তিন স্থল বন্দর উন্নয়নে ৫৯৩ কোটি টাকার অনুদান



আসিফ শওকত কল্লোল, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ভোমরা স্থল বন্দর।

ভোমরা স্থল বন্দর।

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের তিনটি স্থল বন্দরের উন্নয়নে বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষকে ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা অনুদান দিচ্ছে সরকার। বন্দরগুলো হলো- শেওলা, ভোমরা, রামগড় স্থল বন্দর। মূলত বন্দরের উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নে এ অর্থ ব্যয় করা হবে। যদিও সংস্থাটি প্রথমে বিশ্ব ব্যাংকের কাছ থেকে ঋণ নিতে চেয়েছিল। কিন্তু আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় সরকার এ ঋণ নিয়ে সংস্থাটিকে অনুদান হিসেবে এ অর্থ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং সচিব আব্দুল রউফ তালুকদার এ বিষয়ে একটি সারমর্ম সই করেন। আর অনুদানের বিষয়ে মঙ্গলবার অর্থ মন্ত্রণালয় ও স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ একটি চুক্তি (সাবসিডিয়ারি গ্রান্ড এগ্রিমেন্ট) সই করেছে।

জানা গেছে, ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি প্রজেক্ট-১’ র্শীষক এ প্রকল্পটির মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৩ কোটি টাকা। যার মধ্যে সরকার অনুদান দিচ্ছে ৫৯২ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। বাকি ১০০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে দেওয়া হয়েছে। এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য প্রতিবেশী দেশের সাথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বাড়ানো, ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন এবং  ভারত ও  বাংলাদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি সম্প্রসারণ।

এরই মধ্যে সরকার বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (আইডা) সাথে ১৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ চুক্তি সই করেছে। এছাড়াও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নের ‘বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেক্টিভিটি’ শীর্ষক অন্য একটি প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে এবং ২০২১ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ।

স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের পর্যালোচনা অনুযায়ী,  গত ৫ বছরে সংস্থাটির আয়-ব্যয়ের হিসাবে যথাক্রমে ১১ কোটি ৯৬ লাখ, ১০ কোটি ২৪ লাখ, ২৩ কোটি ১৪ লাখ, ২৭ কোটি ৮৪ লাখ, ৩৬ কোটি ৪৯ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত রয়েছে। এই উদ্বৃত্ত দিয়েই কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানো হয়। এর বাইরেও সংস্থাটি অন্য একটি প্রকল্পের জন্য এডিবির কাছ থেকে ১৪৩ কোটি ৯৩ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছে, যা কিস্তিতে পরিশোধ করতে হচ্ছে। ফলে নতুন করে ঋণ নিলে উদ্বৃত্ত দিয়ে তা পরিশোধ করা সম্ভব না। তাই স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষের সক্ষমতা বিবেচনায় প্রস্তাবিত ঋণকে অনুদান হিসেবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানানো হয়।

নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের ৪ হাজার ৯৫ কিলোমিটার, মিয়ানমারের ২৫৬ কিলোমিটার এবং উপকূলীয় এলাকায় ৫৮০ কিলোমিটার আন্তজার্তিক সীমারেখা রয়েছে। এসব সীমারেখার মধ্যে অনেকগুলো স্থল বন্দর রয়েছে। যেসব বন্দর দিয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরণের পণ্য আমদানি-রপ্তানি করা হয়। তাই বন্দরগুলোর অবকাঠামো উন্নয়নের প্রস্তাব করা হয়। প্রস্তাবটি একনেকে অনুমোদন পাওয়ায় গত বছর থেকে কাজ শুরু হয়েছে।

