রাজবাড়ীর মহাসড়কে এখনও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাহিন্দ্রা



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজবাড়ী
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে চলছে মাহিন্দ্রা/ছবি: বার্তা২৪.কম

হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মহাসড়কে চলছে মাহিন্দ্রা/ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

একের পর এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটছে তবুও রাজবাড়ীর ২৮ কিলোমিটার মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রায় দুই শতাধিক মাহিন্দ্রা। অদৃশ্য কারণে বন্ধ হচ্ছে না মহাসড়কে মাহিন্দ্রার চলাচল। ফলে প্রায়ই ঘটছে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

সম্প্রতি রাজবাড়ীর খানখানাপুর বড় ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস চাপায় মা ও মেয়েসহ মাহিন্দ্রার ৫ যাত্রী নিহত হন। এরপরও থেমে নেই মাহিন্দ্রার চলাচল। প্রতিনিয়তই সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।

হাইকোর্টের নিষেধ অমান্য করে হাইওয়ে পুলিশের সামনেই চলছে মাহিন্দ্রা। চালকরা বলেছেন হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা গাড়ি চালাচ্ছেন।

চালকরা বলেছেন হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই তারা গাড়ি চালাচ্ছেন

তবে ম্যানেজ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্ট হাইওয়ে থানা পুলিশ। তারা বলছেন প্রতিদিনই মহাসড়ক থেকে মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ যানবাহন আটক করা হচ্ছে। এরপরও থামানো যাচ্ছে না তাদের।

রাজবাড়ীর আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা সূত্রে জানা যায়, রাজবাড়ীতে মোট ২৮ কিলোমিটার মহাসড়কের আওতায় পড়েছে। এরমধ্যে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা থেকে সাইনবোর্ড পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার, গোয়ালন্দ ঘাট পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটার এবং রাজবাড়ী বড়পুল পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার। এই ২৮ কিলোমিটার মহাসড়কে দীর্ঘদিন ধরেই চলছে এই অবৈধ যানবাহন।

 ম্যানেজ করার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন হাইওয়ে থানা পুলিশ

বিআরটিএ’র রাজবাড়ী সার্কেলের সহকারি পরিচালক লিটন বিশ্বাস বার্তা২৪.কমকে বলেন, মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে দেশের ২১ জেলায় মাহিন্দ্রাসহ অবৈধ ছোট যানবাহন মহাসড়কে চলতে পারবে না। তারমধ্যে রাজবাড়ীতে রয়েছে ২৮ কিলোমিটার। রাজবাড়ীতে যে সকল মাহিন্দ্রা চলাচল করছে তার কোনটিরও হালনাগাদ নিবন্ধন ও রুটপার্মিট নেই। ফলে এ সকল যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ অবৈধ।

রোববার (১৯জানুয়ারি) সকালে সরেজমিন দৌলতদিয়া বাস টার্মিনালে ঘুরে দেখা যায়, বাসস্ট্যান্ডের অপর পাশে মহাসড়কের ওপর সারিবদ্ধভাবে অপেক্ষা করছে প্রায় ৪০-৫০টি মাহিন্দ্রা। মাহিন্দ্রাগুলোর সিরিয়াল ঠিক করে দিচ্ছেন মালিক পক্ষের মনোনীত ব্যক্তি আইয়ুব হোসেন।

আলাপকালে বার্তা২৪.কমকে তিনি বলেন, রাজবাড়ীর তিতু, সিদ্দিক। গোয়ালন্দের আকবর ফকির, আজিম মোল্লা, জুয়েল এবং শ্রমিক ইউনিয়ন থেকে জাহাঙ্গীর ও বাদল এসব মাহিন্দ্রা দে ও গোয়ালন্দের আজিজ মোল্লা। এরা সবাই মালিকপক্ষের লোক। তারাই মহাসড়কে মাহিন্দ্রা চলাচলের বিষয়টি দেখভাল করেন।

 অদৃশ্য কারণে বন্ধ হচ্ছে না মহাসড়কে মাহিন্দ্রার চলাচল

কথা হয় বেশ কয়েকজন মাহিন্দ্রা চালকের সঙ্গে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে তারা বার্তা২৪.কমকে জানান, হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজ করেই এসব যানবাহন মহাসড়কে চলছে। ম্যানেজের বিষয়টি মালিক ও শ্রমিক পক্ষের লোকজন দেখাশোনা করেন বলেও জানান তারা।

অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুদ পারভেজ বার্তা২৪.কমকে বলেন, প্রশ্নই আসে না। মাহিন্দ্রাসহ যে কোনো ধরনের অবৈধ যানবাহন যাতে মহাসড়কে চলতে না পারে সেজন্য আমরা কঠোর অবস্থানে রয়েছি। প্রতিদিন আমরা মহাসড়ক থেকে অবৈধ যানবাহন আটক করে সেগুলোর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করছি। কোনোভাবেই অবৈধ যানবাহন মহাসড়কে চলতে দেওয়া হবে না।

দৌলতদিয়া বাসস্ট্যান্ড মহাসড়কের পাশে মাহিন্দ্রা স্ট্যান্ডের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আমাদের দেখার বিষয় না।

রাজবাড়ীর ২৮ কিলোমিটার মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে মাহিন্দ্রা

হাইওয়ে পুলিশকে ম্যানেজের অভিযোগ অস্বীকার করে হাইওয়ে পুলিশ মাদারীপুর রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ওটা তাদের বক্তব্য। আমাদের নয়। এ ধরনের কাজের সাঙ্গে আহলাদিপুর হাইওয়ে থানা পুলিশের কোন সম্পৃক্ততা নেই। আমরা প্রতিদিন মহাসড়ক থেকে অবৈধ যানবাহন আটক করছি।

উল্লেখ্য, গত ১২ জানুয়ারি রাজবাড়ী সদর উপজেলায় বাস ও মাহিন্দ্রার মুখোমুখি সংঘর্ষে মা-মেয়েসহ পাঁচজন নিহত হন। ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে উপজেলার খানখানাপুর ইউনিয়নের চরখানাপুর গ্রামের মোস্তফার ইটভাটা নামক জায়গায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এসময় আরো তিন যাত্রী আহত হন।

নিহতরা হলেন- রাজবাড়ী সদরের আহলাদিপুর গ্রামের নায়েব আলীর স্ত্রী রাশেদা বেগম (৪০) ও তার মেয়ে তাসলিমা খাতুন (১৬), ফরিদপুরের ঝিলটুলির আব্দুর রফিকুল ইসলামের ছেলে ইমরান হোসেন রিফাত (২৫), গোয়ালন্দের তুরাফ শেখপাড়ার আরশাদ আলী শেখের ছেলে মোস্তফা শেখ (৫২) ও গোয়ালন্দের চর মাইটকুড়া গ্রামের মৃত জয়নাল শেখের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫)।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;