্পণ করেন রাজাকার আব্দুল জলিল। চিহ্নিত রাজাকার হবার পরও স্বাধীনতার কয়েক বছর পর রাজাকার থেকে আব্দুল জলিল নিজেকে বানিয়ে ফেলেন মুক্তিযোদ্ধা। ভুয়া কাগজপত্র দেখিয়ে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করে মুক্তিবার্তায় নাম লেখান তিনি। শুধু তাই নয় সরকারের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন তিনি। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বসতঘরও পেয়েছেন রাজাকার আব্দুল জলিল।

চুয়াডাঙ্গার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকার নথিপত্রে দেখা গেছে, ১৯৮৭ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা অনুয়ায়ী চুয়াডাঙ্গা জেলায় সর্বমোট মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১১০০ জন। ১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৫ সালে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১৫০০। এরপর ২০০৯ থেকে ২০১৯ সালে তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সর্বশেষ নাম ওঠে প্রায় ১৮০০ জনের। এদের মধ্যে ১৭০০ জনের বেশি মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে সরকারি ভাতা পাচ্ছেন। বাকি যারা রয়েছেন তারাও পরবর্তীতে ভাতা পাবেন।

এদিকে নাম প্রকাশ করার না শর্তে মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের এক মুক্তিযোদ্ধা জানান, মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় যাদের নাম রয়েছে সঠিক যাচাই-বাছাই করলে তাদের অধিকাংশই ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আর রাজাকার বলে প্রমাণ মিলবে। এসব রাজাকাররা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় নিজেদের নাম মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তুলেছেন।

বিজয়ের এতো বছর পরেও চুয়াডাঙ্গায় আব্দুল জলিলের মতো অনেক রাজাকারের নাম মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় আছে বলে জানান মুক্তিযোদ্ধারা। তারা বলছে বিভিন্ন সরকারের সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকায় রাজাকাররা নিজেদের নাম লেখান। যা পরবর্তীতে আর সংশোধন করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন সময়ে জেলা মুক্তিাযোদ্ধা কমান্ডারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের অবহেলার কারণেই এসব রাজাকাররা মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় এসেছেন। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার মতো রাজাকারও পাচ্ছেন রাষ্ট্রীয় সম্মান। তীব্র ক্ষোভ জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে চুয়াডাঙ্গার চিহ্নিত এসব রাজকাররা সমাজে এখন এমন অবস্থায় পৌঁছে গেছে যে তাদের বিরুদ্ধে কথা বললেও কেউ বিশ্বাস করবে না।

বেগমপুর ইউনিয়নের একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গনি। মুক্তিযুদ্ধের উইং কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বহু বছর নিজের বুকে জমানো ক্ষোভ আর কষ্টের কথা বার্তা২৪.কমের কাছে তুলে ধরেন মুক্তিযোদ্ধা ওসমান গণী। তিনি বলেন, দেশ স্বাধীন করেও আজ মানবেতর জীবনযাপন করছি। চাটাইয়ের বেড়া আর ভাঙা টিনের বাড়িতেই জীবনের শেষ বয়সে কষ্টে দিন কাঁটছে তার। অন্যদিকে তারই হাতে অস্ত্র জমা দেয়া পাশ্ববর্তী যদুপুর গ্রামের চিহ্নিত রাজাকার আব্দুল জলিল পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ঘর।

একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আজিজ বলেন, চিহ্নিত রাজাকাররা যখন বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে নিজেকে মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিয়ে বক্তব্য রাখেন তখন নিজের কাছে মনে হয় মুক্তিযুদ্ধ কেন করেছি আমরা। মুক্তিযোদ্ধার ভাতা তুলতে ব্যাংকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমিও যাচ্ছি আবার সেই মুক্তিযুদ্ধে বিপক্ষে কাজ করা রাজাকারও যাচ্ছে আমার সঙ্গে। এর থেকে লজ্জার আর কী হতে পারে!

চুয়াডাঙ্গা জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার আবু হোসেন জানান, চুয়াডাঙ্গায় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে যেসব রাজাকার সরাসরি যুদ্ধ করেছে তারা হলো রাজাকার জাহিদ, সলেহ্, মালেক, জলিল ও দই কাশেম। এসব চিহ্নিত রাজাকারসহ ২৫ থেকে ৩০ জন রাজাকার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেছেন। সরকারিভাবে তারা রাষ্ট্রীয় সম্মানও পাচ্ছেন।

সাবেক সদর থানা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আশু বাঙ্গালী বলেন, ২০১৪ সালে মন্ত্রাণালয় থেকে আমার কাছে রাজাকারদের তালিকা চেয়ে একটি চিঠি দিয়েছিল। রাজাকারদের তালিকা করতে গিয়ে দেখা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা স্বাধীনতা বিরোধী ছিল তারা আজ সামাজিক ও প্রশাসনিকভাবে এমন জায়গায় অবস্থান করছে যে তাদের নাম রাজাকারের তালিকায় লেখা দুরূহ ব্যাপার। তবুও সবকিছু কাঁটিয়ে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে রাজাকারের নাম পাঠানো হয়েছিল।

রাজাকার থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধায় নাম ওঠানো অভিযুক্ত আব্দুল জলিলের বাসায় গিয়ে চোখে পড়ে বাড়ির সামনে টাঙানো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি। আব্দুল জলিলের কাছে যুদ্ধের সময় তিনি কত নম্বর সেক্টরে যুদ্ধ করেছেন ও তার সহযোদ্ধাদের নাম জানতে চাওয়া হলে তিনি সন্তোষজনক কোনো উত্তর দিতে পারেননি। প্রশ্নের একপর্যায়ে রাজাকার আব্দুল জলিল নিজের বক্তব্যেই স্বীকার করলেন ১৯৭১ সালে রাজাকার হিসেবে পাকহানাদার বাহিনীর হয়ে কাজ করছেন। পরে দেশ বিজয়ের আগে গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা উইং কমান্ডার ওসমান গণির হাতে ধরা পড়েন এবং তার হতেই অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পরে নিজের অবস্থা বেগতিক দেখে ঘর থেকে বের করে আনেন বীর মুক্তিযোদ্ধার ভুয়া সনদপত্র এবং গেজেট।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্বের সন্তান। বীর সন্তানদের তালিকায় ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা বা রাজাকারের কোনো ঠাঁই নেই। যদি থাকে তাহলে তাদের নাম বাদ দেওয়ার সকল প্রকার ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

২০২০ সালে বিজয়ের ৫০ বছর রজতজয়ন্তী পালিত করবে বাংলাদেশ। তার আগেই মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় যেসব ভুয়া আর রাজাকারদের ঠাঁই হয়েছে তাদের নাম বাদ দিয়ে বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করবে সরকার এমনটাই দাবি মুক্তিযোদ্ধাদের।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;