জানা যায়, ২০১৫ সালে সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় অবস্থিত শেওলা কাস্টমস স্টেশনকে স্থল বন্দর করা হয়। বর্তমানে এখানে কোনো স্থায়ী স্থাপনা নেই। একটি সেমিপাকা ভবন রয়েছে, যা ইমিগ্রেশন অফিস হিসাবে ব্যবহার হয়। তাই এই স্থল বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে অবকাঠামো উন্নয়ন প্রয়োজন। ভারত অংশে এ বন্ধরের নাম সুতারকান্দি স্থল বন্দর, যা আসামের করিমগঞ্জ জেলায় অবস্থিত।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয় ২০১৩ সালে। এখানে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ওপেন ইয়ার্ড, ওয়ার হাউজ এবং অন্যান্য ভৌত কাঠামো স্থাপন করা হয়। কিছু অংশ বর্তমানে আমদানিকরা কার্গোর ট্রান্সশিপমেন্ট ইয়ার্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বাকি অংশ পচনশীল দ্রব্যের কার্গোর ইয়ার্ড হিসাবে ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু কার্গো ইয়ার্ডে অত্যাধিক চাপ থাকায় এটি  সম্প্রসারণ করা প্রয়োজন। তাছাড়া পদ্মা সেতু চালু হলে এই স্থল বন্দর দিয়ে কলকাতার সাথে যোগাযোগ বাড়বে। সে কারণে এই স্থলবন্দরের অবকাঠামোগত সুযোগ সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন।

এদিকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের ৪০০ কিলোমিটার সীমারেখা রযেছে। ত্রিপুরার সাথে বাংলাদেশের সহজে বাণিজ্য প্রসার করতে রামগড় স্থল বন্দরটির অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা বাড়ানো প্রয়োজন। যা খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলায় অবস্থিত। ফলে চট্রগ্রাম বা সমগ্র দেশের সাথে ত্রিপুরা রাজ্যের আমদানি রপ্তানি বাড়বে। এতে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো যাবে। তাছাড়া ত্রিপুরা থেকে বর্তমানে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছে বাংলাদেশ। ভবিষ্যতে আরও ১০০ মেগাওয়াট আমদানি করা হবে। ফলে এ বন্দরের উন্নয়ন করা প্রয়োজন। কারণ ভারত ত্রিপুরায় বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে এ বন্দর দিয়ে সেখানে যন্ত্রাংশ নিয়ে যেতে পারবে। এতে উভয় দেশই উপকৃত হবে।

এছাড়া বাংলাদেশের অন্যতম স্থল বন্দর বেনাপোল, যা যশোর জেলার শার্শা উপজেলায় অবস্থিত। এডিবি’র অর্থায়নে রোড কানেক্টিভিটি প্রকল্পের আওতায় বেনাপোল ও বুড়িমারী স্থল বন্দর উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন আছে। এই প্রকল্পের সীমানা দেয়ালসহ আধুনিক সিকিউরিটি এবং গেট নির্মাণ না থাকায় নিরাপত্তাজনিত সমস্যা হচ্ছে। তাই এ প্রকল্পে নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়ন, সিসিটিভি ও গেইট পাস সিস্টেম স্থাপনাসহ নিরাপত্তা প্রাচীর নির্মাণে সহায়তা দিতে বিশ্ব ব্যাংক এগিয়ে এসেছে।

   

প্রতি সপ্তাহে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত সেভিংস খোলা যাচ্ছে বিকাশ অ্যাপে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সব শ্রেণির জনগোষ্ঠিকে আরো সহজ, ঝামেলাহীন সেভিংস-সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিতে এবং তাদের মাঝে সঞ্চয়ের অভ্যাস গড়ে তুলতে এবার বিকাশ অ্যাপে যুক্ত হলো দুটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদী ‘সাপ্তাহিক সেভিংস’। প্রথমবারের মতো দেশে সাপ্তাহিক এই ডিজিটাল সেভিংস সেবা চালু হলো বিকাশ অ্যাপে, যেখানে গ্রাহকরা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ছাড়াই ২৫০ থেকে শুরু করে ৫,০০০ টাকা পর্যন্ত সাপ্তাহিক কিস্তিতে সেভিংস করতে পারছেন। সেভিংস করা যাচ্ছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ।

