খানখানাপুরে দুর্ঘটনা: গ্রিনলাইন বাস চালকের তথ্য চেয়েছে পুলিশ

  • সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দুর্ঘটনা কবলিত মাহিন্দ্রা, বাস। ছবি: বার্তা২৪.কম

দুর্ঘটনা কবলিত মাহিন্দ্রা, বাস। ছবি: বার্তা২৪.কম

সম্প্রতি রাজবাড়ীর খানখানাপুর বড় ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাসচাপায় মাহিন্দ্রার ৫ যাত্রী নিহত হয়। এ ঘটনায় গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষের কাছে ঘাতক বাস চালকের তথ্য চেয়েছে পুলিশ।

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) সকালে বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মিজানুর রহমান।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, গত রোববার (১২ জানুয়ারি) খানখানাপুর বড় ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় যাত্রীবাহী মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস। এতে মা-মেয়েসহ ৫ জন মাহিন্দ্রা যাত্রী নিহত হন। তখন বাসটি জব্দ করে পুলিশ।

ওই দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী সদরের আহলাদিপুর গ্রামের নায়েব আলীর স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪০) ও তার মেয়ে তাসলিমা খাতুন (১৬), ফরিদপুরের ঝিলটুলির আব্দুর রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন রিফাত (২৫), গোয়ালন্দের তুরাফ শেখপাড়ার আরশাদ আলী শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ (৫২) ও গোয়ালন্দের চর মাইটকুড়া গ্রামের মৃত জয়নাল শেখের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৪৫)।

বিজ্ঞাপন

দুর্ঘটনার পরে নিহত গোয়ালন্দের দক্ষিণ দৌলতদিয়ার তুরাফ শেখ পাড়ার মোস্তফা শেখের ছেলে রাশেদুল বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার আহলাদিপুর হাইওয়ে থানাকে তদন্তের দায়ভার দেন।

এসআই মো. মিজানুর রহমান বলেন, ‘তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে আমি কাজ করছি। এ ঘটনায় সদর থানায় ১২ জানুয়ারি মামলা হয়। মামলা নং-১৯।’

তিনি জানান, দুর্ঘটনার সময়ই গ্রিনলাইন বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। তাদের কোনো ঠিকানা না থাকায় মামলাটির পরবর্তী কার্যক্রম চালাতে বিঘ্ন ঘটছে। তাই ঘাতক চালকের নামসহ তার সম্পূর্ণ ঠিকানা চেয়ে বাস কর্তৃপক্ষকে একটি চিঠি দেয়া হয়েছে। ঘাতক বাসটির রেজিস্ট্রেশন নং (ঢাকা মেট্রো ব-১৪-০৬৮৩)। এছাড়াও চালকের জাতীয় পরিচয়পত্র ও ড্রাইভিং লাইসেন্সের কপিও চাওয়া হয়েছে।

বাস কর্তৃপক্ষ এসব তথ্য ও কাগজপত্র দেয়ার পর পরবর্তী কার্যক্রম চালানো হবে। যতদিন পর্যন্ত কাগজপত্র হাতে পাওয়া না যাবে ততদিন পর্যন্ত জব্দকৃত ঘাতক বাসটি পুলিশি হেফাজতে থাকবে বলেও জানান তিনি।

মামলার বাদী নিহত মোস্তফা শেখের ছেলে রাশেদুল বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার পরদিন গ্রিনলাইনের পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা আমাদেরকে তাদের সঙ্গে দেখা করতে বলেছে। আমরা তাদের বলেছি এই মুহূর্তে দেখা করতে পারব না।’

উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি ঢাকার উদ্দেশে বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসে গ্রিনলাইনের একটি বাস। পথিমধ্যে বাসটি ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের চর খানখানাপুর এলাকার বড় ব্রিজের কাছে একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে যায়। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা রাজবাড়ীগামী একটি মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয় বাসটি। এতে ঘটনাস্থলে মাহিন্দ্রার ৭ যাত্রীর মধ্যে মা-মেয়েসহ ৫ জন নিহত হয়।