শিক্ষক সংকটে পরশুরাম সরকারি কলেজ, বিপাকে শিক্ষার্থীরা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
পরশুরাম সরকারি ডিগ্রি কলেজ

পরশুরাম সরকারি ডিগ্রি কলেজ

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষক সংকটে ফেনীর পরশুরাম সরকারি ডিগ্রি কলেজে ১৫০০ শিক্ষার্থীর পাঠদান চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আবু কাওছার মো. হারেছ জানান, অধ্যক্ষসহ ২২ জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র চারজন। ১০ জন অতিথি শিক্ষক দিয়ে চলছে কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম।

তিনি বলেন, এতে করে বিপাকে পড়েছেন কলেজের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। কলেজের শূন্যপদ পূরণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বারবার অবহিত করা হলেও কোন সুরাহা হচ্ছে না।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৩টি বিষয়ে পাঠদানের জন্য শিক্ষকের পদসংখ্যা ২১। ইতিহাস বিভাগ ব্যতিত অন্য সব বিভাগে শিক্ষক সংকট চরম। ইংরেজি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি, অর্থনীতি, রাষ্ট্রবিজ্ঞান, দর্শন, ব্যবস্থাপনা, পদার্থ, রসায়ন, প্রাণিবিদ্যা এবং গণিতে নিয়মিত কোন শিক্ষক নেই।

ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুল হায়দার বলেন, মানসম্মত শিক্ষা পদ্ধতি বাস্তবায়ন করতে হলে অতিথি শিক্ষক দ্বারা পাঠদান করিয়ে তা কখনো সম্ভব নয়। এখানে ১০টি শাখায় কোন শিক্ষকই নেই। যা শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যতের জন্য বড় একটি হুমকিস্বরূপ।

তিনি বলেন, সরকার যদি বিশেষ বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে শূন্যপদ পূরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন তাহলে আমরা অনেক উপকৃত হবো।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উচ্চ শিক্ষার প্রসারে ১৯৭২ সালে ফেনীর সীমান্তবর্তী উপজেলায় কলেজটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৩ সালের ১৮ ডিসেম্বর কলেজটি জাতীয়করণ করা হয়। প্রতিষ্ঠানটি জাতীয়করণের পর থেকে তৃতীয় শ্রেণির কোন পদ সৃষ্টি করা হয়নি। যার ফলে দৈনিক হাজিরা ভিত্তিতে কয়েকজন কর্মচারী কাজ করছেন। এছাড়াও কলেজে বিষয়ভিত্তিক প্রদর্শক, গ্রন্থাগারিক, সহকারী গ্রন্থাগারিক, কম্পিউটার অপারেটর এবং ল্যাবরেটরী সহায়ক কর্মচারীর পদগুলোও সৃষ্টি করা হয়নি। বর্তমানে ১২ জন কর্মচারীর বিপরীতে ৪ জন এমএলএসএস, ১ জন ঝাড়ুদার, ১ জন নৈশ প্রহরী কর্মরত আছেন।

কলেজ ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আশীষ চক্রবর্তী বলেন, মাত্র চারজন শিক্ষক ও দশজন অতিথি শিক্ষক দিয়ে দেড় হাজার শিক্ষার্থীর পাঠদান সম্ভব নয়। এ সমস্যার দ্রুত সমাধান না হলে যে কোন সময় বন্ধ হয়ে যেতে পারে কলেজের কার্যক্রম।

কলেজের শিক্ষার্থী হাসিবুর রহমান শান্ত বলে, অনেক দূর হতে এখানে পড়তে আসি। কিন্তু শিক্ষক না থাকায় আমাদের পড়াশুনার অগ্রগতি হয় না। ফলে বাইরের শিক্ষকদের কাছে প্রাইভেট পড়ার উপর নির্ভর থাকতে হয়। কিন্তু প্রাইভেট পড়ার সামর্থ্য সকলের থাকে না।

কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আমিনুল করিম মজুমদারের ছেলে উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান এনামুল করিম মজুমদার বলেন, দীর্ঘদিন কলেজটিতে শিক্ষক শূন্যতা বিদ্যমান রয়েছে। যা শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় বড় ধরনের প্রভাব ফেলছে। আমি আশা করি সংশ্লিষ্ট দফতর বিষয়টি সুরাহার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক বলেন, আমার সন্তানকে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর সামর্থ্য আমার নেই। তাই আমি আশা করব আমাদের একমাত্র আশা-ভরসার প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক সংকট দূর হবে।

কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বলেন, অতিথি শিক্ষকদের প্রতি ক্লাসে পাঠদানের জন্য যে সম্মানী ভাতা প্রদান করা হয় তাও তহবিল স্বল্পতার কারণে পরিশোধ করতে কষ্ট হচ্ছে। আগামী এপ্রিল মাসে অনুষ্ঠেয় এইচএসসি পরীক্ষা কথা বিবেচনা করেই আমি অতিথি শিক্ষক দ্বারা পাঠদান চলমান রাখছি। তারপর আমার পক্ষে আর সম্ভবপর হবে না।

তিনি বলেন, মন্ত্রণালয়ে আমরা প্রতি মাসেই চিঠি প্রদান করে শূণ্যপদ সম্পর্কে অবহিত করি। স্থানীয় সংসদ সদস্য শিরীন আখতার সচিব বরাবর বিষয়টি জানানোর পর তারা একবার আমার সঙ্গে ফোনালাপ করে দেখব বলেছিলো। তারপর আর কোন সাড়া মেলেনি।

কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আরও বলেন, বর্তমানে যে কয়জন শিক্ষক রয়েছে তাদের দাফতরিক কাজও করতে হয়। মফস্বল এলাকা হওয়ায় অনেক সময় শিক্ষকরা এদিকে আসতে চায় না। তারপরও আমি বিশ্বাস করি এই প্রতিষ্ঠানটি সচল রাখতে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে মন্ত্রণালয় দ্রুতই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণপূর্বক শূন্যপদগুলো পূরণে করবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী-১ আসনের সংসদ সদস্য শিরীন আখতার বলেন, কলেজের শূন্যপদ পূরণে আমি কয়েকবার সংশ্লিষ্ট দফতরকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আশা করছি শিগগিরই এ সমস্যার সমাধান হবে।

 

 

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;