নতুন এই সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা আর্থিক অন্তর্ভুক্তির বাইরে থাকা বিশেষ করে প্রান্তিক জনগোষ্ঠির জন্য আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। স্বল্প আয় এবং দৈনিক মজুরি ভিত্তিক পেশাজীবীদের অল্প অল্প করে অর্থ জমানোর সুযোগ করে দিবে, যা তাদের ভবিষ্যত নিরাপত্তা, কৃষি-ব্যবসায় বিনিয়োগ, শিক্ষা, চিকিৎসা বা অন্য যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে কাজে আসবে।

সাপ্তাহিক সেভিংস-এর পরিমাণ এবং মেয়াদ:

এই সেবার আওতায় বিকাশ গ্রাহকরা সাপ্তাহিক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, এবং ‌৫০০০ টাকা কিস্তিতে ৬ মাস অথবা ১২ মাস মেয়াদে আইডিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক এবং ঢাকা ব্যাংক-এ সেভিংস খুলতে পারছেন। বিকাশ অ্যাপেই ব্যাংকগুলোর দেয়া তুলনামূলক মুনাফার হারের তথ্য বিবেচনা করে দিনে-রাতে যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে মাত্র কয়েক মিনিটেই সেভিংস খোলার সুযোগ পাচ্ছেন গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাপে সেভিংস করার পদ্ধতি:

নতুন সেভিংস খুলতে বিকাশ অ্যাপের হোমস্ক্রিন থেকে ‘সেভিংস’ আইকনে ট্যাপ করে ‘নতুন সেভিংস খুলুন’-এ ট্যাপ করতে হবে। সেভিংস এর ধরন থেকে ‘সাধারণ সেভিংস’ বেছে নিয়ে সেভিংসটি কেনো খুলতে চান সেটি বাছাই করতে হবে। এরপর, সেভিংস-এর মেয়াদ ৬ মাস বা ১২ মাস, জমার ধরন (সাপ্তাহিক) এবং প্রতি মাসে যে পরিমাণ টাকা জমাতে ইচ্ছুক ২৫০, ৫০০, ১০০০, ২০০০, বা ৫০০০ নির্বাচন করতে হবে।

পরের ধাপে আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংকের তালিকা থেকে পছন্দ অনুযায়ী আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক বা ঢাকা ব্যাংক নির্বাচন করতে হবে। এরপর সেভিংস-এর নমিনি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। তারপর সেভিংস-এর বিস্তরিত দেখে এবং নিয়ম ও শর্তাবলি ভালোভাবে পড়ে, বুঝে সম্মতি দিতে হবে। সবশেষে বিকাশ অ্যাকাউন্টের পিন নাম্বার দিয়ে স্ক্রিনের নিচের অংশ ট্যাপ করে ধরে রাখলেই সেভিংস-এর আবেদন সম্পন্ন হবে। প্রক্রিয়াটি সফলভাবে সম্পন্ন হলে বিকাশ ও ব্যাংক থেকে চলে আসবে নিশ্চিতকরণ মেসেজ। বিকাশ অ্যাপ থেকে একাধিক সেভিংস খুলতে পারবেন যেকোনো গ্রাহক।

বিকাশ অ্যাকাউন্টে প্রয়োজনীয় ব্যালেন্স থাকা সাপেক্ষে নির্দিষ্ট তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেভিংস-এর টাকা কেটে নেয়া হবে। সেভিংস-এর মেয়াদপূর্ণ হয়ে যাবার পর বিকাশ অ্যাপেই মুনাফাসহ মূল টাকা পেয়ে যাবেন গ্রাহক যা কোনো খরচ ছাড়াই ক্যাশ আউট করতে পারবেন যেকোনো বিকাশ এজেন্ট পয়েন্ট বা নির্দিষ্ট ব্যাংকের এটিএম থেকে। এদিকে, জরুরি প্রয়োজনে মেয়াদপূর্তীর আগেই সেভিংস সেবা বন্ধ করতে চাইলে গ্রাহক বিকাশ অ্যাপ থেকেই তা করতে পারবেন।

