ইপিজেডের বর্জ্য পানিতে ক্ষতির মুখে ফসলি জমি



আবদুর রহমান, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ইপিজেডের বাউন্ডারি দিয়ে বের হচ্ছে বিষাক্ত বর্জ্য, ছবি: বার্তা২৪.কম

ইপিজেডের বাউন্ডারি দিয়ে বের হচ্ছে বিষাক্ত বর্জ্য, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লা রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (ইপিজেড) রাসায়নিক তরল বর্জ্য চারপাশের জলাশয়ে ছড়িয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। কল-কারখানার এসব বিষাক্ত তরল বর্জ্য মিশছে বেশ কয়েকটি খাল-বিল ও নদীর পানিতে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসলি জমিসহ জলাশয়ের জলজ প্রাণী।

বর্তমানে অনেক জলাশয়ে নেই জলজ প্রাণীর অস্তিত্ব। এছাড়া ওইসব জলাশয়ের পানি ব্যবহার করে যেসব এলাকায় ফসল উৎপাদন হতো, সেসব ফসলি জমির আবাদ এখন অনেকটাই হুমকির মুখে। অনেক এলাকায় কমে গেছে ফসলের উৎপাদনও।

প্রায় ৫ বছর আগে কুমিল্লা ইপিজেডে ৩৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন করা হয়। কিন্তু এতেও সমস্যাগুলোর কোনো প্রতিকার মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডের তরল বর্জ্য চুইয়ে মিশছে পানিতে। তবে ইপিজেড কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের দূষিত কোনো বর্জ্য জলাশয়ে মিশছে না।

ছোট খালে ইপিজেডের বিষাক্ত তরল বর্জ্য, ছবি: বার্তা২৪.কম

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালের মার্চ মাসে ২৬৭ দশমিক ৪৬ একর জায়গা নিয়ে কুমিল্লা ইপিজেড প্রকল্প অনুমোদিত হয়। বর্তমানে কুমিল্লা ইপিজেডে দেশি, বিদেশি এবং দেশি-বিদেশি যৌথ মালিকানাধীন মোট ৩৭টি কারখানা চালু রয়েছে। কিন্তু প্রতিষ্ঠার পর কুমিল্লা ইপিজেডে কোনো ধরনের তরল বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন করা হয়নি। সর্বশেষ স্থানীয়দের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১১ সালের ১৩ ডিসেম্বর ইপিজেডের দক্ষিণ প্রান্তে বর্জ্য পরিশোধনাগার স্থাপন করার কাজ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ৩০ নভেম্বর ওই প্রকল্পের কাজ শেষ হয়। আর এটিতে রাসায়নিক ও জৈবিক উভয় পদ্ধতিতে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫ হাজার ঘনমিটার বর্জ্য পরিশোধন করা যায়।

বর্জ্য পরিশোধনাগার চালু হওয়ার পরেও ইপিজেডের তরল রাসায়নিক বিষাক্ত বর্জ্য কুমিল্লা জেলার দক্ষিণাংশের বিভিন্ন ফসলি জমি, নদী–নালা, পুকুর, খাল-বিল ও জলাশয়ে চুইয়ে যাচ্ছে।

সরেজমিনে জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ওই এলাকার প্রতিটি খাল-বিল ও নালার মধ্যে কালো রঙয়ের পচা পানি। আর পানি থেকে ভেসে আসছে দুর্গন্ধ। এসব স্থান দিয়ে হাঁটা-চলাও যেন কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

বিজয়পুর এলাকা থেকে এসব পানি লালমাই হয়ে ডাকাতিয়া নদীতে গিয়ে মিশছে। বিজয়পুর জেলখানা বাড়ি এলাকার রেলসেতুর নিচেও একই কালো পানি। কুমিল্লা-চাঁদপুর সড়কের বিজয়পুর পাকা সেতুর নিচেও কালো পানি। বামিশা, দিঘিরপাড় কলেজের আশপাশেও কৃষি জমিতে কালো পানির দেখা মেলে।

কালো দুগন্ধযুক্ত পানি, ছবি: বার্তা২৪.কম

এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কুমিল্লা জেলা শাখার সভাপতি ডা. মো. মোসলেহ উদ্দিন বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডের তরল বর্জ্যের কারণে কয়েকশ ফসলি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইতিমধ্যে জলাশয় থেকে হারিয়ে গেছে নানা প্রজাতির মাছ। এসব বিষাক্ত পানি ফসল, মাছ ও মানুষের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এতে শরীরে জটিল রোগ দেখা দিতে পারে।

জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. গোলাম সারওয়ার বলেন, কুমিল্লা ইপিজেডের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে জেলার উন্নয়ন সভা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন স্থানে বহু বছর থেকে কথা বলছি। কিন্তু এখনো কোনো কাজ হয়নি।

কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ অংশের দিশাবন্দ এলাকার বাসিন্দা মো. জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের দিশাবন্দ, রাজাপাড়া, নেউরাসহ বেশ কিছু এলাকায় এখন বসবাস করা দায় হয়ে পড়েছে।

এদিকে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কুমিল্লা ইপিজেডের মহাব্যবস্থাপক মো. জিল্লুর রহমান। তিনি দাবি করেন, তাদের বর্জ্য নিজেদের নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। এখান থেকে বর্জ্য কোনো জলাশয়ে যাচ্ছে না।

তিনি দাবি করে বলেন, কেন্দ্রীয় তরল বর্জ্য পরিশোধনাগারের মাধ্যমে তাদের সকল বর্জ্য পরিশোধিত হচ্ছে। প্রতিনিয়ত স্থানীয় জনগণ এসে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার পরিদর্শন করছেন।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;