সাপ্তাহিক সেভিংস প্রসঙ্গে বিকাশ-এর চিফ কর্মাশিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ বলেন, “ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে মাসে বা সপ্তাহে টাকা জমানো বেশ কঠিন। এদিকে দৈনিক বা সপ্তাহ ভিত্তিতে আয় করা মানুষদের জন্য নিয়মিত বিরতিতে ব্যাংকে যাওয়াও প্রায় অসম্ভব। তাই ব্যস্ত জীবনে সকল পেশার মানুষের জন্য আর্থিক লেনদেনে স্বস্তি এনে দিতেই বিকাশ তার অ্যাপে দুটি নতুন ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাপ্তাহিক সেভিংস সেবা যুক্ত করেছে। সঞ্চয়ের অভ্যাস ব্যক্তি এবং সমাজের আর্থিক নিরাপত্তাকে যেমন নিশ্চিত করবে তেমনি দেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির ভিত্তিকে আরো শক্তিশালী করবে বলে আমরা মনে করি।”

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে বিকাশ অ্যাপে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাসিক সঞ্চয় সেবা চালু হয়। এই সেবার জনপ্রিয়তার কারনে স্বল্প সময়ের মধ্যে চারটি ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে প্রায় ২০ লাখ সেভিংস গ্রহণ করেছেন বিকাশ গ্রাহকরা, যাদের এক-তৃতীয়ংশই নারী। বর্তমানে আইডিএলসি ফাইন্যান্স, ব্র্যাক ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক-এর পাশাপাশি ইসলামী শরিয়াহ ভিত্তিক সিটি ব্যাংকের মাসিক ‘সিটি ইসলামিক’ সেভিংস সেবা গ্রহণ করছেন গ্রাহকরা।

সেভিংস সেবা নিয়ে আরো বিস্তারিত জানা যাবে এই লিংকে– https://www.bkash.com/products-services/savings।

;

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসে যে কারণে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাতক্ষীরা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সাতক্ষীরার আম দেশের সব অঞ্চলের চেয়ে আগে বাজারে আসে এবং এই আমের চাহিদাও রয়েছে ব্যাপক। সে কারণে সাতক্ষীরার আমের সুনাম দেশ ছাড়িয়ে এখন বিদেশেও ছড়িয়ে পড়েছে।

সাতক্ষীরার আম আগে বাজারে আসার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মূলত ভৌগলিক অবস্থানগত ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ু অন্য সব জেলার আগে প্রবেশ করে। এতে করে এ এলাকার আম দ্রুত পাকে এবং সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাজারে চলে আসে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভৌগোলিক অবস্থানগত ছাড়াও আবহাওয়াগত কারণেও আম দ্রুত পাকতে পারে। দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় সাতক্ষীরাতে গরম এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আগে প্রবেশ করার কারণে আমের মুকুলও তাড়াতাড়ি চলে আসে। এতে করে আম গরমে দ্রুত পাকতে শুরু করে।

তারা জানান, অন্য জেলাগুলোতে শীতের আমেজ সাতক্ষীরার চেয়ে ১০ থেকে ১৫ দিন পরে নামে। সে কারণে ওই সব এলাকায় আমের মুকুলও দেরিতে আসে। এজন্য সাতক্ষীরার আম মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বাজারে চলে আসে।

গবেষকদের বক্তব্য, জাতের বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী একেক আম একেক সময়ে পাকে। কিন্তু তারা দেখতে পেয়েছেন, আম কেবল জাতগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই পাকে না; পাকে ভৌগোলিক অবস্থানগত ও আবহাওয়াগত কারণেও। যেমনটা ঘটে আম্রপালী আমের বেলায়। এ আম সাতক্ষীরায় এক সময়ে, চট্টগ্রামে আরেক সময়ে এবং সবার শেষে উত্তরাঞ্চলে পাকে।

একই জাতের আম পাকার ক্ষেত্রে এলাকাভেদে দুই মাস পর্যন্ত ব্যবধান হতে পারে।

এ বিষয়ে নাগরিক কমিটির মাধব চন্দ্র দত্ত বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, সাতক্ষীরার আমের সুনাম ব্যাপক। কারণ, সাতক্ষীরার আম খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনি ভালো।

ক্যালেন্ডারের আগেই পাকে সাতক্ষীরার আম

মাধব চন্দ্র দত্ত বলেন, তবে এক্ষেত্রে একটা সমস্যাও রয়েছে। এখানকার ভৌগলিক অবস্থা বিবেচনা না করে, চাষীদের মতামত না নিয়ে, আমের দিকে খেয়াল না করে আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়। এতে করে আম আগে পেকে গেলেও সাতক্ষীরার চাষিরা তা পাড়তে পারেন না।

আমাদের দাবি, আমের ক্যালেন্ডার করার সময় সাতক্ষীরার ভৌগলিক অবস্থান সম্পর্কে বিবেচনা করে তারপর আমের ক্যালেন্ডার তৈরি করতে হবে। এতে করে সাতক্ষীরার আম সবার আগে বাজার দখল করবে এবং চাষীরাও লাভবান হবেন।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ঢাকা অঞ্চলের ২০২৪ সালের পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সংবর্ধনা ও প্রীতি সম্মিলনের আয়োজন করা হয়।

সোমবার (১৩ মে) যমুনা ফিউচার পার্ক কনভেনশন সেন্টারে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম। সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল হান্নান খান ও মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধান, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ, ঢাকা ও পাশর্^বর্তী অঞ্চলের শাখাসমূহের ব্যবস্থাপকবৃন্দ। এসময় ঢাকা ও এর পার্শ্ববর্তী এলাকার শাখাসমূহের সর্বস্তরের প্রায় ২০০০ কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

প্রীতি সম্মিলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম সকলকে একসঙ্গে নবউদ্যমে ব্যাংককে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করার আহ্বান জানান। সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ব্যাংক এগিয়ে গেলে, ব্যাংকের উন্নয়ন হলেই আপনারা এগিয়ে যাবেন, তাই ব্যাংককে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে দিতে সবাই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যান।

;

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

ইসলামী ব্যাংকের সাথে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চুক্তি

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ডিআইইউ)-এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় ফি পেমেন্ট সংক্রান্ত্র এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।

এ চুক্তির আওতায় ডিআইইউ-এর শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা টিউশন ফি ও সেমিস্টার ফি-সহ যে কোন ধরনের ফি ইসলামী ব্যাংকের শাখা, উপশাখা, এজেন্ট আউটলেট এবং সেলফিন অ্যাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রদান করতে পারবেন।

সম্প্রতি ডিআইইউ কনফারেন্স হলে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এম. লুৎফর রহমান ও ইসলামী ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইনের উপস্থিতিতে ডিআইইউ-এর ট্রেজারার (চলতি দায়িত্ব) মমিনুল হক মজুমদার ও ব্যাংকের আশুলিয়া শাখাপ্রধান এ.বি.এম মোস্তফা আলী হায়দার সমঝোতা স্মারকে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান ও ঢাকা নর্থ জোনপ্রধান বশির আহমদ এবং ডিআইইউ-এর প্রো ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এস.এম. মাহবুব উল-হক মজুমদার, রেজিস্ট্রার ড. মোঃ নাদির বিন আলী ও অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. সাইয়েদ মিজানুর রহমানসহ উভয় প্রতিষ্ঠানে নির্বাহী ও কমৃকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;